Sunday, October 25, 2020

দি_এক্সোর্সিস্ট __ উইলিয়াম পিটার্স ব্লেটি

 #Book_Summary: ( 28 )


#দি_এক্সোর্সিস্ট

উইলিয়াম পিটার্স ব্লেটি



#বঙ্গানুবাদ: হুমায়ূন আহমেদ


ব‌ইটিতে ভৌতিক বিষয়গুলোকে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা বিজ্ঞানে নেই। মূল ব‌ইটিতে অশ্লীলতাও রয়েছে বেশ। ছোটদের জন্য ব‌ইটি নয়‌।


#চরিত্র:


১.ক্রিস্টিন ম্যাকলিন (ক্রিস): নাম করা অভিনেত্রী

২. রিগ্যান: ছোট একমাত্র মেয়ে ( ভূতে পায়)

৩. বার্ক: পরিচালক

৪. হাওয়ার্ড: ক্রিসের স্বামী , ( ডিভোর্স )

৫. মি. কিন্ডারম্যান: ডিটেক্টিভ

৬. শ্যারন স্পেন্সার: ক্রিসের সহকারী

৭. কার্ল: চাকর

৮. উইলি: চাকরানী

৯. ডা. ক্লিন:

১০. ফাদার ডায়ার:

১১.ফাদার মেরিন: পাদ্রী

১২.ফাদার ডেমিয়েন কারাস: নাস্তিক, সাইকায়াট্রিস্ট

১৩. মেরিজো: মিড়িয়াম ( প্রেত তত্ত্ব গবেষণা )

১৪. ক্যাপ্টেন হাউড়ি: উইজার্ড

১৫. সাইকায়াট্রিস্ট


#কাহিনী_সংক্ষেপ:


রিগ্যানকে নিয়ে ক্রিসের সুখেই কাটছিল। ডিভোর্সের পর অভিনেত্রী ক্রিস, উন্মাদ বিখ্যাত পরিচালক বার্ককে ভালোবাসে। উইজার্ড বোর্ড দিয়ে রিগ্যান প্রতিরাতেই খেলার ছলে প্ল্যানচেট করে। ক্যাপ্টেন হাউড়ি নামের এক উইজার্ড তাতে সাড়া দেয়। ক্রিস যখন মেয়ের রুমে যায়, রুম থাকে বরফের ন্যায় ঠান্ডা। ধীরে ধীরে রিগ্যানের অস্বাভাবিক আচরণ বাড়তে থাকে। মেয়ের এমন অবস্থায় মা চিন্তিত। ডা. ক্লিন পরীক্ষা করতে থাকে। ব্রেইনের ফাংশন‌ও ঠিক, শরীরের ফিজিওলজিক্যাল কোন পরিবর্তন নেই। অথচ, আচরণ অস্বাভাবিক। মেয়ের শান্ত, ভাবলেশহীন ভাব কাটাতে পার্টির আয়োজন করে। অনেক অতিথি আসে, আসে মেরিজো নিজেও। রিগ্যানকে দেখেই ভয়ানক আশঙ্কাটা বুঝতে পারে। ক্রিসের জন্য একটা শয়তান উপাসনার উপর একটা লেখা বই পাঠিয়ে সতর্ক করে দিতে চায়। ক্রিস ব‌ইটি পড়ে না। মেয়ের অবস্থা আর‌ও খারাপ, অন্য ছেলের কন্ঠে কথা বলতে শুরু করেছে। মেয়েটি বার্ককে খুন করে। গুয়েন্দা কিন্ডারম্যান তদন্ত করছে। পোস্ট মর্টেম করে জানা গেছে অস্বাভাবিক শক্তিশালী কেউ তাকে খুন করছে।

ডা. ক্লিন ব্যর্থ হয়ে আরেক ডা. দেখে, সেও ব্যর্থ। শেষে যায়, সাইকায়াট্রিস্টের কাছে, অনেক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেন লক্ষণগুলোর, কিন্তু কারণ উদঘাটন করতে সেও ব্যর্থ হন। বিছানা ঝাঁকুনির কারণ, সাইটোকাইনেটিক ফোর্সে শরীরের পেশি শক্ত হয়ে যায়। মৃগী রোগীও ধারণা করা হয়। হলি ট্রিনিটিতে শয়তান উপাসনা করে গোপনে কেউ। ফাদার ডেমিয়েন কারাস একজন সাইকায়াট্রিস্টও বটে। নাস্তিকতার অভিযোগে তাকে চার্চ থেকে বের করে দেয়া হয়। অবশেষে, সে আসে, পরীক্ষা করে কিছু অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করে। হিস্টেরিয়া হয়েছে বলে ব্যাখ্যা দিলেও কিছু বিষয়ে খটকা থেকেই গেলো। ডেমিয়েন ভূত তাড়ানোর জজ্ঞ করার অনুমতি চায় চার্চের কাছে। অনুমতি মঞ্জুর হলো, কিন্তু, অভিজ্ঞ একষ ফাদারকে লাগবে, নাম ফাদার মেরিন, বৃদ্ধ। রিগ্যানের সাথে দেখা করেই বুঝতে পারলো, ভূতটার সাথে তার এর আগেও দেখা হয়েছিল। আবারও হবে সে জানত। আজ সেই দিন। জজ্ঞ করার জন্য যাবতীয় জিনিস আনতে গেলো ডেমিয়েন। রিগ্যানের মধ্যে ভূতটা মেরিনকে চিনে, তর্জন গর্জন করতে থাকে। যজ্ঞে ফাদার মেরিন, ডেমিয়েন দুজন‌ই মারা যায়। শেষে ভূত চলে যায়। হাওয়ার্ড নিজেই আসে স্ত্রী কন্যাকে নিতে।


@Mithun

সীমন্ত_হীরা শরবিন্দু বন্দোপাধ্যায়

 #Book_Summary : (27)


#সীমন্ত_হীরা

শরবিন্দু বন্দোপাধ্যায়

#ব্যোমকেশ সিরিজ



#চরিত্র:

১. ব্যোমকেশ

২.অজিতেশ

৩. কুমার ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ রায় ( স্টেট )

৪. দ্বিগীন্দ্র নারায়ণ রায় ( চাচা , শিল্পী )


#মূল_কাহিনী:


রাজ বংশের মহামূল্যবান সীমান্ত হীরা চুরি গেছে। কে চুরি করেছে তাও জানা। কুমারের স্বয়ং চাচা। হীরা সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাণী করা আছে, হীরাটা নষ্ট হয়ে গেলে এক পুরুষের মধ্যে বংশের বিলুপ্তি ঘটবে। তাই রাজ পরিবারের সম্মান ও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে পড়ে কুমার। ডাক পড়ে ব্যোমকেশের।

কোলকাতায় গিয়ে দ্বিগীন্দ্র বাবুর বুদ্ধির অহংকারকে কাজে লাগিয়ে ব্যোমকেশ হীরা বের করার একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেয়। সস্ত জায়গায় খুঁজেও যখন না পায়, সময় শেষ প্রায়, তখন লক্ষ্য করে দ্বীগিন্দ্র বাবু সবসময় ঘরে ঢুকেই বসার ঘরে টেবিলের দিকে নজর দেন। বুঝতে বাকি থাকে না যে হীরা টেবিলের উপর‌ই আছে। বিখ্যাত নটোরাজ মূর্তির একটা মিনিয়েচার সে নিজে বানিয়ে রেখে দেয়। মূর্তিটা ভালো লেগে যায়, বলতেই সেটা তাকে দান করে দেয়। ব্যোমকেশ হতাশ। মূর্তির নিচে একটা B লিখে রাখে পেন্সিল দিয়ে। আশ্চর্য, মূর্তিটা চুরি যাও হুবহু সেইরকম আরেকটি সেখানে রয়ে যায়। শেষদিন, দ্বিগীন্দ্রের বাড়ি গিয়ে কথাচ্ছলে হাতসাফাই করে মূর্তিটা পাল্টে দেয়।

পরে সেটার মধ্যেই সীমন্ত হীরা পাওয়া যায়। কুমার হীরা পেয়ে খুব খুশি হয়।


©Mithun

মহাকাশে_মহাত্রাস মোহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার

 #Book_Summery: (26)


#মহাকাশে_মহাত্রাস


মোহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার


#বৈজ্ঞানিক_কল্পকাহিনী

মহাকাশে মহাত্রাস



#চরিত্র:

১.হাসান- এন্টোমিডা স্পেস স্টেশন পরিচালক

২.জাহিদ- পদার্থ বিজ্ঞানী

৩. কামাল- প্রযুক্তিবীদ

৪.জেসমিন-জীববিজ্ঞানী

৫. হারুন হাকসি- বিজ্ঞানের অসৎ ব্যবহার

৬. টার্নার: হাকসির সহযোগী


#কাহিনী_সংক্ষেপ:

হাসানের সাথে এন্টোমিডাতে যুক্ত হয় ৩ তরুণ বিজ্ঞানী। মঙ্গল গ্রহ থেকে আকরিক নিয়ে রকেট স্পেস স্টেশনে পৌছালেই দীর্ঘদিন পর হাসান ছুটি পাবে। রকেটের নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণের কারণে ফেরা হলো না। মহাকাশে তেজস্ক্রিয়তা বেড়ে যেতে থাকে প্রতিনিয়ত। রাডারের মাধ্যমে বুঝতে পারলো অজ্ঞাত কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশের স্পেস স্টেশনগুলো ধ্বংস হচ্ছে। জাপানের এক স্পেস স্টেশন নাকি ফ্লাইং সসার দেখেছিল। ফ্লাইং সসারটি এবার এন্টোমিডার দিকে আসছে। হাসান দক্ষ, ঠান্ডা মাথায় বিপদে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিন তরুণ বিজ্ঞানীকে পৃথিবীর উদ্দেশ্য পাঠিয়ে দিয়ে নিজে থেকে যায় স্টেশনে। রেজার টিউব দিয়ে আঘাত করে ফ্লাইং সসারটিকে। তাতে সামান্য ক্ষতি হলেও এন্টোমিডা ধ্বংস হয়। ফ্লাইং সসার রকেট থেকে তিন তরুণকে ধরে নিয়ে যায়, প্লুটোনিক স্পেস স্টেশনে । ফ্লাইং সসার না এটি, ফোবস রকেট। এটি তো পৃথিবীর‌ই তৈরি। হারুন হাকসি পৃথিবীকে শাসন করতে করতে চায়। সব রাষ্ট্রকে এক দেশ করে নিজে কতৃত্ব নিতে চায়। পৃথিবী এবং মহাকাশ থেকে ধরে আনতে থাকে মহান সব বিজ্ঞানীদের। তাদের গোলাম করে নিজের কাজে লাগায়। হাকসি নিজেই তৈরি করেছে অসাধারণ কম্পিউটার, ফ্রিকসি। এটি ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারে। সকলের মনের খবর দিতে পারে বলে কেউ হাকসির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে না। সারা স্টেশন জুড়ে টেলিভিশন আর মাইক্রোফোনে ভর্তি। দীর্ঘদিন পর একটা উপায় বের করে ফ্রিকসিকে ফাঁকি দিয়ে জাহিদকে সাথে নিয়ে কামাল নিউক্লিয়ার রিয়াক্টরকে বিকল করে দেয়। ইলেকট্রিসিটি চলে যায়, ফ্রিকসি আর ভবিষ্যত জানতে পারে না। দশদিন পর রিসোর্স শেষ হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে প্লুটোনিক। একমাত্র যে ঠিক করতে পারতো, টার্নার, সে মারা গেছে। কামাল জেসমিনকে ভালোবাসে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাকসি সাতদিনের মধ্যে নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর ঠিক করে দিতে বাধ্য করে। প্লুটোনিকের নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর ঠিক করলেও বুদ্ধি করে ফোবসের (রকেট) রিয়াক্টরে অনিয়ন্ত্রিত ইউরেনিয়ামের চেইন রিয়াকশন করতে ক্যাডমিয়াম দন্ড কেটে ছোট করে দেয়। সব ঠিক হয়েছে ভেবে হাকসি এই কাজের প্রতিরোধ নিতে গেলে তাকে বোকা বানিয়ে ফোবস নিয়ে পালাতে বাধ্য করে। দশ মিনিট পর ফোবস ধ্বংস হয়। প্লুটোনিক ও নিরীহ বিজ্ঞানীরা বেঁচে যায়। বেঁচে যায় পৃথিবী এক অসৎ, উন্মাদ বুদ্ধিমান বিজ্ঞানীর ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা থেকে। 


©Mithun

Thursday, September 10, 2020

দেশে প্রথম প্রাণি হত্যার অপরাধে আদালতে শাস্তি

দেশে প্রথম প্রাণি হত্যার অপরাধে আদালতে শাস্তি


সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তি দুই মা ও ১৪ টি কুকুর ছানাকে মেরে মাটিতে পুঁতে রাখে। প্রাণির প্রতি এমন নির্মমতা ঘৃণা ছাড়া কিছুই কিছুই আসে না। আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদন্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও সাতদিন জেলে খাটতে হবে তাকে।

মূলত এই ধরনের সমস্যাগুলো গ্রামের কিছু পাতি নেতারাই সমাধান করে ফেলেন। বাদী বিবাদীর মধ্যে যার কাছ থেকে কিছু হাত কড়ি বেশি পায় নামাতে পারে তার দিকেই শুয়ে পড়ে।

এসব নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড যারা করে তারা পার পেয়ে যায়। 

বাংলাদেশে প্রাণির প্রতি নিষ্ঠুরতা আইন-১৯২০ সালের ৭ ধারাতে এখনও বিচারকার্য চলছে। আমাদের কি এ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত নয়?

অবাক হতে হচ্ছে আইন করে রাখা হয়েছে। তার প্রয়োগ হচ্ছে একশ বছর পর। তবুও ধন্যবাদ জানাই আদালতকে তাও তো একটা ব্যবস্থা নিয়েছেন।

তবে এই শাস্তিই কি যথেষ্ট একজনকে সংশোধনের জন্য? যেখানে কেনিয়া আইন করছে অকারণে প্রাণি হত্যায় সরাসরি মৃত্যুদন্ড।

আর আমাদের দেশে ১৬ টি প্রাণির জীবনের মূল্য মাত্র ২০০ টাকা! ছয়মাস কারাদণ্ড হলেও একসপ্তাহ পর‌ই দেখা যাবে বাড়ি এসে দিব্যি হাওয়া খাচ্ছে। 

যেই জন্য শাস্তি তা কি এতে মনে থাকবে?

আমাদের দেশের অ্যাক্ট গুলোকে আরও কঠিন করা দরকার ও যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার।

আমাদের দেশে প্রাণি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চালু নেই। যখন পথে ঘাটে এইসব প্রাণির আধিক্য দেখা যায়, রোগ সংক্রমণের প্রতিরোধে নির্বিচারে হত্যা করে ট্রাক বোঝাই করে তাদের সৎকার সারা হয়। আমাদের নিয়ম‌ই এটা অবাদে বংশবিস্তার করো আর যখন ব্যাঙের মতো বংশ বাড়তেই থাকে তখন চলে গলাকাটা। কেন উপজেলাতে না হোক প্রতি জেলাতে তো অন্তত একটা করে সরকারী উদ্যোগে স্ট্রীট এনিমেল দের ব্যবস্থাপনার কেন্দ্র রাখা যেতে পারে। দেশে কি ভেটেরিনারিয়ানের অভাব? না অভাব না। অভাব তাদের কাজে লাগানোর ব্যবস্থাগুলো। সমস্ত  উপজেলায় ১/২ জন ভেটেরিনারিয়ান কি করবে আর!

দুঃখের সাথেই বলতে হয়, দেশের প্রাণি সেক্টরটা খুবই অবহেলিত। যেখানের দেশের সিংহভাগ প্রাণিজ আমিষের যোগান দিচ্ছে লাইভস্টক সেক্টর।

মাঝে মধ্যে দু একটা নজির সৃষ্টি করে হৈহুল্লোড় করার চেয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের বদলানো উচিত। আমাদের হীনতা ঝেড়ে ফেলে একসাথে বাঁচার আনন্দে মেতে উঠা উচিত।

আসুন আমরা প্রাণিদের প্রতি দয়াপরবশ হ‌ই। এই পৃথিবীতে সকলের‌ই বসবাসের সমান অধিকার রয়েছে। শ্রেষ্ঠ জীব হয়ে নিজেদের ছোট না করি।

Thursday, August 27, 2020

Tell me about yourself; appreciate response.

When you face a job interview or any other meeting you must have asked, "Tell me about yourself." There are many ways of responding of this question. But the basic rules are to be included three points, introduction, accomplishment and capabilities. Context may vary in different background candidates but the main points must be included.

Here is the sample:

1. Introductory part:

This is Ferdous Hasan Mithun, a veterinary student with one year of experience and I am looking for new opportunities in the field. My friends probably would say, I am articulate, trustworthy and passionate professional.

2. Accomplishment: (2-3 sentences)

First, I obtained excellent marks on my academic subjects. Additionally, I treated the sick animals for clients in Jamalpur district for one year in 2020. Finally, I received Merck Animal Health Scholarship from America for financial support on an idea solving competition in 2019. 

3. Capabilities/Skills:

I am good at basic computer knowledge specially in MS word, PowerPoint,Excel and Internet. My skills include English communicating skill at good level. I am skilled in organizing programs.



Sunday, August 23, 2020

Virus Outbreak; Curse or Blessing?

The main causal factor of COVID-19 is SARS CoV-2. It's quiet alarming for all country. The world facing a critical problem. It has been a great challenges for all the country. Financial threat, basic needs of people are in questionable. Although developed country tackling this threat, but the developing or underdeveloped country facing really great challenges.
A lot of people are suffering  from malnutrition. Many of them are ding without treatment and other facilities. 
Although corona virus has brought unlimited sufferings for all people but it has several positive effects on environment, young generation, thinking etc. 
I have tried to describe briefly about its positive and negative impacts.Read the article
 

মৃত্যুক্ষুধা ____কাজী নজরুল ইসলাম

 #Book_Summery: (25)


#মৃত্যুক্ষুধা

____কাজী নজরুল ইসলাম


প্রকাশ:১৯৯১


#চরিত্র:

১.কুঁদুলী: গজালের মা (৪ পুত্র)

২.মৃত তিন পুত্র: সোভান, বারিক, গজালে

৩.বড় বৌ, মেজ বৌ (হেলেন), ছোট বৌ

৪.পাচি: কুদুলীর মেয়ে

৫. প্যাকালে (জোসেফ): অবিবাহিত ছোট ছেলে।

৬. মধু ঘরামীর কন্যা কুর্শি: প্যাকালের প্রেমিকা

৭. আনসার: রুশ বিপ্লবের পটভূমিতে বিশ্বাসী বিপ্লবী নেতা। লতিফার বড় ভাই।

৮.রুবি: আনসারের প্রেমিকা।

৯. লতিফার: নাজিরের স্ত্রী

১০.নাজির সাহেব: সহজ সরল মানুষ।

১১.মিস জোন্স: খ্রিস্টান মিশনারি

১২. মিস্টার হামিদ: ময়মনসিংহের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট। রুবির বাবা।

১৩. নুলোর মা হিড়িম্বা: ধাত্রী।

১৪.খাতুনের মা: মুসলমান

১৫. গিয়াসউদ্দিন: ছোট বৌর বোন জামাই।


#কাহিনী_সংক্ষেপণ:


কৃষ্ণনগরে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান সকল জাতির বাস। হত দরিদ্রদের মধ্যে রাত পোহালেই অতি সাধারণ বিষয় নিয়ে জাত ছাড়া লড়াই আবার প্রয়োজনের তাগিদেই বিবাদ ভুলে আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় একে অন্যের প্রতি। কুদুলীর তিন বিধবা বৌ , সন্তান ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির। খাবার নেই। ছোট বৌ অসুস্থ, সন্তান অপুষ্টিতে মুমূর্ষু। পাচির প্রসব বেদনায় একটু আগে ঝগড়া হয়ে যাওয়া হিড়িম্বা সাহায্য করতে আসে ধাত্রী হিসেবে। প্যাকালে রাজমিস্ত্রীর কাজ করলেও ফিটফাট থাকে কাউকে আকৃষ্ট করতে। কুর্শির সাথে ভাব জমেছে। খাদ্যাভাব ও চিকিৎসার অভাবে ছোট বৌ ও তার কুলের সন্তান মারা যায়। মেজ বৌ বাকি সন্তানদের জন্য সাহেব বাড়ি থেকে কৃপায় পাওয়া পানি মিশ্রিত বিড়ালে খেয়ে যাওয়া দুধ দিয়ে পায়েশ রান্না করে। ছোট বৌয়ের রূপে পাগল গায়ের যুবকরা। বোনাই গিয়াসউদ্দিন আরো বেশি পাগল। প্যাকালের মা প্যাকালের বিয়ে মেজ বৌয়ের সাথে দিতে চাইলে প্যাকালে রানাঘাট চলে যায় না জানিয়ে। পরিবারের কষ্ট আরও বেড়ে যায়। সন্তানদের ক্ষুধা নিবারণ করতে খ্রিস্টান মিশনারিতে শিক্ষার ছলে যাতায়াত করতে থাকে। সাম্প্রদায়িকতার কবলে অপবাদে বাধ্য হয়ে খ্রিস্টান হয়ে ছোট বৌ থেকে হেলেন হয়ে যায়। গজালের মা তাদের অভিশাপ দিতে থাকে। নাজির সাহেবের বাড়িতে বিপ্লবী নেতা আনসার এসে উপস্থিত। সুখ দুঃখের ভাগাভাগি ভাবের আদান-প্রদান সব‌ই হয়। শক্ত মনের এই দরিদ্র মজুরের জন্য খেটে খাওয়া মানুষটির নারীর প্রতি কোন আকর্ষন নেই। তা সত্ত্বেও মেজ বৌয়ের রূপ তার মনেও মৃদু ভূমিকম্প তুলেছিল। মেজ বৌ প্রেমে পড়ে যায় সুপুরুষটির। পুনঃধর্মান্তরিত হ‌ওয়ার ভয়ে খ্রিস্টান মিশনারি তাকে বরিশালে পাঠিয়ে দেয়। প্যাকালে, কুর্শিও খ্রিস্টান হয়ে চাকরি পেয়ে যায়। আনসার পুলিশ কর্তৃক সরকার বিরোধী আন্দোলনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়। বিধবা রুবি, হামিদ কৃষ্ণনগরে আসে। বান্ধবী লতিফার সাথে প্রেমানুভূতি, দুঃখ কষ্ট ভাগাভাগি করে। একদিন ছোট বৌ চিঠিতে জানতে পারে খোকা অসুস্থ। ছুটে যায় কৃষ্ণনগরে। খোকা মারা যায়। ছোট বৌ দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে শশব্যস্ত। মিশনারিতে উপার্জিত টাকা দিয়ে খোকার চালশে করে। গ্রামের সকল শিশুদের মা ছোট বৌ। তার ইচ্ছা একটা স্কুল খুলবে সেখানে। রুবি টাকা দিতে সম্মত হয়। লতিফাকে আনসার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার খবর, গন্তব্য ও দুই ভালোলাগা মেয়ের কথা জানায়। আনসার টিউবার কিউলোসিসে আক্রান্ত। রুবি তাকে সেবা করতে ছুটে যায় সেখানে। ভালোবাসার জন্য নিজের কর্তব্য ঠিক করে মৃত্যকে আলিঙ্গন করে ভালোবাসার মানুষটির গলায় ঝুলে পড়ে।


#উক্তি:


* "চিরদিন বিষ খেয়ে বড় হয়েছি, আজ মৃত্যুর ক্ষণে তুমি অমৃত পরিবেশন কর। আমি মৃত্যুঞ্জয়ী হ‌ই।"__আনসার

*ঝিনুকর মুখে এক বিন্দু শিশির, নারীর বুকে এক বিন্দু প্রেম!

*মৃত্যু ক্ষুধার মত সে চাউনি জ্বালাময়, বুভুক্ষু, লেলিহান। সে চোখে অশ্রু নাই, শুধু রক্ত।

*পৃথিবীতে দুঃখ বলে কিছু নেই, ও যেন আনন্দের‌ই আরেকটা দিক।


©Mithun

হ্যামলেট ____উইলিয়াম শেক্সপিয়ার

 #BookSummery: (24)


#হ্যামলেট

____উইলিয়াম শেক্সপিয়ার


#বিয়োগান্ত_নাটক


#চরিত্র:


১.রাজা হ্যামলেট: ডেনমার্কের রাজা।

২.গ্রাট্রুড: রানী। হ্যামলেটের মা।

২.ক্লডিয়াস: হ্যামলেটের চাচা

৩.প্রিন্স হ্যামলেট: রাজ্যের একমাত্র‌ উত্তরাধিকারী। (প্রোটাগনিস্ট)

৪.হোরাশিও: হ্যামলেটের বিশ্বস্ত বন্ধু।

৫.পোলোনিয়াস: মুখ্যসচীব।

৬.ওফেলিয়া: পোলোনিয়াসের কন্যা। হ্যামলেটের প্রেমিকা।

৭.লেয়ার্টিস: ওফেলিয়ার ভাই।

৮.ফোর্টিনব্রাজ: নর‌ওয়ের যুবরাজ।


#কাহিনী_সংক্ষেপ:

এলসিনো দূর্গের পাহারাদার ও হোরাশিও একটি অস্ত্রসস্ত্র সজ্জিত এক প্রেতাত্মা দেখতে পায়। প্রেতাত্মাটি একমাস আগে মৃত রাজা হ্যামলেটের। নর‌ওয়ের যুবরাজ হ্যামলেটের সাথে যুদ্ধে হেরে যায়। রাজা হ্যামলেটের মৃত্যুতে  রাজ্য অরক্ষিত ভেবে আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ক্লডিয়াস তা প্রতিহত করতে অস্ত্র তৈরি করতে থাকে। হোরাশি‌ওর কথায় হ্যামলেট এসে ফের প্রেতাত্মার দেখা পায়। প্রেতাত্মা বলে তার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে। বাগানে শুয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ক্লডিয়াস তার কানের মধ্যে বিষ ঢেলে দেয়। তার ফলে তার মৃত্যু হয়। যেটা দূর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেয়া হয়েছিল। ক্লডিয়াসের রাজ্যাভিষেক হয় ও রানী গ্রাট্রুডকে বিয়ে করে। হ্যামলেট মায়ের এতদ্রুত শোকভুলে যাওয়া ভালোভাবে নিতে পারে না। হ্যামলেট নিজের প্রেমিকা, ইচ্ছা সব ত্যাগ করে এক প্রতিশোধ স্পৃহায় জ্বলতে থাকে। পাগলের ভান ধরে প্রমাণ খোঁজার জন্য। হ্যামলেটের উন্মত্ততায় রাজা,রানী উদ্বিগ্ন। কয়েকজন নাট্যদল আসে হ্যামলেটের মন ভালো করতে। এ‌ই সুযোগ কাজে লাগায় সে। প্রেতাত্মার বলা কাহিনী নাটকের সংলাপে যুক্ত করে অভিনেতাদের দিয়ে অভিনয় করায় রাজা রানীর সামনে তার আবেগের বহিঃপ্রকাশ অবলোকন করার জন্য। পরে নিশ্চিত হয়ে তার কর্তব্য ঠিক করে নেয়। রানীকে তার স্বামীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য ক্ষমা চাইতে বলে ও তাকে সাহায্য করার জন্য বলে। হ্যামলেট এরমধ্যে পোলোনিয়াসকে পাগলের বেশে খুন করে। ওফেলিয়া মূর্ছা যায়। রাজা হ্যামলেটকে ইংল্যান্ড পাঠিয়ে দেয়। চক্রান্ত করে দস্যুদের হাতে তুলে দেয় হত্যার জন্য। কিন্তু, সেখান থেকে বেঁচে ফিরে আসে। পিতৃ শোকে ওফেলিয়া পানিতে ডুবে আত্মহত্যা করে। পিতা ও বোনের মৃত্যুর বদলা নিতে ফ্রান্স থেকে সৈন্য সমেত উপস্থিত হয় লেয়ার্টিস। রাজার এতে হাত নেই বলে নিজে দাবি করে। রাজা চালাকি করে, পাগল হ্যামলেটের সাথে লেয়ার্টিসের তলোয়ার যুদ্ধ ঘোষণা করে। যে বিজয়ী হবে তাকে দেয়া হবে সুপেয় মদ ও এমন মুক্তো যা কোন রাজার মুকুটে ব্যবহার করা হয় নি। লেয়ার্টিসের তলোয়ারে বিষ মাখিয়ে দেয়া হলো। লড়াই শুরু হলো। হ্যামলেট মোটেই পাগল নয়। লড়াইয়ে এগিয়েই থাকল। এই আনন্দে মা, গ্রাট্রুড মদ খেয়ে ফেলল। তাতেও বিষ মিশ্রিত থাকায় সে মারা যায়। হ্যামলেট লেয়ার্টিসের কাছ থেকে তলোয়ার কেডে নিয়ে তাকে বধ করে। সেই তলোয়ার দিয়ে বেইমান রাজা ক্লডিয়াসকেও হত্যা করে।


©Mithun

মধ্যাহ্ন ___হুমায়ূন আহমেদ

 #Book_Summery:(23)


#মধ্যাহ্ন

___হুমায়ূন আহমেদ


#জনপ্রিয়_ঔপন্যাসিক_হুমায়ূন_আহমেদের_স্মরণে।


## দুই খন্ডের অত্যন্ত জনপ্রিয় উপন্যাস। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ থেকে শুরু করে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ সালের ভারতবর্ষ ভাগ পর্যন্ত অনেক অজানা বিষয়‌ই তুলে এনেছেন। তৎকালীন সমাজের চিত্রের ধারণা পাওয়া যায়।


#চরিত্র:

১.হরিচরণ সাহা: পাটের আড়ৎ। অসাম্প্রদায়িক চরিত্রের ভালো মানুষ। ( মৃত ছোট মেয়ে শিউলি )

২.শশাঙ্ক পাল: রাজা, সোনাদিয়া, বান্ধবপুর।

৩.জহির: সুলেমান ও জুলেখার পুত্র। উপন্যাসের মূল চরিত্রে।

৪.মাওলানা ইদ্রিস: ইমাম

৫.ধনুশেখ: খান বাহাদুর : মেয়ের নাম আতর।

৬.জীবন লাল চক্রবর্তী (মফিজ):বিপ্লবী

৭.শশী মাস্টার: বিপ্লবী

৮.আবদুল করিম: ইমাম

৯.উকিল মুন্সী:গায়ক

১০.লাবুসের মা : তার বৌ

১১.ন্যায় রত্ন রামনিধি

১২.অম্ভিকা ভট্টাচার্য্য

১৩.হাদিস উদ্দিন

আরও অনেক পার্শ্বচরিত্র আছে।


#সংক্ষিপ্ত_কাহিনী:

বান্ধবপুর গ্রামে হিন্দু-মুসলিমের বাস। স্ত্রী-সন্তানহীন পাটের আড়ৎদার হরিচরণ, খাজনা দিতে গিয়ে দেওলিয়া হয়ে পড়া শশাঙ্ক পালের জমিদারি কিনে নেয়। বেপর্দা হয়ে পড়া জহিরের মা জুলেখাকে তালাক দিলে তার স্থান হয় রঙ্গিলা নটি বাড়ীতে। দয়াবান হরিচরণের কৃপায় ধনুশেখ লঞ্চের টিকিট কাউন্টারের চাকরি থেকে একেবারে লঞ্চের মালিক হয়ে বসে। শশাঙ্ক পাল, ধনুশেখ রঙ্গিলা বাড়ীতে যায় আয়েশ করতে। জুলেখা থেকে চান বিবি হয়ে যাওয়া মহিলাটি প্রণয়ী হয়ে উঠে। সুরেলা কন্ঠে গান গায়, আনন্দ দেয়। আল্লাহ ভীরু মাওলানা ইদ্রিস মসজিদের ইমাম থেকে ধীরে ধীরে হাফেজ হয়ে উঠে। একদিন এই ইদ্রিস ই জুলেখা কে বিয়ে করে। এক কন্যা সন্তান হলে জুলেখা তা ফেলে কলকাতা চলে যায়, গান গাইতে। উকিল মুন্সীর গান, কাজী নজরুল ইসলামের কাছে থেকে শেখা গান গেয়ে রিতিমত বিখ্যাত হয়ে যায়। ইমাম ইদ্রিস বেশ্যাকে বিয়ে করায় সমাজচ্যুত হয়। নতুন ইমাম আ.করিম। হরিচরণ মুসলমান সন্তানকে কুলে নেয়া জাত গেলে ন্যায় রত্ন রামনিধিকে সমাজচ্যুত করে। অনেক দান, মানুষের মঙ্গল করে হরিচরণ সাধু পুরুষ হয়ে মারা যায়। তার সমস্ত জমিদারী লিখে দিয়ে যায় পুত্র হিসেবে স্বীকার করা লাবুস/জহিরকে। জহির তা জনকল্যাণে ব্যয় করে। দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে লঙ্গরখানা দেয়। তাতে হিন্দু মুসলিম একসাথে বসে খাবার খায়। দুই বিপ্লবী, শশী মাস্টার ও জীবনলাল, বান্ধবপুরে এসে আত্মগোপন করে। ধনুশেখ শশী মাস্টারকে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টায় ইংরেজদের কাছে থেকে খান সাহেব ও পরে খান বাহাদুর টাইটেল পায়। হিন্দু বিদ্বেষী ধনুশেখ হিন্দুদের শাস্তি দেয়। মুসলিম বিদ্বেষী অম্ভিকা ভট্টাচার্য্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। পায়ে পচন ধরলে পা কাটা ধনুশেখ হয়ে পড়ে। পালকি দিয়ে চলতে হয়। ইদ্রিসকে সমাজচ্যুত করায় লাবুস ইমাম করিমের লুঙ্গি খুলে নেয়। এই অপরাধের শাস্তি দিতে বৌয়ের ১০০ টাকা চুরি করে ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে খুন করাতে চায়। ফাঁস হয়ে গেলে বৌকে তালাক দিলে এক ঠেঙ্গা ধনুশেখ হিল্লাবিয়ে করে, শরিফাকে। তা থেকে পালিয়ে গেলে মাঝিদের খপ্পরে সম্ভ্রম হারিয়ে তার‌ও স্থান হয় রঙ্গিলা বাড়ীতে। করিম পাগল হয়ে যায়। শেষে তারা একসাথে দূরে চলে যায়, আতরের শ্বশুর বাড়িতে। সেখানেই তারা বাকি জীবন কাটায়। দেশ বিভাগের সময় বান্ধবপুর হিন্দুদের মধ্যে পড়ে। এসময় বহু মুসলমান প্রাণ হারায়।


#ইতিহাস_সম্পর্কিত:


*বিশাল ভারতবর্ষ পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ডিস্ট্রিক্ট মেজিস্ট্রেট খাজা সলিমুল্লাহ প্রস্তাব পাঠায় বঙ্গভঙ্গের। ১৯০৫ সালে তা কার্যকর। হিন্দুরা তা মেনে নিতে পারছিল না। ঢাকা রাজধানী ও ১৯১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে হিন্দুরা এর বিরোধিতা করে। এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ‌ও ছিলেন। আন্দোলনের মুখে বঙ্গভঙ্গ রদ হলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই খুশিতে রাখিবন্ধন অনুষ্ঠান করেন। প্রতিষ্ঠা করেন "শান্তি নিকেতন"। তাতে যোগ দেন শৈলজারঞ্জন।

*মুক্তাগাছার জমিদার: শশীকান্ত আচার্য। শশী লজ প্রতিষ্ঠা করেন।

*গৌরিপুরের মহারাজ: ব্রজেন্দ্র রায় চৌধুরী

*কেন্দুয়ার আটারি বাড়ির জমিদার- প্রমোদ রায় চৌধুরী

*রুশ বিপ্লবের পূর্বে জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে  "মা" উপন্যাসটি লেখা শুরু করেন ম্যাক্সিম গোর্কি।

*নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস: ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের ডাক দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতের অনেক সেনা হিটলার বন্দী করে। নেতাজী তাকে প্রস্তাব দেয়, যদি সে সৈন্যদের ছেড়ে দেয় তাহলে সে তাদের একত্রিত করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়বে। হিটলার নেতাজীর উদ্দেশ্যের সাথে মিল থাকায় তাকে সাহায্য করতে রাজি হয়।

*মোহনসিং: যুদ্ধের সময় জাপানের হাতে বন্দী ছিল ৪৫০০০ ভারতীয় সেনা। মোহনসিংও এক‌ই প্রস্তাব দিলে জাপান তাদের মুক্তি দেয়। মোহনসিং তাদের নিয়ে গঠন করে আজাদ হিন্দ বাহিনী।

*জার্মান সেনারা রুশদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে। লেনিনগ্রাদ অবরুদ্ধ। বুভুক্ষু, বিদ্যুৎ নেই, শিশু খাদ্য শেষ। সপ্তাহে প্রতি শিশুর জন্য ছয় গ্রাম চিনি বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। এমন সময় ইয়ান র নামে এক জিপসী হিটলারকে ভবিষ্যৎবানী শুনায়, জার্মান বাহিনীর উপর বরফ পড়ছে। তারা পরাজিত হবে।

৬ নভেম্বর ১৯৪২, লাগোদা হ্রদ তোষারপাতে জমে শক্ত হয়। ২৭ দিনে জাভেরী থেকে ২০০ মাইল রাস্তা বানানো হয়। ৬ ডিসেম্বর রুশরা জার্মানদের হাত থেকে তিখধিন রেলস্টেশন দখল করে নেয়। জার্মানদের প্রথম পরাজয় শুরু হয়।

*হিটলার তার বাহিনীকে এমনভাবে তৈরি করেছিলেন যারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করতে পারে না। মৃত্যু হলেও আত্মসমর্পণ করবে না। কিন্তু, শেষের দিকে এর ব্যতীক্রম হয়েছিল। মিত্র বাহিনী স্ট্যালিন গ্রাদ অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। ফিল্ডমার্শাল পাউলাস ৯১০০০ সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পণ করে বসে।

* হিটলার ইহুদি বিদ্বেষী ছিলেন। উগ্রবাদী এই শাসক দেশ প্রেমের এক জলন্ত দৃষ্টান্ত। তার বান্ধবী ইভা ব্রাউন একজন ইহুদী। পরাজয়ের শেষ দিন, ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। শুধুমাত্র এই জন্য যে, কেউ যেন না বলতে পারে ইভা কে তার পরিচারিকা/রক্ষীতা  বলে অপবাদ দিতে না পারে। বিয়ের পরেই আত্মহত্যা করে।

*আইনস্টাইন ই পারমানবিক শক্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রথম উপলব্ধি করতে পারেন।

*৬ আগস্ট ১৯৪৫: জাপানের দাপট কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের পল টিবেটিস বৈমানিক এনোলা গে বিমান চালিয়ে নিয়ে যায়। লিটল বয়ের মারণাঘাতে তৎক্ষণাৎ ৬০০০০ নিরপরাধ  মানুষ প্রাণ হারায়। পরে সহ সর্বমোট ১৪০০০০ মারা মানুষ প্রাণ হারায়।

* কাজী নজরুল ইসলাম: রবীন্দ্রনাথের দেয়া নাম রেডিও, আকাশবাণীতে কাজ করেন। সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন।

✓ বেনুকা , দোলনচাঁপা তার গানের দুটি রাগিনী।

✓ শেষ বয়সে বাকশক্তি হারিয়ে মারা যান। ঢাবি, মসজিদের পাশে জাতীয় কবির মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।

*শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন: দুর্ভিক্ষের সময় কলকাতার এক ডাস্টবিনের পাশে এক নারী, শিশু, দুই কাক একে বিখ্যাত হয়ে যান। তার প্রথম বিক্রিত একটা কাকের ছবি যেটা কিনা তার আঁকা ছিল না। মাওলানা ইদ্রিসের চরিত্রের রূপক মানুষটির। জয়নুল আবেদিন তাতে স্বাক্ষর করেছিলেন মাত্র।

* হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা: বোম্বের মালাবাগ হিল, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও মহাত্মা গান্ধীর বৈঠক। গান্ধীর প্রস্তাবে জিন্নাহর অসম্মতি। খেলাফত আন্দোলন শুরু।

ক্লথ ব্যাটেনি ভারতবর্ষ ভাগের চিঠি প্রেরণ।


©Mithun

Saturday, August 22, 2020

দি মার্চেন্ট অব ভেনিস ____উইলিয়াম শেক্সপিয়ার

 #Book_Summery: (22)


দি মার্চেন্ট অব ভেনিস

____উইলিয়াম শেক্সপিয়ার


#জন্ম: (১৫৬৪-১৬১৬) স্ট্রাটফোর্ড অব এভন, ব্রিটেন।


নাটকটির কাহিনী আমাদের সকলেরই জানা। ইতালির ভেনিস শহরের বসবাসরত কয়েকজন বণিকের কাহিনী অবলম্বনে বিখ্যাত কবি নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এটি রচনা করেছিলেন।


#চরিত্র:

১.বেসানিও: ভাগ্য যাচাই।

২. পোরসিয়া: বেলমন্ত রাজ্যের রাজকুমারী। সুন্দরী, বিচক্ষণ।

৩.এন্তেনিও: ইতালির ভেনিস শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, উদার মনা।

৪.শায়লক: ইহুদি ব্যবসায়ী। প্রতিশোধ স্পৃহায় মোহমান।

৫. অন্যান্য ব্যবসায়ী বন্ধুরা:

> স্যালেরিও

> সোলানিও

> গ্রাসিয়ানো

> লরেঞ্জো: জেসিকার প্রেমিক।

> জেসিকা: ইহুদি শায়লকের মেয়ে।

> নেরিসা: প্রিন্সেসের পরিচারিকা।


#মূল_কাহিনী:


বেসানিও যাবে রাজকুমারীর বিয়ের পাত্র বাছাই প্রতিযোগিতায়। অনেক অর্থের প্রয়োজন। বন্ধু, এন্তেনিওর বানিজ্যিক জাহাজগুলো সমুদ্রে ভাসমান। কিন্তু, তাকে সাহায্য করতেই হবে। তাই সে নিজে জামিন থেকে, অদ্ভুত শর্তে রাজি হয়ে তিন হাজার ডোকুট ধার নিয়ে বেসানিওকে দেয়। শর্তানুযায়ী, যদি সঠিক সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিতে পারে তাহলে তার শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নিয়ে পূর্ব শত্রুতার প্রতিশোধ নিবে,শায়লক। বেলমন্তে, রাজ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। পোরসিয়ার বাবার কৌশল অনুযায়ী যে সোনা, রূপা ও সীসার তৈরী তিনটি বাক্স থেকে সঠিক বাক্সটি খুঁজে নিতে পারবে সেই রাজকন্যাকে বিয়ে করতে পারবে ও সমস্ত রাজ্য তার হবে। মরক্কোর প্রিন্স, বিভিন্ন রাজ্যের প্রিন্সরা এসে ব্যর্থ হয়। বেসানিও লোভকে সংবরণ করে বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়। সে সীসার বাক্সটি খুলে পরসিয়ার ছবি পায় ও উদ্দেশ্য সফল হয়।  

এন্তেনিওর সব জাহাজ ডুবে যাওয়ায় সঠিক সময়ে দেনা পরিশোধ না করতে পেরে মহাবিপদে পড়ে। চুক্তি অনুযায়ী শায়লক মাংস কাটবেই। ডিউকের উপস্থিতিতে বিচার শুরু হলো। কোন অনুনয় কিংবা দ্বিগুণ অর্থ পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতিতেও তাকে টলানো গেল না। পরসিয়া নিজে ছদ্মবেশে আইনজীবী হয়ে উপস্থিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী কেবল মাংস কাটতে পারবে, চুক্তিতে রক্তপাতের কথা নাই। আর সামান্য মাংস‌ও কম বা বেশি কাটা যাবে না। বাধ্য হয়ে শায়লক পিছু হটে। পরসিয়া আইনের মারপ্যাঁচ দেখিয়ে শায়লকের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এন্তেনিও তা না নিয়ে ইহুদীর মেয়েকে ও তার বন্ধু, লরেঞ্জোকে দিয়ে দেয়।


#বিখ্যাত_উক্তি: "পৃথিবীটা একটা রঙ্গমঞ্চ" (এন্তেনিওর ভাষ্যে)


©Mithun

নৃশংস ___সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ

 #Book_Summery:(21)


#নৃশংস

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ


#চরিত্র:

১.সাধু ( গোপিনাথ মুখার্জী ): ডাকাত কালু মুখোর্জীর ছেলে। মারণ নেশায় চুর।

২. বাহাদুর: কালুর শিষ্য, সাধুর গুরু।

৩. চাঁদ তারণ: বাসন ব্যবসায়ী। বাড়ি মোহনপুর।

৪. ভব মুক্তার: উকিল। ( তার বৌ-রমা, ছোট মেয়ে-শীমা)

৫. ঝুমুর: বড় মেয়ে। সাধু মেয়েটিকে ভালোবাসে।

৬.সঞ্জয়: জোয়াড়ী ব্যবসা।

৭.লতা: তার বৌ। সাধুকে ভাই বানায়।

৮.যতিন বাবু: থানার দারোগা

৯. করুণা: ছোট্ট মেয়ে।


কাহিনী সংক্ষেপ:

একটা মাফলার হলে সমস্ত পৃথিবীর মানুষকে মৃত্যু দন্ড দিয়ে দিতে পারা সাধু থাকে নিজের মতো করে। মানুষের গলায় ফাঁস লাগানোর জন্য‌ই যার জন্ম। ডাকাতের ছেলে ডাকাত‌ই হয়েছে। সামান্য কিছু বাসনের লোভে হত্যা করে মোহনপুরের বাসন‌ওয়ালা, চাঁদ তারণকে। মেরে মাঠে বালির মধ্যে পুঁতে রাখে। হত্যার কায়দাটা একটু ভিন্ন। প্রথমে টার্গেট করা, তার পর ভাব জমানো, শেষে হঠাৎ গলায় ফাঁস, চোখ আর জিহ্বা উপড়ে বেরিয়ে আসলে বুকের উপর হাঁটুর চাপ। একেবারে অব্যর্থ কায়দাটি শিখেছিল ওস্তাদ বাহাদুরের কাছ থেকে। 

ডাকাত থেকে বাসন‌ওয়ালা হয়ে যাত্রা করে মেলার উদ্দেশ্যে। পথে ভবমুক্তারের পরিবারের সাথে দেখা হয়। উকিলের দুই মেয়ের গলায় সোনার চেইন দেখে মাফলার হাতানো বেড়ে যায়। মুক্তারের বন্দুকের ভয়ে সেবার অনেক কষ্টে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে। মেলায় বাসন কম দামে বিক্রি করে ছোট খাটো একটা রাজা হয়ে যায়। মেলায় পরিচিত হয় জোয়াড়ী সঞ্জয় বোসের সাথে। লতা তাকে ভাই বানায়। সেখানেই থাকতে থাকে। কিন্তু, কুপ্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অল্প কিছু টাকার জন্য এক চানাচুর বিক্রেতাকে এক‌ই কায়দায় মেরে ফেলে। লতার ট্রাঙ্ক চুরি করার চেষ্টা করে অনেক বার। মেলায় উকিলের মেয়ে ঝুমুরের সাথে ভাব হয়। উপহার কেনা কাটা হয় কিন্তু দেয়া হয় না। এক রাতে গলার সেই হারটার জন্য সাধুর ভেতরে জেগে ওঠে অন্য একজন। ভালবাসার মানুষটিও ওর কাছে মূল্যহীন। কিন্তু, মারতে পারে না। কিছুদিন পর দ্বিতীয় খুন হয় মেলায়। মেলা বন্ধ হ‌ওয়ার উপক্রম। দারোগা যতিন বাবু আসামি খোঁজার দায়িত্ব নেন। সাধু , যতিনের মাফলার দিয়ে কাজ সেরে চলে যায় মেলা থেকে। সঞ্জয়রা বুঝতে পারে, তাদের ভুল। যেদিকেই যায় একটার পর একটা খুন হতেই থাকে। শেষে দেখা হয় ছোট্ট মেয়ে করুণার সাথে। মেয়েটির হাতের বালাটা দেখে সাধুর হাত আসফাস করতে থাকে। মাফলার পড়াতেও গিয়েছিল। কিন্তু পারে নাই। সাধু শেষে নিজেই ধরা দেয় পুলিশের কাছে। ফাঁসি হ‌ওয়ার আগে ঝুমুরের জন্য রেখে যায় একটি মেসেজ ও গিফ্টটা। সাধুকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।  সে আবার ফিরে আসবে।


@Mithun

দ্য দা ভিঞ্চি কোড___ড্যান ব্রাউন

 #Book_Summery: (20)


দ্য দা ভিঞ্চি কোড

____ আমেরিকান জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ড্যান ব্রাউন


প্রথম প্রকাশ:২০০৩

বঙ্গানুবাদ: নাজিম উদ্দিন


পূর্ব লেখ: একটা ব‌ই পড়ে সামারিটা সব সময় লিখে রাখার চেষ্টা করি। তবে যারা আগে ব‌ইগুলো কখনও পড়েন নি কিন্তু পড়তে চান, তারা এটা না পড়ে সরাসরি মূল ব‌ই পড়ে ফেলুন। না হলে পড়ার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাবে। এগুলো শুধু আমার নিজের গাইডের জন্য লেখা। তবে যারা আগে পড়েছেন, তারা চাইলে রিক্যাপ করতে পারবেন।


লিওনার্দো দা ভিঞ্চির গোপন পরিচয় ও তার চিত্রকর্মের বিশ্লেষণ, স্যার আইজ্যাক নিউটনের সমাধি রহস্য, প্রাচীন প্যাগান ধর্ম, বর্তমান খ্রীষ্ট ধর্মের মূল ভিত্তিই যে মিথ্যা, ব্রেইন ওয়াশিং ও উগ্রবাদী ধর্মীয় সংগঠন "ওপাসদাই" এবং মূল আকর্ষণ-সিক্রেট সোসাইটি "প্রায়রি অব সাইওন" ( ভ্রাতৃ সংঘ ) এর নেতৃবৃন্দ, কি স্টোন,হলি গ্রেইল এবং স্যাংগৃল অর্থাৎ গোপন দলিল দস্তাবেজের খোঁজ, যীশু খ্রিস্টের বংশ ইতিহাস সম্পর্কে রেফারেন্সসহ জানতে পারবেন।


চরিত্র:

১.রবার্ট ল্যাংডন: আমেরিকান সিম্বলজিস্ট

২.ল্যুভরের কিউরেটর জ্যাক সনিয়ে: শেষ গ্র্যান্ড মাস্টার, ভ্রাতৃ সংঘ।

৩.সোফি নেভু:ক্রিপ্টোলজিস্ট।

৪.ক্যাপ্টেন বেজু ফঁসে: DCPJ, ফ্রান্স 

৫.লেই টিবিং: মূল অপরাধী।

৬.বিশপ আরিঙ্গারোসা: পাদ্রী, ওপাসদাই।

৭.সাইলাস: বিশপের ভক্ত।

৮. সিস্টার সানরিন।


#হাইলাইট:

১০৯৯ সালে গডফ্রাই দ্যা বুইলো জেরুজালেমে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গোপন সংগঠন" প্রায়রি অব সাইওন"। ভ্রাতৃ সংঘের সকল দলিল ৯ বছর হেরট মন্দিরের নিচে থাকা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তার জন্য সরিয়ে নেয়া হতো (জেরুজালেম-ব্রিটেন-ফ্রান্স)। প্যাগান ধর্মে বিশ্বাসী এই সংঘের গ্র্যান্ড মাস্টারদের মধ্যে ছিলেন, স্যার আইজ্যাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, #লিওনার্দো_দা_ভিঞ্চি (১৫১০-১৫১৯), বত্তি চেল্লি সহ অনেকে।

জানতে পারবেন ল্যুভরে থাকা ভিঞ্চির আঁকা অনেক চিত্রকর্ম সম্পর্কে। #মোনালিসা( ৩১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ২১ ইঞ্চি প্রস্থ) নামটি ভিঞ্চি কেন দিয়েছিলেন? এটি আসলে নারী পুরুষের মিলিত নাম (হার্মাফ্রোডাইট) মা মিশরের দেবতা আমন-লিসার একটি এনাগ্রাম মাত্র। বর্তমানে যে খৃষ্ট ধর্ম তা সংকর ধর্মের একটি রূপ মাত্র। খৃষ্টানদের বর্তমানের বাইবেল বিন্যস্ত হয়েছিল প্যাগান রোমান সম্রাট কনস্টানটিন দ্যা গ্রেট কর্তৃক, দুই ধর্মের অনিবার্য যুদ্ধ ঠেকাতে সংকরায়নের ( প্যাগান প্রতীক, সন তারিখ, আচার মিশিয়ে এবং তার বাছাইকৃত নিউ টেস্টামেন্টের ৮০ টি গসপেলের সমন্বয়ে) মাধ্যমে। খৃষ্টানদের বড়দিন, সরকার সানডে সব‌ই প্যাগানদের থেকে চুরি করা। জানতে পারবেন যীশু খ্রিস্টের সাথে মেরি ম্যাগদালিনের সম্পর্ক, তারা কি বিবাহ করেছিল? তাদের ব্লাড লাইনের ইতিহাস রেফারেন্স সহ জানতে পারবেন। এমন সব সত্য ঘটনা প্রায়রিরা সংরক্ষণ করে যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে। যা প্রকাশ পেলে খৃষ্ট ধর্মের মূল ভিত্তিই ধ্বংস হয়ে যাবে। যীশু ঈশ্বরের পুত্র,মানুষ নয় বরং স্বর্গীয় দূত বলে তারা বিশ্বাস করে। কিন্তু প্রায়রিদের দলিল প্রকাশিত হলে সব কিছু উলট পালট হয়ে যাবে ,এই ভয়ে ভ্যাটিকানের পোপরা তখন থেকেই খুঁজে বেড়াচ্ছে সেগুলো ধ্বংস করার জন্য।

ওপাস দাই প্রায়রিদের গোপন দলিল হস্তগত করতে খুন করে প্রায়রির প্রধান চার জনকে। তার মধ্যে গ্যান্ড মাস্টার জ্যাক সনিয়ে ছিলেন। মারা যাওয়ার সময় গোপন তথ্যের সন্ধান কেবলমাত্র তার উত্তরসূরীর জন্য এনাগ্রাম আর ফিবোনাচ্চির সংখাক্রম দিয়ে সাজানো এক জটিল কোড রেখে যান। যার সমাধান কাহিনী নিয়েই মূল রহস্য গুলো উঠে আসে। ল্যাংডন আর সোফি নেভু অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কোডগুলো সমাধান করে  প্রায়রিদের কি-স্টোনটা খুঁজে পায় জুরিখ ডিপোজিটরি ব্যাংকের ভল্টে, মা বিশ্বে সুইজ ব্যাংকের মোট চারটি শাখার একটি। পুলিশ সনিয়ের মৃত্যুর তদন্তে ল্যাংডনকে সন্দেহ করে। কি-স্টোন নিয়ে উঠে বন্ধু লেই টিবিংয়ের শ্যাতু ভিলেতে। আলোচনায় আরও রহস্য উন্মোচন হয়। 

লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা "#দ্যা_লাস্ট_সাপার" যাতে যীশুর ১২ জন অনুসারীদের মধ্যে একজনকে সবার অলক্ষ্যে নারীরূপে ফুটিয়ে তুলা, মেরি ম্যাগদালিন যীশুর প্রেমিকা। চার্চ তাকে বেশ্যা বলে প্রচার করে। আর‌ও আছে চিত্রকর্ম ম্যাডোনা অব দি রকস, ভিট্রোভিয়া ম্যান, এডোরেশন অব দি মাজাই এর বিশ্লেষণ, #আইজ্যাক_নিউটনের সমাধি রহস্য উন্মোচন পাইরেক্সের তৈরি কাচের মতোই স্বচ্ছ করে তুলা হয়েছে। এছাড়া তাস খেলার সাথে টারোটের কি সম্পর্ক , তাদের প্রতীক কিসের গুরুত্ব বহন করে, প্যাগান ধর্মের গোপন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পদ্ধতি ও প্রতীক, নারী-পুরুষের প্রকৃত প্রতীক, জ্যোতির্বিদ্যার মঙ্গল আর ভেনাসের পেন্টাকল, নারীকে গোলাপ দিয়ে ভালোবাসা কেন জানানো হয়, নারীর গোপনাঙ্গের সাথে তার কি মিল, সময় নির্ধারক প্রাচীন রোজ লাইন বা দ্রাঘিমা রেখা ইত্যাদি আশ্চর্য সব অজানা তথ্য।

স্যাংগৃলের খোঁজে তারা ইংল্যান্ড যায়। কি-স্টোনের একটি কোড সমাধান হলে ধোঁয়ার আড়ালে থাকা অপরাধের মূল হুতা টিবিংয়ের সব ফাঁস হয়ে গেলে ল্যাংডন আর সোফির প্রাণ সংশয় হয়ে পড়ে। জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ক্যাপ্টেন ফঁসে। শেষে ল্যাংডন একাই স্যাংগৃলের খোঁজ পেলেও বিশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রকাশ করে না।


লেখকের দাবী: ব‌ইটির সমস্ত তথ্য ও উপাত্ত একেবারেই সত্য। তবুও এটা একটা ব‌ই মাত্র।


©Mithun

Thursday, August 6, 2020

বৈকুণ্ঠর_উইল ____শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

Book Summery:(18)


বৈকুণ্ঠর উইল

____শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়


চরিত্র:

১.বৈকুন্ঠ মজুমদার: মুদি দোকানদার, সৎ, আদর্শবান।
২.গোকুল ( বড়ছেলে) : সহজ সরল, সৎ, মা মৃত, ছাত্র ভালো না হ‌ওয়ায় বাবার দোকানের দায়িত্ব নেয়।
৩.বিনোদ ( বেনদা): ছোট ছেলে, ছাত্র ভালো, সঙ্গ দোষে নষ্ট।
৪.ভবানী: বিনোদের মা। গোকুলের সৎ মা। স্বামীর প্রতি অনুগত। অন্য সাধারণ মায়ের মতো না।
৫. মনোরমা: গোকুলের স্ত্রী। কূটবুদ্ধিতে নিরন্তর।
৬. নিমাই রায়: গোকুলের শ্বশুর।
৭.জয়লাল বাড়ুজ্জে: স্কুলের শিক্ষক, সুবিধাবাদী।

মূল কাহিনী:

বৈকুন্ঠ মজুমদার মুদি দোকান করে। কখনও কাউকে ঠকায় নাই। স্ত্রী ভবানী অনুগত ও স্বল্পভাষী। গোকুল তার সৎ ছেলে হলেও কখনো সে তাকে অন্য চোখে দেখে নাই। গোকুল পরীক্ষায় ফেল করেছে বলে পড়াবাদ দিয়ে বৈকুণ্ঠ তাকে দোকানে বসাতে চাইলে ভবানী তাকে বাধা দেয়। তাকে আরেকটা সুযোগ দিতে বলে, গোকুলকে বুঝ দেয়। এদিকে বিনোদ ক্লাসের ফার্স্ট হয়ে একেবারে ডবল প্রমোশন পেয়ে বসেছে। তাই দেখে জয়লাল এসে তেলা মাথায় তেল দিতে শুরু করে দিল। সে গোকুলকে গর্ধভে নামিয়ে এনে বিনোদের আকাশচুম্বী প্রশংসা করে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ধরিয়ে দিয়ে বৈকুণ্ঠের দোকানের বাকি খাওয়ার সম্ভাবনা আরও শক্ত করিল। গোকুল এত‌ই সরল যে পরীক্ষায় দেখার সুযোগ করে দিলেও দেখে নাই। বিনোদ কলিকাতায় লেখাপড়া করতে গিয়ে সঙ্গদোষে খারাপ হয়ে উঠেছিল। বৈকুণ্ঠ মারা যাবার সময় তার কষ্টে গড়া সম্পদ ও দোকান বিনোদের নামে কিছু দিলে পাছে নষ্ট করে ফেলে এই ভয়ে গোকুলকে লিখে দিয়ে যায়। আর বলে যায়, সে যেন তার মায়ের প্রতি অন্যায় না করে। সে ভালো হলে তাকে যেন সে তখন দেখে। গোকুল বিনোদকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকত। তার ভাই মেজিস্ট্রেট হবে বলে গর্ব করে। তার সকল খরচ গোকুল‌ই বহন করে। বাবার শ্রাদ্ধের সময়‌ও বিনোদ আসছে না দেখে গোকুল জয়লালের মাধ্যমে অনেক খবর পাঠিয়েছে। এই সুযোগে জয়লাল অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের ২ দিন আগে বিনোদ আসে । কিন্তু,কারো সাথেই কোন কথা বলে না। বৈকুণ্ঠের লিখে দেয়া উইলের বিরুদ্ধে এবার দাবি করে বসবে ভেবে স্ত্রী মনোরমা ,নানা রকম কূটবুদ্ধি দিতে থাকে স্বামীকে। গোকুল সহজ সরল, তাই সবকথায় সায় না দিয়েও কিছু কিছু কথায় আবেশিত হয়ে মাকে ব্যথা দিতে শুরু করল। স্ত্রীও ভবানীকে বাঁকা কথায় অতিষ্ঠ করে তুলল। মনোরমা , স্বামীর ব্যবসার ভার নিতে তার বাবা ধূর্ত, নিমাই রায়কে , ডেকে আনে। সে প্রথমেই এসে পুরানো হিসাব রক্ষককে তাড়িয়ে দিতে চাইলে ভবানী তাতে বাধা দিয়ে গোকুলকে হুকুম দিয়ে যায়। নিমাই রায় গোকুলকে ভবানী আর বিনোদের বিরুদ্ধে নানা ভুল তথ্য মিথ্যা অপবাদ দিয়ে খেপিয়ে তুলতে চায়। মনোরমার তিক্ত কথা আর সহ্য করতে না পেরে ভবানী তার ছোট ছেলেকে বলে তাকে নিয়ে যেন সে অন্যত্র চলে যায়। বিনোদ আলাদা বাসায় মাকে নিয়ে যেতে চাইলে গোকুল বাধা দেয়। কেন চলে যাচ্ছে এসবের কিছুই সে জানে না। অথচ, তার স্ত্রী বলেছিল, গোকুল নাকি তাদের চলে যেতে বলেছিল। গোকুল তাদের অত্যন্ত ভালোবাসত তাই সে কেঁদে কেঁদে বলল, মা কিভাবে ছেলেকে ছেড়ে চলে যেতে পারে? আলাদা বাসায় থাকা বিনোদকে জয়লাল খেপিয়ে তুলল। তার সম্পদ কেন সে দাবি করছে না। মাঝেমধ্যে গোকুল এসে তাদের বাসায় বাজার করে দিয়ে যায়। গোকুল তখনও তার ভাইকে নিয়ে লোকের সামনে গর্ব করে, তার ৪ টি পাশ করা ভাই মেজিস্ট্রেট হবে। বিনোদ এম.এ পরীক্ষা দেবে না শুনে মনে কষ্ট পায়। বিনোদ একদিন দুষ্টু বন্ধু আর জয়লালের প্ররোচনায় দাদার কাছে সম্পদ দাবি করতে আসে। বাবার কাছ থেকে সব সম্পদ একাই গোকুল লিখে নিয়েছে বলে চোর অপবাদ দেয় বিনোদের বন্ধুরা। যদি বিনোদ বলে সে চোর তাহলে সব দিয়ে চলে যাবে। জয়লাল তার মাকে স্বাক্ষী দিতে বললে, গোকুল বলে, কি মাকে তুই আদালতে নিবি..!! নিগে যা সব সম্পদ নিগে । নিমাই রায় বাধা দেয়, এভাবে সব দিয়ে দিতে চাইলে। গোকুল বিনোদকে বলল, তুই আমার পা ছুঁয়ে বল, আমি চোর। বিনোদ কেঁদে ওঠে বলল, আমি মদ খাই, কিন্তু আমি তোমাকে চিনি দাদা। তোমার পা ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করছি, আর কোনদিন মদ খাবো না। তোমার ভাই বলে যেন নিজেকে পরিচয় দিতে পারি আশির্বাদ করো। বলে পায়ে লুটিয়ে পড়ল।

©Mithun

দ্য লাভ ___সুবর্ণ আইজ্যাক বারী

Book Summery:(19)

দ্য লাভ

___সুবর্ণ আইজ্যাক বারী


জন্ম: ৯ এপ্রিল ২০১২
বাঙালি বংশোদ্ভূত মাত্র ৪বছরের শিশু PhD স্তরের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান , রসায়নের সমস্যা সমাধানে সক্ষম হ‌ওয়ায় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকে স্বীকৃতি পায়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক শিশুর প্রতিবাদ নিয়ে লেখা ব‌ইটি। পৃথিবীকে ধর্মীয় সাম্যের আওতায় এনে উগ্র ধর্মান্ধ, তালেবান ও আই.এস. (IS) দের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, হিংসাকে ভুলে থাকা ও সন্ত্রাসমুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন নিয়ে লেখা। প্রতিবাদে অংশ নেয় বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য দেশের জনতা।

১০ অধ্যায়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদের সংক্ষিপ্ত ঘটনার সমন্বয়ে এটি
১.#ইমামকে_আমেরিকার_জন্য_প্রার্থণা: করতে বললে সাড়া না দেয়ায় আঘাত থেকে জনক জর্জ ওয়াশিংটনের মূর্তির কাছে চিঠি লিখে। 
১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ , লাদেন কর্তৃক টুইন টাওয়ার আক্রমণ ও ধ্বংস। অনেক মানুষের প্রাণহানি।
২.#নিউইয়র্ক_বিশ্ববিদ্যালয়ে_সন্ত্রাস: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪; পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্কুলে তালেবানের হামলা, ১৩০ জন শিশু নিহত, ৫ বছরের খোলাসহ।
৩.#ওয়াশিংটনে_সন্ত্রাস: ৭ জানুয়ারি ২০১৫;
ফরাসি ব্যাঙ্গাত্মক পত্রিকা, চার্লি হেবড়ো, মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ব্যাঙ্গ করে কার্টুন, IS এর হুমকি।
৪.#আমি_সমকামীদের_ভালোবাসি:। ১২ জুন ২০১৪; লিঙ্গ সমতার পক্ষে।
৫.#ফারাজ_ও_তারিশি: ১ জুলাই ২০১৬; ঢাকার হলি আর্টিজানে রাত ৮ টায় ৭ জন জঙ্গী সন্ত্রাসী জিম্মিদের উপর নির্বীচারে গুলি চালালে, ক্যাফের প্রায় সবাই নিহত।
৬.#রোহিঙ্গাদের_বিরুদ্ধে_সন্ত্রাস: খ্রীষ্টপূর্ব ৩০০০ বছর আগে থেকে রোহিঙ্গারা মায়ানমারে বাস করে আসছে। অথচ তার এখনও নাগরিকত্ব পায় নি। দেশের সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত। 
অং সান সুচির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
৭.#দুই_ভাই : অপূর্ব এবং আইজ্যাক। আমেরিকার পতাকার প্রতি সম্মান দেখাতে গিয়ে স্কুল মিস। দেশপ্রেম।
৮.#মা_বনাম_পুত্র: ক্রিসমাস ট্রি এনে বড় দিন পালন নিয়ে মায়ের বাধা ও পরে অনুমতি।
৯.#সন্ত্রাসমুক্ত_পৃথিবী: লাদেনের হত্যার প্রতিশোধে জঙ্গি সংগঠন। মিসরীয় ক্রিসমাসের দিন গণহত্যা (২১ জন)। ইয়েমেনের ব্যস্ততম মসজিদে হামলায় ১৪০ জন নিহত।
১০.#ভূমিকা_লেখেন: ব্রঙ্কস সি কলেজের প্রেসিডেন্ট সিকেনেগ্নি।
১১.কাজী নজরুল ইসলাম ধর্ম বিরোধকে হ্রাসকল্পে তার ৪ পুত্রের নাম সব ধর্মের নাম মিশিয়ে রেখেছিলেন ( কৃষ্ণ মোহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ, কাজী সব্যসাচী ও কাজী অনিরুদ্ধ)
পৃথিবীতে ৭.৫ বিলিয়ন লোকের মধ্যে ২.২ বিলিয়ন খ্রিষ্টান, ১.৮ বিলিয়ন মুসলিম ( ২৪% মোট জনসংখ্যার), ইহুদি ১৫ মিলিয়ন (০.২%)। অথচ এখন পর্যন্ত ৯০০ জন নোবেলজয়ীদের মধ্যে ২০৩ জন‌ই ইহুদি (২৩%) এবং মুসলমান মাত্র ১০ জন। তাই সন্ত্রাসবাদকে ভুলে পরিবারের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা । গণিত ও বিজ্ঞান চর্চায় যোগ দেয়ার আহ্বান জানায়।

সোনালী পোকা

Book Summery:(16)


The Golden Bug ( সোনালী পোকা

___এডগার অ্যালান পো (১৮০৯)
প্রকাশ:১৮৪৪

লেখক পরিচিতি:

জন্ম: ১৮০৯, বোস্টন, আমেরিকা।
বাবা: ডেভিট পো
মা: এলিজাবেথ পো
১৮২৭ সালে আমেরিকান আর্মিতে যোগ দেন। পরে নিউইয়র্কে এসে বন্ধুহীন হয়ে পড়েন। এক গল্প প্রতিযোগিতায় তাঁর লেখা শ্রেষ্ঠ হলে তাঁর জীবন ঘুরে যায়।

চরিত্র: 

১.উইলিয়াম লীগ্র্যান্ড: আত্ম মর্যাদাবান শিক্ষিত, উচ্চ বংশ।
২.জুপিটার: উইলিয়ামের বাড়ির পুরানো কর্মচারী,ভৃত্য।
৩.লেখক: উইলিয়ামের বন্ধু। চার্লসটন শহরের বাসিন্দা।

মূল কাহিনী:

আত্মসম্মান আর আত্ম মর্যাদাবান হুগনেট বংশের ধনিক শ্রেণী থেকে ক্রমেই দরিদ্র সব হারাতে বসেছে। তাই সে নিজ জন্মস্থান নিউ এলিন্স ত্যাগ করে ভৃত্য জুপিটারকে সাথে নিয়ে চলে যায় দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার চার্লসটন শহরের নির্জন দ্বীপ সুলিভানে। বালিয়াড়ীময় দ্বীপে মাটল ফুলের সমারোহ। লীগ্র্যান্ড সেখানে কীটপতঙ্গ সংগ্রহ করে। একদিন জুপিটারের সহায়তায় এক আশ্চর্য সুন্দর সোনালী পোকা ধরে। উইলিয়াম তার বন্ধুকে সেই পোকা সম্পর্কে বলে ও একটা পুরানো এক টুকরা কুড়িয়ে পাওয়া কাগজে ছবি এঁকে তাকে দেখায়। বন্ধু বলে সে একটা মৃত মানুষের মাথার খুলি একেছে । উইলিয়ামের চিত্রকর্মের একটু সমালোচনা করলে সে রেগে যায় ও কাগজটি নিয়ে নেয় । সেও ফায়ার প্লেসের আগুনে দেখে তাতে মাথার খুলিই আঁকা, কিন্তু সে তা আঁকে নি। তাই কি ভেবে সেটা রেখে দেয়। ১ মাস উইলিয়ামের সাথে আর দেখা হয় না। হঠাৎ একদিন জুপিটার এসে খবর দেয় জুপিটার পাগল হয়ে যাচ্ছে। ও তার তার বন্ধুকে একটা চিঠি দিয়ে দ্রুত যেতে বলে। সে জুপিটারের সাথেই র‌ওনা হলো, সাথে দুটি কোদাল ও একটি বেলচা। উইলিয়াম লীগ্র্যান্ড তার পোকা টিকে দেখায় ও একটি অভিযানে সাথী হ‌ওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও অভিযানে যোগ দেয়।  প্রকৃত ভূখন্ডের পাহাড়ে গিয়ে দেখতে পায় কিছ সুউচ্চ ওক গাছ। তার‌ই সবচেয়ে বড়টিতে সোনালী পোকা নিয়ে উঠতে বলে জুপিটারকে। উইলিয়ামের নির্দেশমতো জুপিটার গাছটির ৭ম দুই জোড়া শাখায় উঠে মৃত ডাল বেয়ে খুঁজে পায় একটি মৃত মানুষের মাথার খুলি। নির্দেশমতো তার বা চোখের ভেতর দিয়ে সোনালী পোকা টা ফেলে দিলে যেখানে পড়ে সেখানে খুড়ে কিছু পায় না।আসলে সে ভুল চোখে দিয়েছিল। পরে উইলিয়াম হিসেবে করে আরেকটা জায়গা নির্বাচন করে খুঁজে পায় বিপুল ধন সম্পদ। তার হারানো বংশের ঐতিহ্য ফিরে পায়। রহস্য সমাধানে বন্ধুর প্রশ্নের উত্তরে উইলিয়াম সব খুলে বলে বিস্তারিতভাবে। সমুদ্রের তীরে ঘুরার সময় খুঁজে পায় সোনালী পোকাটাকে। উইলিয়াম ধরতে গেলে তার মাথায় কামড় বসিয়ে দেয়। পরে জুপিটার পাশেই বালির মধ্যে পড়ে থাকা একটুকরো কাগজ কুড়িয়ে পোকাটাকে ধরে তার প্রভুকে দেয়। সেই কাগজেই উইলিয়াম ছবি এঁকেছিল পোকার। উইলিয়াম ছবি আঁকার আগে বেশ ভালোভাবেই লক্ষ্য করেছিল দুই পাশ‌ই খালি। তার বন্ধু তখন অঙ্কিত ছবিটি দেখছিল তখন কুকুর নিউফাউন্ডল্যান্ডের ছুটে আসায় সেটি আগুনের পাশেই পড়ে যায়। পরে উইলিয়াম কাগজটি পরীক্ষা করে দেখে , প্যাচম্যান্ট নামক বিশেষ কাগজে তৈরীর সেটা। তাতে এমন কিছু কেমিক্যাল দিয়ে লেখা ছিল যা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পেলেই স্পষ্ট হয়ে উঠে।তাতেই সে সূত্র খুঁজে পায়। গোপন কোড সমাধান করে দস্যু কিডের বিপুল সম্পত্তির সন্ধান পায়।

©Mithun

Thursday, May 28, 2020

The The Vinci Code___Dan Brown_in Bangla

দ্য দা ভিঞ্চি কোড

ড্যান ব্রাউন

আমেরিকান জনপ্রিয় লেখক ইতিহাস অবলম্বনে রচনা করেন এক সুদীর্ঘ উপন্যাস। তুলে এনেছেন প্রাচীন প্যাগান ধর্মের কথা। প্রায়রী অব সাইয়ন ও ভ্যাটিকানের অঙ্গসংগঠন ওপাস দাইয়ের মধ্যে বিবাদ। লিওনার্দো দা ভিঞ্চির চিত্রকর্ম। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ল্যাংডন ,সফি নেভু, ল্যুভর মিউজিয়ামে কিউরেটর জ্যাক সনিয়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত । ভ্রাতৃসংঘের গোপন রহস্য এক চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি করে।

ব‌ইটি ডাউনলোড করতে Click here

Saturday, May 23, 2020

এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস ___ড্যান ব্রাউন

Book Review: (15)

এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস 

___ড্যান ব্রাউন 



# অত্যন্ত জনপ্রিয় ব‌ই এটি। তৃতীয় বারের মতো রিভাইজ শেষ। ইতিহাস,রহস্য আর থ্রিলিং মিলিয়ে এক অনবদ্য সৃষ্টি। তিনি আরেকটি বিখ্যাত ব‌ই লিখেছেন, #দ্য_দা_ভিঞ্চি_কোড ( ল্যুভর মিউজিয়ামে ভ্রাতৃ সংঘের রহস্য নিয়ে লেখা ) । যেখানে আছে রবার্ট ল্যাংডন, মিউজিয়ামের কিউরেটর জ্যাক সনিয়ে, নাতনি সফি , ক্যাপ্টেন বেজু ফসে ) । সত্য ঘটনাকে রংচং দিয়ে উপস্থাপন করেছেন তিনি এই ব‌ইটিতে। ২০ নং রিভিউতে থাকবে সেটা।

চরিত্র :

১.প্রফেসর রবার্ট ল্যাংডন: বিখ্যাত সিম্বলজিস্ট । লেখা ব‌ই The art of Illuminati (part 1 and part 2)
২. ইন্সপেক্টর জেনারেল অলিভিয়াটি ৩.কমান্ডার রিখটার
৪. মিস ভিট্টোরিয়া ভেট্রা
৫.ফাদার প্যাট্রিক : পোপের অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্বে।
৬.কার্ডিনাল স্ট্রাউস : পোপ নির্বাচক।

মূল কাহিনী:

বিজ্ঞানমনস্ক দের সাথে চার্চের বিবাদ বহুদিনের। রোমে সমগ্র বিশ্বের খ্রিস্টান ধর্মের পোপের মৃত্যু হয় । এইজন্য পোপ নির্বাচনের জন্য সমগ্র পৃথিবী থেকে এসেছে পবিত্র ধর্মগুরুরা। টানা নয়দিন শোক দিবস (Say day) পালন শেষে কার্ডিনাল স্ট্রাউসের নেতৃত্বে ধর্মগুরুরা গোপন বৈঠকে বসেছে পোপ নির্বাচনের জন্য। কিন্তু পদপ্রার্থী ৪ ধর্মগুরুরা এখনো নিখোঁজ। তার জন্যই ডাক পড়লো বিখ্যাত সিম্বলজিস্ট প্রফেসর ল্যাংডনের।
তার কাছে পাঠানো দূত একটা নকশা নিয়ে আসে। ল্যাংডন বুঝে সেটি এম্বিগ্রামে ছাপা । এটি এমন একটি লিখন পদ্ধতি যা সোজা কিংবা উল্টো যেদিক থেকেই পড়া হোক না কেন এক‌ই অর্থ দাঁড়ায়। এটি ইলুমিনাটিদের তৈরি যা গ্যালিলিওকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। ইলুমিনাটি অর্থ The enlighten one বা জ্ঞানী। গ্যালিলিও নিজেও ইলুমিনাটির সদস্য ছিল। তিনি তৈরি করেছিলেন Path of Illumination যা একটি গুপ্তপথ যেটি রোমের ভেতর দিয়ে চার্জ অব ইলুমিনেশন পর্যন্ত গিয়েছে । যারা এই পথের সমাধান করতে পারত তাদেরকেই ইলুমিনাতির সদস্য করে নেয়া হতো। গ্যালিলিও চেয়েছিল ধর্ম ও বিজ্ঞানের মিলন, কোনো বিবাদ নয়। ১৬৬৮ সালে চার ইলুমিনাটিকে চার্জ গরম লোহা বিদ্ধ করে হত্যা করে। তা থেকে জন্ম নেয় এক হিংসাত্মক ইলুমিনাটি সমাজের। তারা ৪ ধর্মগুরুকে অপহরণ করে, একটি বার্তা পাঠায় , " চারটি স্তম্ভ ধ্বংস করে দেবে,  ধর্মগুরুদের বুকে ইলুমিনাতির ছাপ ফেলবে, ভ্যাটিকান সিটিকে আলোয় গ্রাস করবে।" ল্যাংডন বার্তার অর্থোদ্ধার করে,চার স্তম্ভ= চার গর্মগুরু; ইলুমিনাটির পাঁচ চিহ্ন; আলোয় গ্রাস= বিস্ফোরক। মিস ভিট্রার তথ্য অনুযায়ী লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডের কোন স্থানে একটি এন্টিমেটার আছে যেটার ক্যানিস্টার চার্জ ফুরিয়ে নিচের অংশ স্পর্শ করে ফেলে ভয়ানক বিস্ফোরণে ভ্যাটিকান ধ্বংস হয়ে যাবে। ইলুমিনাটির পাঁচটি চিহ্ন হচ্ছে, Earth, Air, Water, Fire & Last one is unknown yet. ৯ম পোপ পায়াস ১৮৮৭ সালে চার্চে রাখা নগ্ন মূর্তি মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে সেগুলোকে নপুংসক বানিয়ে ফেলে । ল্যাংডন , ফাদার প্যাট্রিকের অনুমতি নিয়ে মিস ভেট্রাকে নিয়ে ভ্যাটিকান আর্কাইভে যায় গ্যালিলিওর তৃতীয় ব‌ই খুঁজতে। ইলুমিনাটির এক গুরুত্বপূর্ণ সংকেত 5D3 । Where, 5 =meaningful number, D= Diagrama-3 । গ্যালিলিও তিনটি ব‌ই লিখে গেছেন। ১. Dialogo ( সৌর জগৎ ও পৃথিবী নিয়ে অনেক সত্য তুলে ধরেন) ২. Discorsor ( এই ব‌ইতে চার্চের চাপে ১ম ব‌ইয়ের সবকিছুকে অমূলক বলেন) ৩. Diagramma Della Verita ( তার চূড়ান্ত বিচার ও সিদ্ধান্ত রেখে যান) । কোড অনুযায়ী ৫ নং পৃষ্ঠায় ক্লু থাকার কথা। সন্ধান পায় বার্নিনির ডিজাইন করা স্যান্টির ( শিল্পী রাফায়েল) বানানো সেন্টামারিয়া দেলপোপোলো ( পৃথিবীর প্রার্থণালয় )। পৃথিবী প্রথম ক্লু। সেখানে এঞ্জেল এন্ড ডেমনসের মূর্তি । যেখানে প্রথম কার্ডিনালের খুন, বুকে এম্বিগ্রামের ছাপ Earth । এঞ্জেলের হাতের আঙুল দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নির্দেশ ( সেন্ট পিটার্স্কয়ারের দিকে) । সেখানেই বায়ু সম্পর্কিত ২য় মূর্তি "এঞ্জেল"। তার মুখের হাওয়া পূর্ব দিক ব‌ইছে। অর্থাৎ পশ্চিমে বার্নিনির বানানো কোন মূর্তি থাকবে। ২য় ধর্মগুরুও মারা যায় , বুকে Air । পশ্চিমে গিয়ে সেন্টামারিয়া ডেলাভিটোরিয়াতে পায় ফেরাফিম অর্থাৎ আগুনের সাথে সম্পর্কিত মূর্তি " স্ট্যাচু অব সেন্ট টেরিজা"। ৩য় ধর্মগুরুর খুন ,বুকে ছাপ Fire । সময় বেশি নেই । ৪র্থ কার্ডিনালকে বাঁচাতেই হবে। তিনটি মূর্তিকে সরলরেখায় জুড়ে একটি হলি  ক্রস পায় , যেখানে চতুর্থটি। মূর্তির বল্লম এর ফলাও সেদিকেই নির্দেশ । পায় জলের সাথে সম্পর্কিত বার্নিনির বানানো " ফোর রিভার "। সেখানেই সেন্ট এঞ্জেলো জোসেল অর্থাৎ চার্চ অব ইলুমিনেশন অবস্থিত। রিখটার ল্যাংডনকে সাহায্য না করে চলে আসলে তাকে সন্দেহ করে। অলিভিয়াটি এবং ভেট্রাকে নিয়ে সেখানে গিয়ে ৪ র্থ কার্ডিনালকে পায় । তার বুকেও  Water মার্ক। কিন্তু, সে তখনও জীবিত, হাসপাতালে নিয়ে যায়। রিখটার সব বুঝে যায়, তাই সে ফাদার প্যাট্রিকের ঘরে গিয়ে সব বলে দেয়। প্যাট্রিক চালাকি করে নিজের বুকেই ইলুমিনাটির ৫ম চিহ্নের ছাপ ফেলে। স্ট্রাউস ঘরে ঢুকেই দেখে রিখটার গুলি হাতে দাঁড়িয়ে। কিছু বুঝে উঠার আগেই সুইজ গার্ডের দুজন গুলি করে ইলুমিনাটি ভেবে। প্যাট্রিক তখন তার জানা জায়গা থেকে এন্টিমেটারটা নিয়ে হেলিকপ্টারে করে উপরে উঠে বিস্ফোরন ঘটিয়ে প্যারাসুটে নিচে নেমে আসে। সবাই তাদের যোগ্য ধর্মগুরুর সাহসিকতায় তালি দিতে থাকল। কিন্তু, রিখটারের বুদ্ধিতে ল্যাংডনের পকেটে রেখে যাওয়া , মোবাইলের রেকর্ডে সব ফাঁস হয়ে যায়। ফাদার প্যাট্রিকের আর পোপ হ‌ওয়া হলো না। সে নিজেই ইলুমিনাটির সদস্য ছিল। গায়ে আগুন দিয়ে মারা যায়। সেও বিজ্ঞান ও ধর্মের মিলন চেয়েছিল। বোঝাতে চেয়েছিল এরা পরস্পর বিরোধী নয়, বরং এক।

#বি_দ্র: ইলুমিনাটির ৫ম চিহ্ন কি তা তিনিও উল্লেখ করেননি।

©Mithun

Thursday, May 21, 2020

অরক্ষণীয়া __ শর‌ৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

Book Review: (14)

অরক্ষণীয়া

__ শর‌ৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়


চরিত্র:


১. অতুল:  শিক্ষিত, অসুস্থে জ্ঞানদা তাহার সেবা করিয়া সারিয়া তুলে, ভালবাসে। স্বর্ণার মামাতো ভাই।
২. জ্ঞানদা: কুশ্রী , কালো, বেটে, ভদ্র, সহিঞ্চু মেয়ে।

# ৩ ভাই ও বৌ:
* গোলকনাথ (বড়), মৃত : বৌ- স্বর্ণা : নির্দয়, হিংসুটে, নিঃসন্তান।
* প্রিয়নাথ (মেজো), মারা যায়, মেয়ে-জ্ঞানদা, বৌ- দূর্গা মনি: গরিব ,সহিঞ্চু , হতভাগী।
*অনাথ (ছোট) , মেয়ে-মাধুরী; ছোট বৌ: অলস, নিরব, আরাম প্রিয়।
৪.মাধুরী: সুন্দর, শিক্ষিত, আনাড়ী।
৫. শম্ভু চ্যাটার্জী: হরিপালে থাকে। দূর্গার বড় ভাই।
৬. ভামিনী (পোড়াকাঠ) : ম্যালেরিয়ায় পোড়া কাঠ। তবে আতিথেয় প্রবন।


মূল কাহিনী:


অতুলের দূরারোগ্য রোগে তখন কেউ কাছেও যেত না তখন জ্ঞানদা তার সেবা করিয়া সুস্থ করিয়া তুলিয়াছিল। সেই থেকে অতুল তাহাকে ভালবাসিয়াছে। কলিকাতা হ‌ইতে দু গোছা চুড়ি আনিয়া উপহার দেয় তাকে । পিতার মৃত্যুর দিন অতুল প্রিয়নাথকে কথা দিয়াছিল তার মেয়ের ভার সে নিয়া ল‌ইল। স্বামী হারিয়ে অনাথের ঘাড়ে পড়া দূর্গা ও মেয়ে দু বৌয়ের নানা নির্যাতন সহ্য করিত। অনাথের রান্নাও তাহার করিতে হ‌ইত। তাহার উপর নানা ঝাঁঝালো কথা। একদিন মেয়ে ল‌ইয়া হরিপালে বাবার ভিটায় ভাই শম্ভু চ্যাটার্জীর বাড়িতে গিয়া উঠে। ভামিনী তিক্ত কথা বলিলেও সে দয়ালু ছিল। শম্ভু অনূড়া মেয়ের বিবাহ দিতে চায় তার পরিচিত এক দুঃশ্চরিত্র বৌ মেরে ফেলা বুড়ো পাত্রের কাছে, যাহাতে তাহার কট দেওয়া জমি ছুটাইয়া ল‌ইতে পারে। জ্ঞানদার ম্যালেরিয়া হয়। জ্বরে কালো মুখ আরো কালো, মাথার চুল উঠে যাইয়া কুশ্রীতর হ‌ইয়া উঠিয়াছে। দাদার ঠিক করা পাত্রের কাছে দূর্গা তাহার মেয়েকে দেবে না এবং পাত্রের তাহার ঠিক করাই আছে বলিয়া স্বামীর ভিটায় আসিয়া উপস্থিত হয়। শুরু হয় আবার সেই অন্তর ছিদ্র করা স্বর্ণার কথার ঝাঁঝ। দূর্গা চিন্তায় অসুস্থ হ‌ইয়া উঠে। অতুল তাহার দেওয়া কথা ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া বিয়ে ঠিক হয় অনাথের মেয়ে, মাধুরীর সাথে। ছোট বৌ তাহাদের কষ্ট বুঝিত, কিন্তু প্রতিবাদ করিত না। অতুল তাহার মেয়েকে বিবাহ করুক এটা এটা সেও সমর্থন করিত না। অনাথ জ্ঞানদাকে বিদায় করিতে সব বুড়ো, অপাত্র আনিতে থাকে। কিন্তু, জ্ঞানদার কুশ্রীতে তাহারা নিন্দা করিয়া চলিয়া যাইত। এমন বিশ্রী মেয়ে সকলের‌ই চক্ষুশূল হ‌ইয়া পড়ে। অসুস্থ মা অসহ্য হ‌ইয়া উঠিয়া মেয়ের মৃত্যু কামনা করিয়া উঠিল। জ্ঞানদা তাহাও সহ্য করিয়া যায়। মরিতে সেও চায় ,কিন্তু অসুস্থ মাকে একা রেখে যেতে পারে না। একদিন এসব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাইয়া পরলোকগমন করে দূর্গা। চিতায় আগুন দিতে সকলেই একত্রিত হ‌ইয়াছিল। অতুল‌ও আসিয়াছে। জ্ঞানদার চোখের পানি শুকাইয়া অন্তর কাঠ হ‌ইয়া গিয়াছে। গিয়ে নদীর ধারে মুখ ফিরাইয়া বসিয়া র‌ইল। অতুলের মনে চিতার আগুনে ভাসিয়া উঠিল তাহার সেই দূর্দিনের কথা। যেদিন তাহার পাশে কেউই ছিল না। একমাত্র ঐ কুশ্রী মেয়েটিই ছিল । এতদিন সেই মেয়েটি তাহার জন্য অপেক্ষা করিয়া,  অনেক লজ্জা বিলাইয়া দিয়া অনেক অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করিয়া আসিয়াছে। আর সহ্য না করিতে না পারিয়া জ্ঞানদা তাহার অন্তরের মধ্যে পুশিয়া আসা আশা টাকে ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া অতুলের দেয়া চুড়ি গুছা দুটো তাহার সামনেই ভাঙ্গিয়া চলিয়া আসিল। অতুল তাহাই কুড়িয়া আনিয়া মুঠো ভরে জ্ঞানদার সম্মুখেতুলিয়া ধরিয়া ক্ষমা চাইয়া তাহাকে সাথে করিয়া বাড়ি ল‌ইয়া চলিল। মুখপোড়া মেয়েটির মুখ যেন রাঙ্গা হ‌ইয়া উঠিয়াছে।

©Mithun

Thursday, May 14, 2020

ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন ___সৌরভ মুখোপাধ্যায়

Book Review: (13)

ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন 

___সৌরভ মুখোপাধ্যায়



চরিত্র:

১.ক্যাপটেন টমসন : গ্রীন অলিভস জাহাজ
২.কটেজ :রাজপ্রতিনিধি-১
৩. বিলবার্ডি: রাজপ্রতিনিধি-২
৪. ফ্র্যাঙ্ক কিটিং: ইংরেজ জাহাজের ক্যাপ্টেন
৫. বেনিটো: জলদস্যুদের জাহাজের ক্যাপ্টেন

মূল কাহিনী:

দেশে যুদ্ধাশঙ্কায় ক্যাপ্টেন টমসন ইউরোপের পেরুর বিপুল গুপ্তধন তার জাহাজে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্ডার পায় রাজার কাছ থেকে। গন্তব্য লিমা দ্বীপ। এজন্য প্রচুর টাকা পাবেন টমসন। আর গুপ্তধনের কথা তার কাছে গোপন রাখা হয় সাথে রাজার বিশ্বস্ত রাজপ্রতিনিধি দেয়া হয়। নির্ধারিত দিনে জাহাজ ছাড়লো । ঐ দুইজন রাজ প্রতিনিধি ছাড়া কেউই জানে না জাহাজের বাক্সগুলোতে কি আছে। বেশ কয়েকদিন চলার পর টমসন দুষ্টবুদ্ধি আটে, সে রাজপ্রতিনিধিদের মদের নেশায় চুর করে সব গুপ্তধনের সন্ধান জেনে যায় । লোভের তাড়নায় তাদের দুজনকে খুন করে বাকি মাঝি-মাল্লাদের‌ও হত্যা করে সলিল সমাধি সারে। তারপর সব স্বর্ণসহ জাহাজ নিয়ে "খোকস" দ্বীপে গিয়ে উঠে। সেখানে একটা গুহার মধ্যে সমস্ত গুপ্তধন রেখে মাটি চাপা দিয়ে তার উপর গাছ লাগিয়ে, ইউরোপের দিকে রওনা দেয় । গ্রীন অলিভ জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। ছোট্ট একটা নৌকায় করে ফিরতে থাকে, যেন গিয়ে বলতে পারে যে তার জাহাজ পানিতে ডুবে সবাই মারা গেছে সে শুধুমাত্র বেঁচে ফিরতে পেরেছে। পরে ধীরে ধীরে সে সম্পদ নিয়ে যাবে। সে ভাসতে-ভাসতে একটা জাহাজ দেখতে পায় সামনে। খুশি হয়ে তাতে গিয়ে ওঠে কিন্তু হায়! এটা জলদস্যুদের জাহাজ । জলদস্যুদের জাহাজের ক্যাপ্টেন, বেনিটো, সমস্ত কিছু জানতে চায় আর তার ধূর্ততার কাছে মৃত্যু ভয়ে সব বলে দিতে বাধ্য হয়় । তাকে নিয়ে আবার সেই "খোকস" দ্বীপে যায়। তারা গিয়ে গুহাটি সন্ধান দিতে বলে কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে যায় টমসন। নিরাশ হয়ে জলদস্যুদের জাহাজ চলে যায় । সে বেরিয়ে এসে একটা গাছের গুড়ির ভেলায় চড়ে আধমরা হয়ে সমুদ্রে ভাসতে থাকে। লবন পানিতে পায়ের ক্ষতস্থানে ঘা ধরে গেছে। এমন অবস্থায় মুমূর্ষু টমসনকে দেখতে পেয়ে ইংরেজ জাহাজ তাকে উঠিয়ে নেয়। দীর্ঘদিন অনাহারে, পিপাসায় এতটাই ভেঙে পড়েছে যে তার দিকে আর তাকানো যায় না। সে বদ্ধ পাগল হয়ে যায় ভুলে যায় তার ধন-ভান্ডারের কথা । বৃদ্ধ অবস্থায় ভবঘুরে হয়ে সমুদ্র তীরে দাঁড়িয়ে থাকতো।মৃত্যুর আগে মনে পড়ে । মারা যাবার আগে সে একটা ম্যাপ একে যায় সমুদ্রের তীরে। মানুষ তার সংকেত বুঝতে পারে না। সমুদ্রের পানিতে সেই বালিয়াড়ীর ম্যাপ মিলিয়ে যায়। এভাবেই খোকস হয়ে  উঠলো গোপন বিপুল রত্নভাণ্ডারের দ্বীপ ।

©Mithun

কঙ্কাল দ্বীপের রহস্য ___আলফ্রেড হিচকক

Book Review: (12)

কঙ্কাল দ্বীপের রহস্য 

___আলফ্রেড হিচকক



চরিত্র:

 তিন গোয়েন্দা
১.পিট
২.বব ও
৩.জুপিটার
# দুই ডাকাত
৪.বেল ও
৫. জিম
৬. ক্রিস ( বালক ) : অসুস্থ বাবার চিকিৎসার টাকা জোগাতে গুপ্তধন খোঁজে।
৭. উইলবার্ট : দ্বীপের মালিক।

কাহিনী:

আফ্রিকার কাছে কঙ্কাল দ্বীপে মুভির কাজ করতে গিয়েছে আলফ্রেড হিচককের পাঠানো টিম । তার নেতৃত্বে ছিল ববের বাবা। হিচকক মুভিতে তিন গোয়েন্দার পার্ট আছে। তাই তাদের সেই দ্বীপে পাঠায় । কিন্তু যাওয়ার সময় ঘটে যায় এক ঘটনা। কঙ্কাল দ্বীপে যাওয়ার সময় এক আগন্তুক মাঝি তাদেরকে ভুল দ্বীপে নামিয়ে দিয়ে চলে আসে। তারা গন্তব্যে পৌঁছার পরিবর্তে আটকা পড়ে যায় সেখানে। সেখান থেকে কঙ্কাল দ্বীপে পৌঁছে ক্রিসের সহযোগিতায়। সেই থেকে তার সাথে বন্ধুত্ব হয় তাদের। ক্রিস তাদের দুরবস্থার কথা বলে । শুনে ওরাও ব্যথিত  হলো । দ্বীপে পৌঁছে সব ঘটনা বললে ক্রেস্টান রেগে যায়। সে ক্রিসকে দেখতে পারে না। দ্বীপের লোকজন কুসংস্কারাচ্ছন্ন । প্রত্যেক পূর্ণিমা রাতে দ্বীপে ভূত এর আগমন ঘটে এই ধারণায় কেউ ওই রাতে বাইরে বের হয়না। পিট , জুপিটার ও ববকে সাঁতার শেখায় ক্রিস। একদিন জুপিটারের জ্বর আসলে শেয়ার সাঁতার কাটতে জায় না। বব ও পিট নিয়মিত সমুদ্রে যেত। ক্রিস ভালো ডুবুরী। সে এক ডুবে অনেকক্ষণ থাকতে পারে পানির নিচে। পাশে একটা দ্বীপে বিয়ে গুপ্তধনের খোঁজ করে । ক্রিস একবার এক ডুবে একটা় স্বর্ণমুদ্রা তুলে আনে। পরের দিন‌ও আসে তারা। হ্যান্ড দ্বীপে ক্রিস প্রথমে কিছু না পেলেও একসময় একটা গুহার সন্ধান পায় পানির নিচে । তারা সেখানে যায় , গিয়ে যাকাত অন‌ইয়ারের গুপ্তধন পায় । গুহাটির মুখ বন্ধ করে চলে আসে। কথাটা যাতে যেন জানি না হয় তাই তারা চেপে যায় । এমন সময় একটা দ্রুতগামী স্পিডবোট এসে ক্রিসের ছোট নৌকাটাকে ভেঙে দিয়ে যায়। বব আর পিট ফিরতে দেরি হওয়ায় জুপিটার এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। এক রাতে দ্বীপের রহস্য ভেদ করতে জুপিটার তার সঙ্গীদের পাঠায় । রাতে চুপিচুপি জঙ্গল পেরিয়ে দ্বীপের মধ্যে লুকিয়ে দেখতে পায় তিনজন লোককে। অর্থ ভাগ্যের কথা হচ্ছিল।দ্বীপের প্রহরী, টম, তার অংশ কিছুতেই ছেড়ে দিবে না। তাই নিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় এমন সময় বেরিয়ে আসে পিট ও বব। আক্রমণ করে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়া ডাকাত বেল ও জিম তাদের রেখে যাওয়া গুপ্তধন নিতে এসেছে। বেল ও জিমের কাছে অস্ত্র ছিল তা দিয়েই ধরাশায়ী করে পিট ও ববকে , এমন সময় ক্রিস এসে তাদেরকে বাঁচায়। জুপিটার ইতিমধ্যে পুলিশ নিয়ে এসে অপরাধীদের ধরিয়ে দেয় ।

©Mithun


Monday, May 11, 2020

দি আলকেমিস্ট ___পাওলো কোয়েলো

Book Review: (11)

দি আলকেমিস্ট

 ___পাওলো কোয়েলো




#চরিত্র :

১.সন্টিয়াগো (রাখাল) : মেষ চড়াতো। বই পড়তে পারতো। স্বপ্ন , ভ্রমণ করবে । মাঝে মাঝে স্বপ্নে কিছু একটা দেখে যার অর্থ শোনার জন্য এক বৃদ্ধার কাছে যায়। সে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেয় এমন যে,' সে মিশরের পিরামিডের কাছে গুপ্তধনের সন্ধান পাবে ।' কিন্তু তাকে একটি শর্ত দেয় ,তাকে তার  দশ ভাগের এক ভাগ দিতে হবে।
২. বৃদ্ধ রাজা: 6 টি ভেড়ার বিনিময়ে ২ টি পাথর দেয় ( যেগুলো তাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে )
৩.আলকেমিস্ট: বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন, শিক্ষিত, আধ্যাত্মিক জ্ঞানসম্পন্ন।

মূল কাহিনী:

যুবক মেষ বিক্রি করে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু পথে প্রতারকের খপ্পরে পরে সব হারায়। এক রত্ন বিক্রেতার কাছে চাকরি পায় । মুসলিম রত্ন ব্যবসায়ীর সান্নিধ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। কাচের গ্লাসে চা বিক্রি করতে থাকে। ব্যবসায় নতুনত্ব আসায় অনেক লাভ হয় । সাহারা মরুভূমি পাড়ি দিতে হবে । স‌ঙ্গ নেয় এক কাফেলায়। কিন্তু মরু বড় নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে। মরুদ্দ্যানের কাছে পৌঁছালে দুই গ্রুপের  মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায় । সেখানে তাদের বাধ্য হয়েই যাত্রা বিরতি করতে হয় । সেখানে কুয়োর কাছে পানি আনতে গেলে এক যুবতীর সাথে দেখা হয় । তারা প্রেমে পড়ে যায়।  এর আগেও এক বনিকের মেয়ের প্রেমে পড়েছিল । বালক দুটো বাজপাখির মারামারি পর্যবেক্ষণ করে ভবিষ্যদ্বাণী করে যে, একদল সৈন্য সেই রাজ্য আক্রমণ করতে এগিয়ে আসছে। পূর্বাভাস পাওয়ায় যুদ্ধে জয়ী হয়। সেজন্য যুবক স্বর্ণমুদ্র উপহার ও সেখানে উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পায়। কিন্তু তার স্বপ্ন জয়ের জন্য তাকে ছেড়ে যেতে হয় । দেখা হয় এক ইংরেজ যুবক, যেও এক‌ই উদ্দেশ্যে এসেছে । একসময় দেখা হ়য় আলকেমিস্টের সাথে। আলকেমিস্ট হলো তারাই যারা পৃথিবীর ভাষা বোঝে অর্থাৎ সকল কিছুর অর্থ তারা বোঝে । যারা লোহাকে সোনাই রূপান্তরিত করতে পারে। আলকেমিস্ট তার পরীক্ষা নিয়ে সফল হলে, তাকে সে সাহায্য করতে রাজি হয় । তারা দুজন যাত্রা শুরু করে। পথের মধ্যে একদল সৈন্য আটকায় ও সেনাপ্রধানের কাছে নিয়ে গেলে তাদের শাস্তি দেয়, মৃত্যুদন্ড । তা থেকে বাঁচতে আলকেমিস্ট কথা দেয় , মানুষ বাতাসে পরিণত হয়ে তাদের তাবু উড়িয়ে দেবে। শিষ্য বাতাসের রূপধারণ করতে সক্ষম হয় ও শর্তানুযায়ী মুক্তি পায়। মিশরের কাছে পৌঁছে আলকামিস্ট একটি পাত্রে সীসা রেখে তাতে সোনায় পরিণত করে। যুবকের হারানোর উপহার / ক্ষতিপূরণ হিসেবে যুবক, সঙ্গী ও নিজে ৩ ভাগ করে নেয়। যুবক পিরামিড দেখতে পায় ও একটি জায়গায় শুভ লক্ষণ দেখে মাটি খুঁড়তে থাকে। এমন সময় ডাকাত এসে আবার সবকিছু নিয়ে যায় । তখন সে বুঝতে পারে গুপ্তধন সেখানে নেই । বরং তার দ্বীপে গির্জার পাশে একটি গাছের নিচে আছে। তখন তারা খুঁজে পায়। প্রেমিকাকে বিয়ে করে । ধনী হওয়া সত্ত্বেও মেষ ক্রয় করে আবার রাখাল হয়ে যায় ।

শিক্ষনীয়:

১.স্বপ্ন জয়ে় ব্রত হতে হবে ( প্যাশনেট)।
২.সংগ্রাম করেই জয় ছিনিয়ে আনতে হবে ।
৩."যখন কেউ কিছু পেতে চায় ,তখন সমস্ত পৃথিবী তার জন্য সাহায্য করতে থাকে ।"
৪.প্রচুর বই পড়তে হবে ।
৫.প্রকৃতির মাহাত্ম্য বুঝার চেষ্টা করতে হবে ।
৬. শুভ লক্ষণ বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
৭.ভাগ্যে যা থাকবে তা ঘটবেই।

©Mithun

Saturday, May 9, 2020

আরেক ফাল্গুন ___জহির রায়হান

Book Review: (10)

# আরেক ফাল্গুন 

___জহির রায়হান


এটি ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম উপন্যাস।

#চরিত্র: 

১.আসাদ ২.মালতি ৩.সালমা ও তার স্বামী ৪.রওশন (রাজশাহী জেলে বন্দি) ৫.মমিন ৬.কবি রসুল (কালো কাপড় সেলাই) ৭. ডলি ৮.লেখক বজলে হোসেন ৯.নীলা ১০. বেনু ১১.সবুর ১২.রাহাত ১৩.মাহমুদ ১৪.শাহানা ১৫.মাহের(আঠা লাগানো) ১৬.ওসমান ১৭.রশিদ চৌধুরী (ঘুমাচ্ছিল) ১৮.রাজ্জাক সাহেব (রাজমিস্ত্রি) ১৯.জাহানারা ২০. বিলকিস ২১.শাহেদ ২২.পুলিশ কিউ খান

## সালমান কাছে মালতি চাঁদার টাকা নিতে এসেছে । আসাদ সালমাকে কালোব্যাজ দিতে এসেছে । রাতে তার বাসায় সাহেদের সাথে ছিল সে। বরকতের মৃত্যুতে সবাই শোকাহত। শোক পালন করে কালো ব্যাজ ধারণ করে। কিন্তু তা পড়া নিষেধ দেখে নীলা ও বেনু কালো শাড়ি পড়েছে । আন্দোলনের নেতৃত্বে মমিন । সালমার স্বামী রাজশাহী জেলে বন্দী । মাঝে মাঝে তার চিঠি আসে। আসাদ হয়তো তাকে পছন্দ করে ফেলেছে এই কয়দিনে। মুমিনের বাসায় রাতে পুলিশ সার্চ করে কিন্তু সে বাইরে থাকায় বেঁচে যায় । মমিনকে ডলি হয়ত ভালোবাসতো কিন্তু কিভাবে যে সে লেখক বজলের সাথে এন্গেজড হয়ে গেল সেও বুঝিতে পারে না । বজলে ডলির কাছ থেকে সর্বস্বই পেয়েছে । বজলে নিরপেক্ষ মানুষ। সে মমিন এর রাজনৈতিক আদর্শকে ঘৃণা করে । মাহমুদ, শাহানা এক সাথেই থাকত। একদিন প্রণয়ী শাহানা তাকে ফেলে চলে যায় । একদিন বজলে কেউ প্রণয়ে আমন্ত্রণ জানায় । ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে শহীদ হয় রফিক ,জব্বার, বরকত । বরকতের উরুতে গুলি লাগলে রক্তক্ষরণে মারা যায়। তাদের স্মরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের সামনে যেখানে রফিক শহীদ হয় (প্রথম শহীদ) সেখানে চার হাজার ইট দিয়ে মিস্ত্রী রাজ্জাক সাহেবকে দিয়ে তৈরি করে শহীদ মিনার। শহীদদের স্মরণে রোজা রেখেছে তারা অনেকই ।কেউ কেউ বড় কর্তাদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করছিল এমনই একজন মাহমুদ। সবুর ও টাকার লোভে গোপনে রিপোর্ট দিয়ে যায়। মিলিটারি এসে শহীদ মিনার গুঁড়িয়ে দিলে কালো কাপড় দিয়ে ছাত্ররা জায়গাটা ঘিরে দেয় । বেধিতে ফুলের মালা অর্পণ করে। চামেলি হল, ফজলুল হক হল ,মেডিকেল হল, মুসলিম হল, ইডেন হোস্টেল , বান্ধব কুটিরে আন্দোলনের গমগম রব উঠেছে ও কালো পতাকা উত্তোলন করেছে । কিউ খানের নেতৃত্বে পুলিশ লাঠিচার্জ ও গ্রেপ্তার শুরু করছে । একে একে সবাই গ্রেপ্তার হয়। তবু তাদের কন্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ,"শহীদদের খুন ভুলবো না,‌বরকতের খুন ভুলবো না ।"

©Mithun

Thursday, May 7, 2020

ফ্রাঙ্কেস্টাইন

Book Review: (09)

#ফ্রাঙ্কেস্টাইন

___মেরি শেলি



#চরিত্র:

১.ভিক্টর /ফ্রাঙ্কেস্টাইন: নায়ক, বিচক্ষণ, বিজ্ঞানী (রবার্ট তাকে মুমূর্ষু অবস্থায়)
২. এলিজাবেথ: ভিক্টরের বাবা তাকে দত্তক নেয়। দায়িত্বশীল যত্নশীল মেয়ে। ভিক্টরের সাথে বিয়ের রাতে খুন হয়।
৩. আলফা অন্স ফ্রাঙ্কেস্টাইন: বাবা
৪.উইলিয়াম: (ছোট ভাই ) ছোট, সুন্দর চেহারা (খুন হয়)
৫. হেনরি: বন্ধু
৬.জাস্টিন মরিস : উইলিয়ামকে ভালোবাসতো । তাকেই খুনের দায়ে ফাঁসি দেওয়া হয় অথচ সে নির্দোষ।
৭. রবার্ট ওয়ালটন: জাহাজের ক্যাপ্টেন (উত্তর মেরু আবিষ্কারের বেরিয়ে পড়ে)
৮. মার্গারেট: রবার্টের বোন। তার যাত্রার সকল ঘটনার বোনকে জানায় চিঠিতে।
৯.‌ কারউইন: আয়ারল্যান্ডের বিচারক। ১০. মা: ভিক্টরের পরিবার থাকতো সুইজারল্যান্ডে।

## রবার্ট ওয়ালটন মেরুর উদ্দেশ্যে চলছে। যাত্রার সমস্ত ঘটনা মার্গারেটকে চিঠিতে লিখছে।
সমুদ্রের মধ্যে বরফখন্ডের উপর ভেসে আসা এক মুমূর্ষ ব্যক্তিকে খুঁজে পায় ,নাম ফ্রাঙ্কেস্টাইন। তার সকল ঘটনা় শোনেন ও চিঠিতে লিখেন। ফ্রাঙ্কেস্টাইন একজন বিজ্ঞানী। তার লক্ষ্য মৃত মানুষকে রক্তমাংসের সুন্দর মানুষ তৈরি। ভার্সিটির সেরা ছাত্রটি তা একসময় আবিষ্কারও করে ফেলে। তৈরি করে 8 ফুট এর দানব, যত্ন নিয়ে বানায় । কিন্তু হয়ে যায় কুৎসিত চেহারার। ফ্রাঙ্কেস্টাইন ভীত। দানবটি জীবিত হয়ে ঘর থেকে চলে যায়। কুৎসিত, ভয়ঙ্কর বলে আগে তাকে কেউ গ্রহণ করে না। দুঃখে, প্রতিহিংসায় খুন করে উইলিয়াম (ছোট ভাই) কে। খুনের দায় চাপিয়ে দেয় জাস্টিনের ঘাড়ে ( উইলিয়ামের লকেটটা তার পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে) । শক্ত কোন প্রমাণ না থাকায় নির্দোষ মহিলার ফাঁসি হয়। ফ্রাঙ্কেস্টাইন বুঝতে পারে এসবই ঐ দানবটির কাজ । তাই সে প্রতিশোধ নিতে চায় । সঙ্গী নেই, তাই দানবটির সঙ্গী তৈরি করে দিলে আর মানুষ খুন করবে না, বলে। ভিক্টর তাতে রাজি হয় না এক সময় চাপে পড়ে রাজি হয় ও ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে এক মেয়ে দানব বানানো শুরু করে। তৈরি হয়ে গেলে সে আবার ভাবতে থাকে এই দানব যদি আবার মানুষ হত্যা শুরু করে । মানবজাতির জন্য হুমকি হয় যদি ? তাছাড়া সে তার সঙ্গীকে গ্রহণ করবে তার কি নিশ্চয়তা আছে ? এসব ভেবে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে জীবিত হয়ে উঠার আগেই । তা দেখে রাগে ফেটে পড়ে দানবটি ও এর প্রতিশোধ নেবে বলে চলে যায় । মেয়ে দানব টিকে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিতে গিয়ে শ্রান্ত হয়ে নৌকায় ঘুমিয়ে পড়ে ভিক্টর। নৌকা সমুদ্রের ভেতরে চলে যায় । ঝড়ের কবল থেকে বেঁচে নৌকা ভিড়ে আয়ারল্যান্ডের দ্বীপে। সেখানে বন্ধু, হেনরির, খুনের দায়ে দোষী করা হয় তাকে। বিচারক কারউইন বুঝতে পারে সে আসলে খুনি নয় । ভিক্টরের বাবা আসলে তাকে মুক্ত করে দেয়া হয় । সে ফিরে আসে সুইজারল্যান্ডে । আগেই এলিজাবেথের সাথে বিয়ের কথা ছিল । বিয়ের আয়োজন ও বিয়ের রাতে ভিক্টর নিচে অপেক্ষা করছিল দানব আসলে গুলি করবে । কিন্তু দানব লুকিয়ে উপরের ঘরে গিয়ে এলিজাবেথকে হত্যা করে চলে যায় । ভিক্টর তাতে মুষড়ে পড়ে ও দানবকে হত্যার জন্য পণ করে । পিছু পিছু ছুটতে ছুটতে পৌঁছে যায় বরফের দেশে । বরফের মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে নেয় কিন্তু ভিক্টর পারে না । অনাহারে, শীতে সে একেবারে ভগ্ন হয়ে পড়ে।  সাথের কুকুরগুলোও মারা গেছে। ভূমিকম্পে বরফে ফাটল ধরে । বরফখণ্ড গলতে থাকে । তার উপর চড়ে হলেও তাকে মারবে সে । পরে জাহাজ দেখে সেখানে আসে । ফ্রাঙ্কেস্টাইনের আজ প্রাণ যাচ্ছে যাচ্ছে । বৃদ্ধ, নিশ্চল শরীর নিয়ে উঠতেও পারে না এখন । একদিন মারা যায় জাহাজের মধ্যেই। হঠাৎ জাহাজে তার কক্ষে় দানবটি আসে ও উপহাস করে । তার লক্ষ্য সার্থক হয়েছে বলে, সে মেরুর উদ্দেশ্যে চলে যায় । আর কখনো মানব বসতিতে আসে না । রবার্ট বরফের পাহাড় কেটে আর এগিয়ে যেতে না পেরে নিজ দেশে ফিরে আসে ব্যর্থ প্রয়াস নিয়ে ।

#শিক্ষা: বিজ্ঞান উপকারী কিন্তু কখনো কখনো সে যে দেখা দেয় অভিশাপ হয়ে। তাই নিজের গন্ডির মধ্যে থাকা উচিত। সৃষ্টির শৃংখলকে, প্রকৃতির নিয়মকে ভাঙতে গেলে ফল হতে পারে ভয়ঙ্কর।

©Mithun

Wednesday, May 6, 2020

অপেক্ষা

Book Review : (06)

#অপেক্ষা

__হুমায়ূন আহমেদ

(প্রকাশ :১৯৯৭)



আমার অত‍্যন্ত পছন্দের একটি উপন‍্যাস। বইটি হয়ত অনেকেই পড়া, কিন্তু আমার এই প্রথম।

#চরিত্র:

১.ইমন: গম্ভীর, বুদ্ধিমান মেধাবী ছাত্র।
২.সুফিয়া: (মা) ; প্রথমে শান্ত স্বভাবে হলেও অপেক্ষার প্রহরে খিটমিটে হয়ে উঠে।
৩. হাসান: (বাবা) ; যার জন‍‍্য এত কিছু।
৪.ফিরোজ : (ছোট চাচা); বেকার তবে দায়িত্বশীল।
৫.সুপ্রভা: ইমনের ছোট বোন
৬. জামিলুর রহমান : (সুফিয়ার ভাই); ধনী ব‍্যবসায়ী।
৭. মিতু: (মামাতো বোন); ইমনের সাথে বিয়ে।
৮. ফাতেমা : ( মামী) বোকা, সহজ সরল।
৯. টোটন ও শোভন: জামিলের ছেলে, সন্ত্রাসী হয়ে উঠে।
১০. মুন্নী : গায়ে পড়া গোছের।
১১. আকলিমা বেগম: ইমনের দাদী (বৃদ্ধা)

## সুফিয়ার দিনকাল ভালোই যাচ্ছিল। অনেক শান্ত স্বভাবের বাড়ির বৌ টি সুখেই ছিল। একদিন তার স্বামী, হাসান, অফিস থেকে ফেরে না। সুফিয়া চিন্তায় ভেঙ্গে পড়ে, বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শুরু হয় হাসান সাহেবের জন‍্য অপেক্ষা। ইমনকে ছোট চাচা, ফিরোজ, অনেক ভালবাসে। আদর করে ডাকে হার্ড নাট। কারণ, ইমন খুব ছোট থেকেই গম্ভীর ও বুদ্ধিমান। এই দুর্দিনে সুফিয়ার একটা মেয়ে হয়, নাম সুপ্রভা। মা তার যত্ন নেয় না অপয়া বলে। সে হয়ে উঠে খিটখিটে স্বভাবের। ফিরোজ বেকার,তাই সুফিয়ার চলার কষ্ট হচ্ছিল। একদিন সুফিয়া তার ভায়ের বাসায় চলে যায়। অন‍্যের ঘাড়ে পড়লে একটু আধটু বাঁকা কথা সহ‍্য করতেই হয়। ইমন স্কুলে যায়। ছোট চাচা মাঝে মাঝেই দেখতে আসত, সুফিয়া সেটা দেখতে পারত না। আসলে সে তার স্বামীকে ভুলতে পারে না। টোটন,শোভন ও মিতুর সাথে ইমনের দিন চলে যেত। কিন্তু, বেশিরভাগই সে একা থাকত। আকলিমা বেগমের মুমূর্ষু অবস্থায় ফিরোজ তাদের নিতে আসলে সুফিয়া খেপে গিয়ে না করে দেয়। সুপ্রভা বড় হচ্ছে, বেশ সুন্দর হয়েছে,ভালো গান পারে,তবে ছাত্রী ভালো না। মামা তাকে খুব ভালোবাসে। মামার কাছে কোক চাইতে অফিসেও চলে যেত। তাই মামা অফিসে ফ্রিজ ভর্তি করে কোক রেখে দিত। ফিরোজ বিদেশে চলে যায়,কিন্তু, প্রায়ই চিঠি লিখত হার্ড নাটকে। একদিন পরীক্ষায় ফেল করে ও প্রমোশন পাবে না কেঁদে কেঁদে  বাসায় বললে মা রাগ করে ছাদ থেকে লাফ দিতে বলে। সে সম্মোহিতের মতো তাই করে বসে। সুপ্রভা নামটি মুছে যায়। মেয়েটির অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। মিতু ইমনকে বেনামি চিঠি দিত। মনে মনে ভালবেসে ফেলেছে। ইমনও হয়ত তাই। ফাতেমার সাথে তর্কে সুফিয়া একদিন অন‍্য জায়গায় বাসা নেয়। সেই বাসার মেয়ে মুন্নীকে ভালো লাগত তার। ইমনের সাথে বিয়েও দিতে চায়, কিন্তু, ইমনের মেয়েটিকে রক্ষী ভাবে। শোভন খুনের দায়ে ৩ বছর জেল থেকে ফিরে আরেকটা খুন করে ইমনের সামনে। ইমন সাময়িক স্মৃতি হারায়। শোভনের সাথে থেকে একবার মদও খেয়েছিল। ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্রটি ভবঘুরে হয়ে পড়ে, তার অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষা দেয় না। সুফিয়া তার প্রথমকার বাড়িটা ভাড়া নেয়। আবার সাজিয়ে তুলে আগের মতো করে। মিতু তার ঠিক হওয়া বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে বাবাকে প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করতে চায় ইমনকে। তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। বাসর রাত তাদের। একদিন তাদেরও এমন দিন এসেছিল। সুফিয়া আজও অপেক্ষা করছে হাসান সাহেবের জন‍্য। স্বপ্ন দেখেছিল ইমনের বিয়ের রাত্রে সে ঘরে ফিরবে। আকলিমা বেগমের জায়গাটিতে এখন সুফিয়া শুয়ে আছে। মানুষের জীবন যেন চক্রের মতো। এমন সময় দরজায় কড়া নড়ে উঠল। হাসান আসল বলে সুফিয়া আতকে উঠল। কিন্তু, দরজা খোলার সাহস পায় না।

আসলে প্রতিটি মানুষই অপেক্ষা করছে। সে কিসের অপেক্ষা? আকাঙ্ক্ষার? নাকি মৃত‍্যুর?

©Mithun

নন্দিত নরকে

Book Review : (08)

#নন্দিত_নরকে 

 __হুমায়ূন আহমেদ 




# এটি হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস।  প্রকাশিত হয় 1972 সালের।

#চরিত্র :

১. খোকা : ভদ্র, বাস্তব বাদী, শিক্ষিত, রসায়ন শিক্ষক হয় ।
২. রাবেয়া (বোন ): আধা পাগল মেয়ে, অমানুষের ঘৃণ্য থাবায় অন্তঃসত্ত্বা ও শেষ মৃত্যু । বছর ২২।
৩. রুনু (সালেহা ): ছোট বোন । বয়স ১২।
৪. শিলু (শিলা) : খোকার এই মেয়েকে ভালো লাগে ।  ডাকে শিলু বলে।
৫. নাহার ভাবি : হারুনের স্ত্রী। গান বাজায়, খোকার ভালো লাগে।
৬. হারুন ভাই : রাবেয়াকে পছন্দ করে কিন্তু তার মা তা মেনে নেয় না। বিয়ে দেয় নাহারের সাথে। পরে সে বিদেশে চলে যায় পড়তে।
৭. মাস্টার চাচা (শরিফ মিয়া) : খোকার বাবার বন্ধু। বিয়ে করে নি, তাদের বাসায় থাকে। এস্ট্রোলজির বই পড়ে ভালোই হাত দেখতে পারে। একদিন জঘন‍্য কাজও করে বসে।
৮. মন্টু: রাবেয়ার সৎ ভাই। রাগী তবে খোকাদের অনেক ভালোবাসে।
৯. মা-বাবা; বড় মা (ম‍ৃত)
পলা: কুকুর; রাবেয়ার ঘুরার সঙ্গী।

## অর্ধপাগল রাবেয়া পাড়ার এপার থেকে ওপার ঘুরে বেড়ায়, পলাকে নিয়ে। কেউ তাকে পচা কথা বললেও সে না বুঝ তাই বাড়ি এসে বলতে থাকে সবার সামনে। রুনু তা শুনে লজ্জা পায়। রাবেয়া পড়াশোনা করেনি। খোকার টেবিলের একটি পুরাতন খাতা চেয়ে নিয়েছিল রুনু। তাতে সে কবিতা লেখে ও দাদার ট্রাংকে লুকিয়ে রাখে । তাই দেখে দাদার ইচ্ছে, তাকে একটি ভালো খাতা কিনে দেবে। মার ইনসমনিয়া থাকায় বাবা মাঝে মাঝে রাতে এসে এসপিরিন নেয় খোকার  কাছ থেকে। রাবেয়ার রাতে বাথরুম পেলে খোকাকে সাথে নিয়ে যায়। দুঃখের সংসারে সবার সুখ এনে দিতে চায় খোকা চাকরি পেয়ে । রাবেয়া পাশের বাসায় নতুন আশা শিলাদের বাড়িতে যাওয়া শুরু করেছে। তারা একটা কলমদানি উপহার দেয় রাবেয়াকে। তা সে যত্ন করে রেখে দে খোকার টেবিলে আর বলে দেয় যেন সেটা খোকা কখনও তার বলে দাবি না করে। শিলার ভাই হারুন রাবেয়ার প্রেমে পড়ে বিয়ে করতে চাইলে তার মা এসে শাসিয়ে যায় রাবেয়ার মাকে। সেবার বাবা রাবেয়াকে বেধম মারে। রাবেয়া বুঝেনা কেন মারছে তাকে। পরে নাহার ভাবির সাথে হারুনের বিয়ে হয় ও হারুন বিদেশে পিএইচডি করতে যায়। অভাবের সংসার ভালোই চলছিল। মাস্টার চাচা বাবার বন্ধু। সে বিয়ে করেনি। বাবার বিয়েতে এসেছিল সেই থেকে রয়ে গেছে। তাদের সকলকে পড়ায়। স্কুলের বেতনের সব টাকা দিয়ে অ্যাস্ট্রোলজির বই কিনে । অ্যাস্ট্রোলজি পড়ে পড়ে তিনি ভালোই হাত দেখতে পারেন। মন্টুর মার হাত দেখে বলেছিলো ছেলে হবে। শেষে তাই হয়। তাতে তার সম্মান বেড়ে যায়। খোকা শিলাকে নিয়ে আজকাল স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে । একদিন খারাপ একটা ঘটনা ঘটে যায়। রাবেয়া বমি করতে থাকে।   আসলে সে অন্তঃসত্ত্বা। কিভাবে হলো এসব কেউ জানে না। রাবেয়া কে জিজ্ঞেস করে মা কিছু বুঝলেন না। গোপনে ডাক্তারের কাছে গেল তারা। একদিন খোকার একটা কলেজের শিক্ষকতায় চাকরি হয়ে যায়। বেতন ২০০ টাকা। একদিন ঘরময়  রক্তে ভেসে যাচ্ছে । খোকা বুঝল রাবেয়ার এবোর্শন হচ্ছে।ব্লিডিং থামছেনা দেখে মাস্টার চাচা খোকার সাইকেল নিয়ে ডাক্তার আনতে যায় শহরে। । আসতেই শরিফ মিয়াকে দেখে মন্টু বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এদিকে ব্লিডিং এর কারনে রাবেয়াও মারা যায়। মন্টু কে ধরে নেয় পুলিশ। শরিফ মিয়াকে হত‍্যার কারণ কারো কাছে গোপন রইল না। ঠান্ডা মাথায় খুনের অপরাধে ফাঁসির আদেশ হয় মন্টুর। ক্ষমা চাওয়া না মঞ্জুর হওয়ায় ফাঁসি কার্যকর হয়। খোকা আর বাবা তার লাশ নেওয়ার জন্য বাইরে অপেক্ষা করছে।
©Mithun

দত্তা

Book Review : (07)

#দত্তা

____কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 




# সমাজের করুণ দৃশ‍্যগুলো অকপটে দর্পনের মতো পাঠকের সামনে বর্ণনা করে গেছেন। বইটি সাধু ভাষায় রচিত হলেও বুঝতে কোন সমস‍্যা হয় না। এখানে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন তিন বাল‍্য বন্ধুর শেষ পরিণতি ও তাদের সন্তানদের মধ‍্যকার সম্পর্কের দৃশ‍্য।

#চরিত্র:

১.বনমালী:( মেয়ে - বিজয়া) ব্রাহ্মণ, জমিদারী, মেয়ে বেশ সুশ্রী ও ভদ্র।
২.জগদ্বীশ:(ছেলে- নরেন) ; ছেলে ডাক্তার ;ভদ্র, সুদর্শন, পরহিতৈষী।
৩. রাসবিহারী( ছেলে- বিলাসবাবু) ; স্বার্থান্বেষী, লোভী, ধূর্ত, ভনিতা ; জাতিতে কৈবর্ত‍্য।
৪.নলীনী: দয়ালের ভগিনী
৫. দয়াল: প্রাচীন আচার্য ; ভালো মানুষ
৬.কালিপদ: দারোয়ান
৭.পরেশ ও তার মা
৮. ভৃত‍্য ও কর্মচারী

## বনমালী, জগদ্বীশ,রাসবিহারী প্রাণের বন্ধু। একসাথে স্কুলে যায়। জীবনেও আলাদা হবে না, প্রতীজ্ঞা করে। কিন্তু বড় হলে সেই কথা আর থাকে না। জগদ্বীশ মদ, জোয়ায় স্বর্বস্ব হারায়। নিজের বাড়িটাও ঋণের দায়ে জব্দ হয়। ছেলেকে বিলেত হতে ডাক্তারী পড়ায়। বনমালী মারা যাওয়ার সময় বিজয়াকে নরেনকে বিয়ে করতে বলে যায় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী। দেনার দায়ে নরেনের বাবার স্বর্বস্ব রাসবিহারীর কুপ্রচেষ্টায় দখল করে সেখানে ব্রাহ্মমন্দির বানায় বিলাস বাবু। এতদিন রাসবিহারী বনমালীর জমিদারী দেখার সুবাদে প্রজার উপর অনেক অন‍্যায় করেছে, কর্তৃত্ব দেখিয়েছে। গুরুজন বলে বিজয়া তাকে কিছু বলে না। বাড়ির দারোয়ান, আয়ার সাথে কর্তৃত্ব করে চলত। বিলাস সব জায়গায় অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে ও রাগ দেখালে ধূর্ত রাসবিহারী তাকে শান্ত করে মিষ্টিবানী শুনিয়ে দেয়। পরেশ ও দয়ালের স্ত্রীর বসন্তে ডা. নরেন চিকিৎসা করে। একদিন বিজয়া অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা করতে গেলে রাসবিহারী,বিলাস অপমান করে দেয়। বিজয়া সব বুঝেও কিছু বলতে পারে না। ইতিমধ্যে সে নরেনকে ভালোবেসে ফেলেছে, বাড়িতে আসলে  না খেয়ে যেতে দেয় না। এক রাত আত্মীয় হয়ে ছিল বলে অনেক অপবাদ সহ‍্য করতে হয়। চতুর রাসবিহারী এক অনুষ্ঠানে বিজয়ার অনুমতি না নিয়েই তার সাথে বিলাসের বিয়ের কথা ঘোষনা করে দেয়, সামনের পূর্ণিমাকে লগ্ন ঠিক করে দেয়। বিজয়া ভদ্র মেয়ে বলে প্রতিবাদ করতে পারে না। সব শুনে নরেন কম আসে এখন। নদীর ধার দিয়ে হাটার সময় দয়ালের সাথে এসব শুনে তার বাড়িতে গিয়ে নরেন কে রাতে দেখে তাকে ভুল বুঝে ও তখনই তার সাথে কথা না বলেই ফিরে আসে। রাসবিহারী বিয়ের রেজিস্ট্রির চিঠি নিয়ে আসে সাইন করার জন্য। বিজয়ার কাছে ক্ষোভে তখন বিলাসকেই কম অপরাধী মনে হয়। তাই সে রাগে সাইন করে দেয়। পরের দিন নরেন আসে। দয়াল তার ভগিনী নলিনীর কাছে এসব শুনে সেও আসে। বিজয় ভুল বুঝে দয়ালকে ধরে কাঁদতে থাকে, সে যে অন্যকে কথা দিয়ে ফেলেছে। বিয়ের আর দুই দিন বাকি। রাসবিহারী বাড়িতে রীতিমতো আয়োজন করছে, নিমন্ত্রণও জানানো হয়ে গেছে। বিকালে দয়াল এসে বিজয়াকে দাওয়াত করে তার বাড়িতে, পরের দিন পালকী আসবে বলে যায়। রাসবিহারী কেও আমন্ত্রণ করে যায়। পরের দিন বিজয়া দয়ালের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হযে় দেখে বিয়ের আয়োজন চলছে। দয়াল এসে তাকে তৈরী হতে বলে যায়, আর বলে নলিনী তার সব ভুল ধরিয়ে দিয়েছে। মন থেকে বিলাসের বিয়েতে রাজি না তাই সে স্বীকৃতি কবুল হয় নাই। নরেন বিজয়াকে সাজানোর ভার নলিনী কে দেয়। যথারীতি বিয়ে সম্পন্ন হলো। এমন সময় রাসবিহারী এসে এমন কাণ্ড দেখে আকাশ থেকে পড়ে। দয়াল তাকে বিয়ের খাবার খেয়ে যেতে বলে। রাগে,স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে গদগদ করতে করতে বেরিয়ে যায় সে।

©Mithun

Ferdous Hasan Mithun

How Will You Isolate and Characterise Salmonella spp. from Beef?

Isolation and Molecular Characterization of Salmonella spp. from Beef. Author:  Ferdous Hasan Mithun* Introduction: Innumberable foodborne z...