#Book_Summery: (20)
দ্য দা ভিঞ্চি কোড
____ আমেরিকান জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ড্যান ব্রাউন
প্রথম প্রকাশ:২০০৩
বঙ্গানুবাদ: নাজিম উদ্দিন
পূর্ব লেখ: একটা বই পড়ে সামারিটা সব সময় লিখে রাখার চেষ্টা করি। তবে যারা আগে বইগুলো কখনও পড়েন নি কিন্তু পড়তে চান, তারা এটা না পড়ে সরাসরি মূল বই পড়ে ফেলুন। না হলে পড়ার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাবে। এগুলো শুধু আমার নিজের গাইডের জন্য লেখা। তবে যারা আগে পড়েছেন, তারা চাইলে রিক্যাপ করতে পারবেন।
লিওনার্দো দা ভিঞ্চির গোপন পরিচয় ও তার চিত্রকর্মের বিশ্লেষণ, স্যার আইজ্যাক নিউটনের সমাধি রহস্য, প্রাচীন প্যাগান ধর্ম, বর্তমান খ্রীষ্ট ধর্মের মূল ভিত্তিই যে মিথ্যা, ব্রেইন ওয়াশিং ও উগ্রবাদী ধর্মীয় সংগঠন "ওপাসদাই" এবং মূল আকর্ষণ-সিক্রেট সোসাইটি "প্রায়রি অব সাইওন" ( ভ্রাতৃ সংঘ ) এর নেতৃবৃন্দ, কি স্টোন,হলি গ্রেইল এবং স্যাংগৃল অর্থাৎ গোপন দলিল দস্তাবেজের খোঁজ, যীশু খ্রিস্টের বংশ ইতিহাস সম্পর্কে রেফারেন্সসহ জানতে পারবেন।
চরিত্র:
১.রবার্ট ল্যাংডন: আমেরিকান সিম্বলজিস্ট
২.ল্যুভরের কিউরেটর জ্যাক সনিয়ে: শেষ গ্র্যান্ড মাস্টার, ভ্রাতৃ সংঘ।
৩.সোফি নেভু:ক্রিপ্টোলজিস্ট।
৪.ক্যাপ্টেন বেজু ফঁসে: DCPJ, ফ্রান্স
৫.লেই টিবিং: মূল অপরাধী।
৬.বিশপ আরিঙ্গারোসা: পাদ্রী, ওপাসদাই।
৭.সাইলাস: বিশপের ভক্ত।
৮. সিস্টার সানরিন।
#হাইলাইট:
১০৯৯ সালে গডফ্রাই দ্যা বুইলো জেরুজালেমে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গোপন সংগঠন" প্রায়রি অব সাইওন"। ভ্রাতৃ সংঘের সকল দলিল ৯ বছর হেরট মন্দিরের নিচে থাকা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তার জন্য সরিয়ে নেয়া হতো (জেরুজালেম-ব্রিটেন-ফ্রান্স)। প্যাগান ধর্মে বিশ্বাসী এই সংঘের গ্র্যান্ড মাস্টারদের মধ্যে ছিলেন, স্যার আইজ্যাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, #লিওনার্দো_দা_ভিঞ্চি (১৫১০-১৫১৯), বত্তি চেল্লি সহ অনেকে।
জানতে পারবেন ল্যুভরে থাকা ভিঞ্চির আঁকা অনেক চিত্রকর্ম সম্পর্কে। #মোনালিসা( ৩১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ২১ ইঞ্চি প্রস্থ) নামটি ভিঞ্চি কেন দিয়েছিলেন? এটি আসলে নারী পুরুষের মিলিত নাম (হার্মাফ্রোডাইট) মা মিশরের দেবতা আমন-লিসার একটি এনাগ্রাম মাত্র। বর্তমানে যে খৃষ্ট ধর্ম তা সংকর ধর্মের একটি রূপ মাত্র। খৃষ্টানদের বর্তমানের বাইবেল বিন্যস্ত হয়েছিল প্যাগান রোমান সম্রাট কনস্টানটিন দ্যা গ্রেট কর্তৃক, দুই ধর্মের অনিবার্য যুদ্ধ ঠেকাতে সংকরায়নের ( প্যাগান প্রতীক, সন তারিখ, আচার মিশিয়ে এবং তার বাছাইকৃত নিউ টেস্টামেন্টের ৮০ টি গসপেলের সমন্বয়ে) মাধ্যমে। খৃষ্টানদের বড়দিন, সরকার সানডে সবই প্যাগানদের থেকে চুরি করা। জানতে পারবেন যীশু খ্রিস্টের সাথে মেরি ম্যাগদালিনের সম্পর্ক, তারা কি বিবাহ করেছিল? তাদের ব্লাড লাইনের ইতিহাস রেফারেন্স সহ জানতে পারবেন। এমন সব সত্য ঘটনা প্রায়রিরা সংরক্ষণ করে যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে। যা প্রকাশ পেলে খৃষ্ট ধর্মের মূল ভিত্তিই ধ্বংস হয়ে যাবে। যীশু ঈশ্বরের পুত্র,মানুষ নয় বরং স্বর্গীয় দূত বলে তারা বিশ্বাস করে। কিন্তু প্রায়রিদের দলিল প্রকাশিত হলে সব কিছু উলট পালট হয়ে যাবে ,এই ভয়ে ভ্যাটিকানের পোপরা তখন থেকেই খুঁজে বেড়াচ্ছে সেগুলো ধ্বংস করার জন্য।
ওপাস দাই প্রায়রিদের গোপন দলিল হস্তগত করতে খুন করে প্রায়রির প্রধান চার জনকে। তার মধ্যে গ্যান্ড মাস্টার জ্যাক সনিয়ে ছিলেন। মারা যাওয়ার সময় গোপন তথ্যের সন্ধান কেবলমাত্র তার উত্তরসূরীর জন্য এনাগ্রাম আর ফিবোনাচ্চির সংখাক্রম দিয়ে সাজানো এক জটিল কোড রেখে যান। যার সমাধান কাহিনী নিয়েই মূল রহস্য গুলো উঠে আসে। ল্যাংডন আর সোফি নেভু অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কোডগুলো সমাধান করে প্রায়রিদের কি-স্টোনটা খুঁজে পায় জুরিখ ডিপোজিটরি ব্যাংকের ভল্টে, মা বিশ্বে সুইজ ব্যাংকের মোট চারটি শাখার একটি। পুলিশ সনিয়ের মৃত্যুর তদন্তে ল্যাংডনকে সন্দেহ করে। কি-স্টোন নিয়ে উঠে বন্ধু লেই টিবিংয়ের শ্যাতু ভিলেতে। আলোচনায় আরও রহস্য উন্মোচন হয়।
লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা "#দ্যা_লাস্ট_সাপার" যাতে যীশুর ১২ জন অনুসারীদের মধ্যে একজনকে সবার অলক্ষ্যে নারীরূপে ফুটিয়ে তুলা, মেরি ম্যাগদালিন যীশুর প্রেমিকা। চার্চ তাকে বেশ্যা বলে প্রচার করে। আরও আছে চিত্রকর্ম ম্যাডোনা অব দি রকস, ভিট্রোভিয়া ম্যান, এডোরেশন অব দি মাজাই এর বিশ্লেষণ, #আইজ্যাক_নিউটনের সমাধি রহস্য উন্মোচন পাইরেক্সের তৈরি কাচের মতোই স্বচ্ছ করে তুলা হয়েছে। এছাড়া তাস খেলার সাথে টারোটের কি সম্পর্ক , তাদের প্রতীক কিসের গুরুত্ব বহন করে, প্যাগান ধর্মের গোপন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পদ্ধতি ও প্রতীক, নারী-পুরুষের প্রকৃত প্রতীক, জ্যোতির্বিদ্যার মঙ্গল আর ভেনাসের পেন্টাকল, নারীকে গোলাপ দিয়ে ভালোবাসা কেন জানানো হয়, নারীর গোপনাঙ্গের সাথে তার কি মিল, সময় নির্ধারক প্রাচীন রোজ লাইন বা দ্রাঘিমা রেখা ইত্যাদি আশ্চর্য সব অজানা তথ্য।
স্যাংগৃলের খোঁজে তারা ইংল্যান্ড যায়। কি-স্টোনের একটি কোড সমাধান হলে ধোঁয়ার আড়ালে থাকা অপরাধের মূল হুতা টিবিংয়ের সব ফাঁস হয়ে গেলে ল্যাংডন আর সোফির প্রাণ সংশয় হয়ে পড়ে। জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ক্যাপ্টেন ফঁসে। শেষে ল্যাংডন একাই স্যাংগৃলের খোঁজ পেলেও বিশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রকাশ করে না।
লেখকের দাবী: বইটির সমস্ত তথ্য ও উপাত্ত একেবারেই সত্য। তবুও এটা একটা বই মাত্র।
©Mithun
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.