Book Summery:(16)
The Golden Bug ( সোনালী পোকা
___এডগার অ্যালান পো (১৮০৯)
প্রকাশ:১৮৪৪
লেখক পরিচিতি:
জন্ম: ১৮০৯, বোস্টন, আমেরিকা।
বাবা: ডেভিট পো
মা: এলিজাবেথ পো
১৮২৭ সালে আমেরিকান আর্মিতে যোগ দেন। পরে নিউইয়র্কে এসে বন্ধুহীন হয়ে পড়েন। এক গল্প প্রতিযোগিতায় তাঁর লেখা শ্রেষ্ঠ হলে তাঁর জীবন ঘুরে যায়।
চরিত্র:
১.উইলিয়াম লীগ্র্যান্ড: আত্ম মর্যাদাবান শিক্ষিত, উচ্চ বংশ।
২.জুপিটার: উইলিয়ামের বাড়ির পুরানো কর্মচারী,ভৃত্য।
৩.লেখক: উইলিয়ামের বন্ধু। চার্লসটন শহরের বাসিন্দা।
মূল কাহিনী:
আত্মসম্মান আর আত্ম মর্যাদাবান হুগনেট বংশের ধনিক শ্রেণী থেকে ক্রমেই দরিদ্র সব হারাতে বসেছে। তাই সে নিজ জন্মস্থান নিউ এলিন্স ত্যাগ করে ভৃত্য জুপিটারকে সাথে নিয়ে চলে যায় দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার চার্লসটন শহরের নির্জন দ্বীপ সুলিভানে। বালিয়াড়ীময় দ্বীপে মাটল ফুলের সমারোহ। লীগ্র্যান্ড সেখানে কীটপতঙ্গ সংগ্রহ করে। একদিন জুপিটারের সহায়তায় এক আশ্চর্য সুন্দর সোনালী পোকা ধরে। উইলিয়াম তার বন্ধুকে সেই পোকা সম্পর্কে বলে ও একটা পুরানো এক টুকরা কুড়িয়ে পাওয়া কাগজে ছবি এঁকে তাকে দেখায়। বন্ধু বলে সে একটা মৃত মানুষের মাথার খুলি একেছে । উইলিয়ামের চিত্রকর্মের একটু সমালোচনা করলে সে রেগে যায় ও কাগজটি নিয়ে নেয় । সেও ফায়ার প্লেসের আগুনে দেখে তাতে মাথার খুলিই আঁকা, কিন্তু সে তা আঁকে নি। তাই কি ভেবে সেটা রেখে দেয়। ১ মাস উইলিয়ামের সাথে আর দেখা হয় না। হঠাৎ একদিন জুপিটার এসে খবর দেয় জুপিটার পাগল হয়ে যাচ্ছে। ও তার তার বন্ধুকে একটা চিঠি দিয়ে দ্রুত যেতে বলে। সে জুপিটারের সাথেই রওনা হলো, সাথে দুটি কোদাল ও একটি বেলচা। উইলিয়াম লীগ্র্যান্ড তার পোকা টিকে দেখায় ও একটি অভিযানে সাথী হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও অভিযানে যোগ দেয়। প্রকৃত ভূখন্ডের পাহাড়ে গিয়ে দেখতে পায় কিছ সুউচ্চ ওক গাছ। তারই সবচেয়ে বড়টিতে সোনালী পোকা নিয়ে উঠতে বলে জুপিটারকে। উইলিয়ামের নির্দেশমতো জুপিটার গাছটির ৭ম দুই জোড়া শাখায় উঠে মৃত ডাল বেয়ে খুঁজে পায় একটি মৃত মানুষের মাথার খুলি। নির্দেশমতো তার বা চোখের ভেতর দিয়ে সোনালী পোকা টা ফেলে দিলে যেখানে পড়ে সেখানে খুড়ে কিছু পায় না।আসলে সে ভুল চোখে দিয়েছিল। পরে উইলিয়াম হিসেবে করে আরেকটা জায়গা নির্বাচন করে খুঁজে পায় বিপুল ধন সম্পদ। তার হারানো বংশের ঐতিহ্য ফিরে পায়। রহস্য সমাধানে বন্ধুর প্রশ্নের উত্তরে উইলিয়াম সব খুলে বলে বিস্তারিতভাবে। সমুদ্রের তীরে ঘুরার সময় খুঁজে পায় সোনালী পোকাটাকে। উইলিয়াম ধরতে গেলে তার মাথায় কামড় বসিয়ে দেয়। পরে জুপিটার পাশেই বালির মধ্যে পড়ে থাকা একটুকরো কাগজ কুড়িয়ে পোকাটাকে ধরে তার প্রভুকে দেয়। সেই কাগজেই উইলিয়াম ছবি এঁকেছিল পোকার। উইলিয়াম ছবি আঁকার আগে বেশ ভালোভাবেই লক্ষ্য করেছিল দুই পাশই খালি। তার বন্ধু তখন অঙ্কিত ছবিটি দেখছিল তখন কুকুর নিউফাউন্ডল্যান্ডের ছুটে আসায় সেটি আগুনের পাশেই পড়ে যায়। পরে উইলিয়াম কাগজটি পরীক্ষা করে দেখে , প্যাচম্যান্ট নামক বিশেষ কাগজে তৈরীর সেটা। তাতে এমন কিছু কেমিক্যাল দিয়ে লেখা ছিল যা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পেলেই স্পষ্ট হয়ে উঠে।তাতেই সে সূত্র খুঁজে পায়। গোপন কোড সমাধান করে দস্যু কিডের বিপুল সম্পত্তির সন্ধান পায়।
©Mithun
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.