Sunday, November 3, 2019

স্বগতোক্তি (S.J)


জীবন চলার পথে নানা মুহূর্তে উপলব্ধি করা কিছু নিজস্ব মনের ভাব লিখিতরূপে আত্মপ্রকাশ করার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস:

১.নিশীথের মধ্যিভাগে নিদ্রালু চক্ষু মৃদু হাস্যমুখের রেখা অনুকরণ করিয়া স্বপ্নে বিভোর হইয়া থাকিতে চাহে সর্বক্ষণ।এ কেমন দশা হইল মোর...!!

২.ভালো লাগা কখনও অপরাধ না, আর সেটা যদি হয় মন থেকে তাহলে তো কোন কথাই নাই।


৩.অনেক ক্ষেত্রে মন নিজের কথা শুনে না। সত্যিই তখন মানুষটা অসহায় হয়ে পড়ে..

৪.অতি ক্ষুদ্রাকায় নগন্য প্রানিকূল যেমন আমৃত্যু অবহেলিতই থাকিয়া যায় তেমনি মনুষ্যকূলের মধ্য হইতেও গুটিকতক এমন রহিয়াছে। যাহাদের কি না কোন ভালো লাগা থাকা উচিত নহে। তাহাদিগের সহিত কথা বলাও পাপ। এমনকি তাহাদের স্বপ্ন দেখাও অন্যায়। কোন কিছু চাওয়া তোহ ঘোরতর অপরাধ...

৫.মানুষের মন কত অদ্ভুত, তাই না? তা কখনও সরল পথে চলে না। সবসময় বক্র পথে মুহূর্তেই দিক পরিবর্তন করে চলতেই বেশি পছন্দ করে...

৬.পুষ্প যেমন আপনার জন্য ফোটে না তেমনি সুন্দর মনও তাকে সংকীর্ণ করে রাখা উচিত না।

৭.অতিরঞ্জিত ধরায় প্রাচুর্য যেখানে ওষ্ঠাগত,,
সেখানে কি হবে নিজেকে নিয়ে এত অহংকার করার...!!!

৮.নতুন মুহূর্তই নতুন ভাবনা ও নতুন অনুভূতির জন্ম দেয়। এতে শান্তি থাকলেও স্বস্তি বিরল...

৯. ভাঙ্গা টুকরো আয়নায় যেমন সম্পূর্ণ প্রতিবিম্ব দেখা ভার তেমনি ক্ষণসময়ে ধারনকৃত স্বল্প কিছু আলোকচিত্রও পুরো সময়কে তুলে ধরতে পারে না...

১০.ক্ষণভঙ্গুর সংক্ষিপ্ত জীবনে স্বল্পেতুষ্ট সুখী মন অন্তরাত্মাকে পরিতৃপ্ত করে।

১১.মানুষের জন্ম হয় ভালবাসা নিয়ে। বড় হওয়ার সাথে সাথে তা ব্যস্তানুপাতিক হয়ে যায়...!!!

১২.কাঁশের ঢেউয়ে মনের প্রসন্নক্ষণে,
জটপাকানো মন খোঁচা মেরে ওঠে। 
হচ্ছি বড় যত, আনন্দ কাঁদছে তত গোপনে...

১৩. জীবনে উল্লাস যখন সাদা কাকের মতোই দূর্লভ, তখন পাওয়া সুযোগ হেলায় ছেড়ে দিও না।

১৪.বেশি নৈকট্য দূরত্বের সৃষ্টি করে। প্রিয়জনদের থেকে তাই দূরে থাকাই ভাল। সম্পর্ক স্থির নয়, পরিবর্তনশীল।।

১৫.“ দুঃখ মানুষের জীবনের একটি ব্যক্তিগত গান, যা মানুষ নিজে ছাড়া অন্য কেউ শোনে না...।"

১৬.চাওয়া যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন সেটা আসক্তি, যা দুঃখের প্রধান কারন। তবে যে হৃদয় হারিয়েছে, সে-ই কিছু পেয়েছে....

১৭.সহস্র বিষন্নতা আর একাকিত্বের মাঝেও কিন্ঞ্চিত প্রশান্তি আর সুকান্তের ১৮ খোঁজার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাও...

Tuesday, October 15, 2019

আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস।
জাতিসংঘ প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস হিসেবে অনুমোদন দেয়।

বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের মূল লক্ষ্য হল, সব দেশের মানুষকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার আওতায় নিয়ে আসা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

সঠিকভাবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে পারলে প্রায় ২০টি রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

প্রত্যেক পরিবারে শিশুসন্তানদের ছোটবেলা থেকেই মলমূত্র ত্যাগের পরে ও খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে।

হাত কখন ধোয়া উচিত?

১.খাওয়ার আগে এবং পরে।
২.খাবার তৈরি করার আগে এবং পরে।
৩.পরিবেশন করার আগে।
৪.অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা করার আগে এবং পরে।
৫.টয়লেট ব্যবহার করার পরে।
৬.হাত নোংরা হলে।
৭.দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইল ফোন, গাড়ি, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার করার পরে।
৮.পোষা জীবজন্তু ধরার পর বা জীবজন্তু খাবার ধরার পর।
৯.আবর্জনা ধরার পর।
১০.হাঁচি দেওয়ার পর।

হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা

১.ব্যাকটেরিয়া দূর করতে
২.ডায়রিয়া এবং অন্ত্রের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা
৩.চোখের ইনফেকশন কমাতে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা
৪.কর্মক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে থাকতে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা
৫.মেডিকেল ঝুঁকি কমায়।

হাত ধোয়ার পদ্ধতি: ৮ টি ধাপে হাত ধোয়া উচিত।



সকলেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হোক এটাই প্রত্যাশা আমাদের।

Sunday, October 13, 2019

অসঙ্গতি

১২-১০-২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ

সরিষাবাড়ী হতে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে অগ্নিবীনা এক্সপ্রেস এর "ঝ"বগির ০১ নং আসনটাই আমার ছিল। অনলাইন টিকিট একেবারেই শেষের দিকে থাকায় আসনটি ভাল পাই নি।

সন্ধ্যাগড়িয়ে তখন ৬:২৮ টা। ট্রেনটি কালিবাড়ী অতিক্রম করছে। এহেন সময়ে একটি ঢিল কোথা থেকে জানালা দিয়ে উড়ে এসে যেন আমার Temporal Bone টাতে একটি টং করে আওয়াজ তুলল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাটির দলাটা ছোট ছোট কণায় পরিণত হয়ে সারা শরীরে বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই সিংহভাগ কণা টি-শার্ট এর ভিতর গিয়ে কারসাজি দেখানো শুরু করে দিয়েছে। ওঠে দাঁড়ানো মাত্রই আসনটির উপর ক্ষণিক মাটিবর্ষণ হলো।

দীর্ঘসময় পর সম্বিত ফিরে পাবার মাধ্যমে মনে বেশ কিছু প্রশ্নের উদয় হলো,
* আমরা কোথায় বাস করছি..! আমরা কি কখনও আমাদের কৃতকর্মের কথা ভেবেছি..! আমরা কি আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত..! আমরা কি কখনও অবুঝদের বুঝিয়েছি...! অসচেতনদের সচেতন করার ক্ষুদ্র প্রয়াস নিয়েছি কখনও..! ভুল কিছু করতে দেখলে নিষেধ করেছি..! আমাদের অধিনস্তকে শাসন করেছি কখনও...!
আমিও হয়ত সবসময় করি না। কিন্তু করা কি উচিত না আমাদের..!?

আজ আমাকে একজন ঢিল দিয়েছে, ভাগ্যিস বেচে গেছি। ভাবুন তো, এই ঢিলটাই যদি একটা শিশুর গায়ে লাগত অথবা এটি মাটির শক্ত দলা না হয়ে কোন ইট বা লাইনের পাথর হতো..!! তাহলে হয়ত আজ এই মধ্যরাতে কথাগুলো লেখার সুযোগ হতো না।

একটা সত্যি ঘটনা শেয়ার কতে চাই, ২০১৫ সাল। আমার এক বন্ধু (প্রয়াত) একসাথে একই মেস এ ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ময়মনসিংহ হতে ট্রেনে "GM" যাচ্ছিল। জানালার পাশেই বসেছিল। পথের মধ্যে কেও পাথর দিয়ে ঢিল দিয়েছিল।দুঃখের বিষয়, ঢিলটা একদম বাম চোখে লাগে। বাকিটা বলার আর ভাষা নাই। শেষ পর্যন্ত, যার কিনা ভর্তি পরীক্ষার হলে বসার কথা ছিল, সে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে রইল।

আমি এমনটি নিজ চোখে দেখেছি, এক ১৪/১৫ বছরের ছেলে ট্রেনের জানালাকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছোড়ল। আর তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে অভিভাবক গুছের কেও। আশ্চর্য বিষয়, সে তার সন্তানকে এটা করতে নিষেধ করল না..! এমনকি সাথে সাথেই আরেকটা ঢিল ছুড়ল।
এই হচ্ছে আমাদের মনোবৃত্তি..!!তাকে নিষেধ করা কি তার দায়িত্বের মধ্যে ছিল না..!!

এটি সত্যিই একটি ক্রাইম। এর জন্য শাস্তি হওয়া উচিত শিশুগুলোর পরিবারের সকলের। এদের শিশু বলা আমার মতে অমূলক। এরা সমাজে বিকৃত মনের এক অভিশাপ। পরিবারের দেয়া নৈতিক শিক্ষার অভাবেই, তারা আজ এটুকু করার চিন্তাু মাথায় এনেছে এবং অকপটে করে যাচ্ছে। এভাবেই একদিন তারা বড় অপরাধের দিকে ধাবিত হবে।

অনেক অঞ্চলে প্রাপ্তবয়স্করাও এমনটি করে থাকে। শুনেছি জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে মোবাইল, মেয়েদের নাকের দুল, কানের দুল, গলার হার টান দিয়ে ছিড়ে নিয়ে যায় ( জায়গাটা সকলেরই জানা)। আমি খুব বিশ্বস্তজনের কাছেই শুনেছি, এক মহিলার কান ছিড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা, আংটি খুলে নিতে গিয়ে আঙ্গুল ভেঙ্গে দিয়ে যাওয়া, হার নিতে গিয়ে গলায় গভীর ক্ষত সৃষ্টি করা, মালামাল চুরি ইত্যাদি।

এসব কাজ তারাই করে যারা নেশার টানে চুর হয়ে মানুষ মারতেও দ্বিধাবোধ করে না। নেশার টাকার জোগান দিতে তারা যে কোন প্রকার অপকর্মে লিপ্ত হয়। এরা সমাজে সর্বস্তরে বিচরণ করছে। দুঃখের বিষয় আমাদের চোখের সামনে দিয়ে গেলেও আমরা কিছু বলতে পারি না। তাই, তারা নির্ভয়ে তাদের কাজ সাঙ্গ করতে ব্যস্ত। ফলে, প্রাণ যাচ্ছে অসংখ্য লোকের, হয়রানির স্বীকার আজ প্রায় প্রতিটি মানুষ।

এসবের অবসান কবে হবে...!!! কবে দেশটা সোনার মানুষে ভরে যাবে..? আদৌ, কি এটা হবে...!!!

Thursday, September 26, 2019

দৃষ্টিভঙ্গিকে উন্নত করি।

দেশেকে এগিয়ে নিতে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন চাই।


আজ আমি একটা ছোট্ট ঘটনা শেয়ার করব আপনাদের সাথে।গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং তারিখ আমরা আমাদের ভেটেরিনারি ক্লিনিকে ক্লাস করছি। আমাদের এক গ্রুপমেটের জন্মদিন ছিল সেদিন। একজন তার জন্মদিন পালন করা উপলক্ষে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা উত্তোলন করল। সবাই টাকা দিল। আমিও দিলাম কিন্তু আমি বললাম ক্লাসের সময় কোন কিছু উদযাপন করা অশোভনীয়। বলে আমরা কয়েকজন স্যারের সাথে কিছু রোগ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম।এর জন্য একজন আমাদের," কতগুলো আবাল" বলে সম্ভোধন করে। তারমানে বুঝতেই পারছেন এসময় কেউ কারো ভাল চায় না। একজনকে উৎসাহ দেয়ার পরিবর্তে তাকে টেনে নিচে নামাতে ব্যস্ত আমরা। তাহলে দেশ কিভাবে উপরে উঠবে...! "যে জাতি যত হিংসুটে, সে দেশ তত অপমানিত ও নিষ্পেষিত।" দেশকে উন্নত করতে চাই উন্নত মনোবৃত্তি। সকলে হাতে হাত রেখে একসাথে এগিয়ে যেতে হবে। নিজে পিছে পড়লে আরেকজনকে টেনে না ধরে বরং তাকে ঠেলা দিয়ে, মনোবল দিয়ে,সাহস দিয়ে সামনে এগিয়ে যেহে সাহায্য করি। একসময় সেই ব্যক্তিটিই পিছিয়ে পড়া আপনাকে সামনে নিয়ে যাবে।
অতএব, সকলেই আমরা নৈতিক দিক থেকে অটল থাকব এই সংকল্প করি।

একতার পতাকা

 একতার পতাকা


সময় চলে আপন মনে
কেহ নাহি যে থামায় তারে।

কত বেলা কত স্মৃতি
থেকে যায় মোদের হৃদয়পটে।

কত আশা কত চাওয়া
কভু নাহি ফুরোয় পাওয়া।

কত দুঃখ কত বেদনা
মনকে বোঝাই এত কেঁদোনা।

কত আবেগ কত অনুভূতি
সবই যেন এক চরম ভ্রান্তি।

কত আকার কত আকৃতি
যাদের মধ্যে নাই কোন প্রকৃতি।

কত ধর্ম থাকতে কর্ম
বুঝো না কেন এর মর্ম।

কত জাতি কত বর্ণ
এ নিয়ে কেন ভাই এতো তর্ক।

কত মন কত চিন্তা
এ নিয়ে করি মোরা দুশ্চিন্তা।

সময় থাকতে সব বিরোধ ভুলে
আসুন সবাই একতার পতাকা তলে।


রচনাকাল : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
সময় : রাত ১২:০৬ মিনিট

Friday, September 6, 2019

ডেঙ্গু

ডেঙ্গু কি?

ডেঙ্গু জ্বর একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস  জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ।এই রোগকে শনাক্ত এবং ডেঙ্গু জ্বর বলে নামকরণ করা হয় ১৭৭৯ সালে।এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের ৩-১৫ দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। উপসর্গগুলির মাঝে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা এবং গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি।শরীরে ব্যথার কারণে তখন একে 'হাড়ভাঙ্গা জ্বর'বলেও ডাকা হতো।দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে।এর ফলে রক্তপাত হয়, রক্ত অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়।

বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বর্তমান অবস্থা :

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বলা হয়েছে, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচেপড়া ভিড়।৬৪ জেলার ৬১টিতে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি তথ্যকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৩৬৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে শুধু ১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৬৮৩ জন আক্রান্ত। মঙ্গলবার হাসপাতালগুলোয় শিশুসহ ৪ হাজার ৪০০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। প্রতিবেদনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যুর তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি:

এ পর্যন্ত কয়েকটি হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু শনাক্তকৃত হয়েছে তারমধ্যে ঈশা খাঁ হল অন্যতম। তাই আমাদের সকলের সচেতন থাকা উচিত। দিনের বেলায় মশারি টানিয়ে ঘুমানো উচিত।

এখন আসুন আরো কিছু তথ্য জেনে নেই:

১.এডিস মশা কি শুধু সকালে কামড়ায়?

শুধুমাত্র দিনের আলো থাকাকালীন সময়েই এডিস মশা কামড়ায়।
"সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এডিস মশা কামড়ায়। তবে কামড়ানোর হার সবচেয়ে বেশি থাকে সূর্যোদয়ের পর দুই-তিন ঘন্টা এবং সূর্যাস্তের আগের কয়েক ঘন্টা।"

২.শুধু কি পায়েই কামড়ায় এডিস মশা?

ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, এডিস মশা যে শুধু পায়ে কামড়ায় - এই দাবি ভিত্তিহীন।
"মশা সাধারণত মানুষের পায়েই কামড়ায়, কারণ সাধারণত শরীরে পা'ই অনাবৃত থাকে। তবে শুধু যে পায়েই মশা কামড়ায়, বিষয়টি এরকম নয়।"

৩.এডিস মশা একবার কামড়ালেই কী ডেঙ্গু হয়?

এডিস মশা কামড়ালে যে মানুষের ডেঙ্গুজ্বর হবেই, বিষয়টি এমন নয়।পরিবেশে উপস্থিত ভাইরাস এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হলে সেই মশার কামড়ে ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

"এডিস মশার একটা বিষয় হলো, তারা সাধারণত একাধিক ব্যক্তিকে কামড়ায়। তাই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির শরীর থেকে এডিস মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার পর ঐ মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়।"

৪. ডেঙ্গু কি যেকোন এডিস মশার কামড়েই হয়?

না। ডেঙ্গু রোগটি হয় এডিস স্ত্রী জাতীয় মশার কামড়ে।

ডেঙ্গুর সাধারন লক্ষণসমূহ:

পেট ব্যাথা
বমি
যকৃৎ বড় হয়ে যাওয়া
পেশিতে রক্তক্ষরণ
অনুচক্রিকা কমে যাওয়া
শরীর ম্যাজম্যাজ করা

সম্ভাব্য রোগনিরূপণের ভিত্তি হলো জ্বরের সাথে সাথে নীচের যে কোন দু’টি : গা-বমি ভাব এবং বমি, র‍্যাশ, সাধারণীকৃত যন্ত্রণা, শ্বেত রক্তকনিকা কমে যাওয়া।

অন্যান্য লক্ষণ এবং উপসর্গ:

সাধারণত, ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত মানুষের কোনো লক্ষণ থাকে না (80%) অথবা শুধুমাত্র একটি অজটিল লক্ষণ দেখা দেয়।  শিশুদের মধ্যে প্রায়ই সাধারণ ঠান্ডা এবং gastroenteritis (বমি ও পাতলা পায়খানা) লক্ষণ ​​দেখা দেয়।

ক্লিনিক্যাল লক্ষণসমূহ:

ডেঙ্গুর বৈশিষ্ট্যগত উপসর্গ হলো হঠাত্ জ্বরের সূত্রপাত ,মাথা ব্যাথা (সাধারণত চোখের পিছনে), পেশী এবং যুগ্ম যন্ত্রনা, এবং ফুসকুড়ি।ডেঙ্গুর সংক্রমণ অবশ্যই পর্যায়ক্রমে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়: জ্বরভাবাপন্ন, ক্রিটিক্যাল,এবং সুস্থতা।

১.জ্বরভাবাপন্ন পর্বে উচ্চ জ্বর জড়িত থাকে, প্রায়ই ৪০ C (১০৪ F) উপর , এবং সাধারণ ব্যথা এবং মাথা ব্যাথার সাথে যুক্ত থাকে; এটি সাধারণত দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী থাকে, বমিও ঘটতে পারে। 50-80% মানুষের ফুসকুড়ির লক্ষণ হয়।

২.ক্রিটিক্যাল পর্বে উপনীতি হয় এবং সাধারণত এক থেকে দুই দিন স্থায়ী হয়। অঙ্গ কর্মহীনতার এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এলাকা থেকে তীব্র রক্তক্ষরণ ঘটতে পারে। [

৩. সুস্থতার পর্ব সাধারণত দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হয়। প্রায়ই লক্ষণীয় উন্নতি হয়, কিন্তু গুরুতর চুলকানি এবং ধীর গতির হৃৎস্পন্দন হতে পারে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধের করার উপায়:

ডেঙ্গু ভাইরাসের কোন স্বীকৃত টিকা বা ভ্যাকসিন নেই।সুতরাং প্রতিরোধ নির্ভর করে জীবাণুবাহী মশা নিয়ন্ত্রণ এবং তার কামড় থেকে সুরক্ষার উপর।A. aegypti কে নিয়ন্ত্রণ করার প্রাথমিক পদ্ধতি হ’ল এর বৃদ্ধির পরিবেশকে ধ্বংস করে ফেলা।  মানুষজন পুরো শরীর ঢাকা পোষাক পরে।

Wednesday, September 4, 2019

Zoo Animal

                     Royal Bengal Tiger


TAXONOMICAL CLASSIFICATION:                      
Kingdom:  Animalia
   Phylum: Chordata
     Class: Mammalia
       Order: Carnivora
         Family: Felidae
           Genus: Panthera
             Species: P. tigris ( P. tigris tigris var.)


Origin and Range:  Bangladesh, India, Nepal, Bhutan and China.

Habitates:

Tigers live in a wide variety of habitats such as in tropical lowland evergreen forest, monsoonal forest, tall grass jungles and mangrove swamps. Tigers are able to cope with a broad range of climatic variation. In general, they requires only some vegetative cover, a source of water and sufficient prey

Behaviour:

Royal Bengal Tigers are solitary.
The only long term relationship is between a mother and her offspring.
They are most active at night when their wild ungulate preys are most active.
They prefer to hunt in dense vegetation and along routes where they can move quickly.
They have tremendous leaping ability being able to leap from 8 to 10 meters.
They are excellent swimmer, easily cross river as wide as 6 to 8 km.
They are excellent climber using their retractable claws & powerful legs.

Reproduction :

Breeding Interval
Breeding season
Range number of offspring
Range gestation period

Female tigers give birth every 3 to 4 years, depending on the length of dependence of previous cubs
Tigers can breed at any time of the year, but breeding is most common from November to April
1 to 7
96 to 111 days


Life Span:

Typical life span status :
 Wild – 8 to 10 years
Captivity – 16 to 18 years
Average life span status :
Wild – 10 years
Captivity – 26 (highest) years

Food Habits :

Hunting procedure and eating habit :
Tigers locate their prey using hearing and sight more than olfaction.
They use stealy approach being silent, taking cautious steps and keeping low to the ground so they are not sighted or heard by the prey.
Tigers typically kill by ambushing prey, throwing the prey off balance with their mass as they leap onto it.
They use two tactics to kill the prey when they are close enough –
a) Small animal weighing less than half the body weight of the tiger are killed by a bite to the back of the neck. The canines are inserted between the neck vertebrate forcing them apart and breaking the spinal cord.
b) For larger animal a bite to the throat is used to crush the animals trachea and suffocate it.
The throat bite is the safer killing tactic because it minimizes any physical assault the tiger may receive while trying to kill the prey.
After the prey is taken cover, tigers feed first on the buttock using the carnassials to rip open the carcass.
Preys are usually dragged to cover and may be left there and revisited over several days.
Not all the preys are eaten, some parts are rejected.

Feeds at wild at nature:

The majority of the tiger diet consists of various large ungulate species like deer, antelope, gazelle, water buffalo, wild boar etc.
Smaller animals are sometimes taken when larger animals are not available including larger birds like Pheasants, leopards, fish, crocodiles, turtles, procupines, rat and frogs..
A very Royal Bengal Tigers begins to hunt humans.
Tigers will eat between 18 to 40 kg of meat at a time in nature.
They do not typically eat everyday in wild nature.

Feeding at Bangladesh National Zoo:
7 to 12 kg beef/day/animal

Standard commercial feeding strategy for Felidae :
For captive animals – meat and live animal alternatively at every day
For semi captive or moat animals - meat for 5 days in a week , live animal for once in a week and one day off feeding.

Monday, September 2, 2019

স্বপ্নের অনুপমা

  "অনুপমা"


নিদ্রা না আসিবার কারণ, 
আমার অন্তরাত্মা খুজিয়া বেড়াইতে বেড়াইতে দিশেহারা,
অবুঝ এই মন ব্যাকুল থাকিয়া যায় সারাবেলা..!!

অনুপমা, তোমার ঐ চক্ষুর কালো দর্পনে,
 আপনার প্রতিবিম্ব দেখিয়া লইবার আশায়,
ব্যাকুলতা আমাকে গ্রাস করিতেছে সারাবেলা...!!

ময়না,তোমার ঐ এলো চুল,
মৃদু স্পর্শে গোছালো করিবার আশায়,
দুষ্টু মন অশান্তের সাগরে ডুবিয়া থাকিতে চায় সারক্ষন..!!

লক্ষী, তোমার কপোলেতে ছোট্ট ছেলের কোমল ঠোট,
মমতা আর শ্রদ্ধার রেখা আকিবার আশায়,
উত্তাল সমুদ্রে হাবুডুবু খাইতেছে সারাবেলা,

রূপসী , তোমার বৃত্তাদর্শী বদনের পানে,
চাহিয়া থাকিয়া জীবন কাটিয়ে দেবার আশায়,
সরল মনে দমকা পবন চলিতে থাকে সর্বক্ষণ...!!

টুনটুনি,তোমার ছোট্ট ঘরে, 
ক্ষু্দ্রাকায় এই যাযাবর আশ্রয় পাইবার আশায়,
প্রার্থনাবাক্য অন্তরেতে বাজিয়া যাচ্ছে সারাক্ষণ...!!

পাগলী ,তোমার শাড়ির আঁচলে ঘোমটার ফাঁকে,
 লজ্জিত চঞ্চুর বাঁকা হাসি দেখিবার আশায়,
এই পাগলের অগ্নীদগ্ধ মন অপেক্ষায় থাকিতে উদ্ধত আজীবন..!!                    

                                                  রচনাকাল : ০৮-১২-২০১৮ খ্রি.
                       সময় : রাত : ২:৩৩ মিনিট

Introduction of Bangladesh National Zoo

Bangladesh National Zoo 


Bangladesh National Zoo, Bengali: (বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা) is a Zoo located in the Mirpur section of Dhaka, the capital city of Bangladesh. The Zoo contains many native and non-native animals and wild life, and hosts about three million visitors each year. The name of Zoo has been changed 5th February 2015 from Dhaka Zoo to Bangladesh National Zoo. Established in 1974, the 186-acre (75 ha) Dhaka Zoo is the largest zoo in Bangladesh, and is operated by the Ministry of Fisheries and Livestock. The zoo attracts around 10,000 visitors every day with the number increasing during the weekends and holidays. The zoo is also known for its poor conditions for animals and the corruption of its officials. The yearly budget of Dhaka Zoo is Tk 37.5 million, out of which Tk 25 million is spent on feeding the animals.

At a glance:

Year of establishment: 1961
Opened for visitor : 23 June 1974
Total area  : 146.63 acres.

Objectives :

The main Objective to Established a Zoo are CARER-
Introduce wildlife to public
Conservation
Ensuring animal welfare
Research & Education
Recreation

Bangladesh National Zoo Mission:

Secure a better world for animals through human understanding.
Administration:
Animal Nutrition Officer.
Veterinary Surgeon.
 Information Officer.
Scientific Officer (Zoo Research & Education).
Officer in Charge Museum.
Zoo Officers-04
Zoo Officer Large Mammals & Herbivores.
 Zoo Officer Birds.
 Zoo Officer Small Mammals & Reptiles.
 Zoo Officer Carnivores.
 Fisheries Section.
 Zoo Estate & Law department.
 Engineering Section.
 Office of Arbor culture’s.
 Zoo Security section.
Accounts Department

Dhaka Zoo Facilities Master Plan:

The National Zoo is undergoing a comprehensive master planning process. As we described last year, the Facilities Master Plan will guide the Zoo’s facilities renewal, which will help the Zoo achieve its mission of providing leadership in animal care, science, education, and sustainability. This long process, which is far from over, considers a variety of alternatives and benefits from feedback from the public.
The current phase involves an Environmental Assessment, which will be followed by such steps as comparing business plans.
Activities
Government employee’s period is 8 hours a day. Anybody performing duty beyond that are entitled to get overtime allowances as per Govt. rules. For all practical purposes, the employees of Bangladesh National Zoo are to perform their duty from 7.00 am to sunset when the visitors leave the palace as per existing provision, the Zoo are kept open for the visitors on all weekly holidays and other national holidays including holy Eid , puja etc. So the employees of Dhaka Zoo are denied form attending any social function retrieval.

Zoo Section Includes:

Herbivorous section
Carnivorous section
Small mammals & reptile section
Avian section

Animals:

The zoo is currently home to 2,150 animals from 134 species.
58 species of mammals(including elephants, cheetahs, rhinos, zebras, waterbucks, otters, hyenas, deer, giraffes, impala, black bears, tapirs, hippos, lions, many species of monkeys, chimpanzees, baboons, and Bengal tigers.)

1500 birds representing 91 species(including peacocks, rhea, African gray parrots, cassowary, owls, ostrich, emus, teals, finches, babblers, owls, vultures, and eagles. The two lakes at the zoo also host migratory water birds each winter)

13 species of reptiles(including snakes and crocodiles, and 28 species of fish)

Sheds & Nos:

Shed 33 Nos
Room 237 Nos
Zoo museum 01 Nos
Resting shed 13 Nos

Ferdous Hasan Mithun

How Will You Isolate and Characterise Salmonella spp. from Beef?

Isolation and Molecular Characterization of Salmonella spp. from Beef. Author:  Ferdous Hasan Mithun* Introduction: Innumberable foodborne z...