জীবন চলার পথে নানা মুহূর্তে উপলব্ধি করা কিছু নিজস্ব মনের ভাব লিখিতরূপে আত্মপ্রকাশ করার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস:
১.নিশীথের মধ্যিভাগে নিদ্রালু চক্ষু মৃদু হাস্যমুখের রেখা অনুকরণ করিয়া স্বপ্নে বিভোর হইয়া থাকিতে চাহে সর্বক্ষণ।এ কেমন দশা হইল মোর...!!
২.ভালো লাগা কখনও অপরাধ না, আর সেটা যদি হয় মন থেকে তাহলে তো কোন কথাই নাই।
৩.অনেক ক্ষেত্রে মন নিজের কথা শুনে না। সত্যিই তখন মানুষটা অসহায় হয়ে পড়ে..
৪.অতি ক্ষুদ্রাকায় নগন্য প্রানিকূল যেমন আমৃত্যু অবহেলিতই থাকিয়া যায় তেমনি মনুষ্যকূলের মধ্য হইতেও গুটিকতক এমন রহিয়াছে। যাহাদের কি না কোন ভালো লাগা থাকা উচিত নহে। তাহাদিগের সহিত কথা বলাও পাপ। এমনকি তাহাদের স্বপ্ন দেখাও অন্যায়। কোন কিছু চাওয়া তোহ ঘোরতর অপরাধ...
৫.মানুষের মন কত অদ্ভুত, তাই না? তা কখনও সরল পথে চলে না। সবসময় বক্র পথে মুহূর্তেই দিক পরিবর্তন করে চলতেই বেশি পছন্দ করে...
৬.পুষ্প যেমন আপনার জন্য ফোটে না তেমনি সুন্দর মনও তাকে সংকীর্ণ করে রাখা উচিত না।
৭.অতিরঞ্জিত ধরায় প্রাচুর্য যেখানে ওষ্ঠাগত,,
সেখানে কি হবে নিজেকে নিয়ে এত অহংকার করার...!!!
৮.নতুন মুহূর্তই নতুন ভাবনা ও নতুন অনুভূতির জন্ম দেয়। এতে শান্তি থাকলেও স্বস্তি বিরল...
৯. ভাঙ্গা টুকরো আয়নায় যেমন সম্পূর্ণ প্রতিবিম্ব দেখা ভার তেমনি ক্ষণসময়ে ধারনকৃত স্বল্প কিছু আলোকচিত্রও পুরো সময়কে তুলে ধরতে পারে না...
১০.ক্ষণভঙ্গুর সংক্ষিপ্ত জীবনে স্বল্পেতুষ্ট সুখী মন অন্তরাত্মাকে পরিতৃপ্ত করে।
১১.মানুষের জন্ম হয় ভালবাসা নিয়ে। বড় হওয়ার সাথে সাথে তা ব্যস্তানুপাতিক হয়ে যায়...!!!
১২.কাঁশের ঢেউয়ে মনের প্রসন্নক্ষণে,
জটপাকানো মন খোঁচা মেরে ওঠে।
হচ্ছি বড় যত, আনন্দ কাঁদছে তত গোপনে...
১৩. জীবনে উল্লাস যখন সাদা কাকের মতোই দূর্লভ, তখন পাওয়া সুযোগ হেলায় ছেড়ে দিও না।
১৪.বেশি নৈকট্য দূরত্বের সৃষ্টি করে। প্রিয়জনদের থেকে তাই দূরে থাকাই ভাল। সম্পর্ক স্থির নয়, পরিবর্তনশীল।।
১৫.“ দুঃখ মানুষের জীবনের একটি ব্যক্তিগত গান, যা মানুষ নিজে ছাড়া অন্য কেউ শোনে না...।"
১৬.চাওয়া যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন সেটা আসক্তি, যা দুঃখের প্রধান কারন। তবে যে হৃদয় হারিয়েছে, সে-ই কিছু পেয়েছে....
১৭.সহস্র বিষন্নতা আর একাকিত্বের মাঝেও কিন্ঞ্চিত প্রশান্তি আর সুকান্তের ১৮ খোঁজার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাও...
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.