ডেঙ্গু কি?
ডেঙ্গু জ্বর একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ।এই রোগকে শনাক্ত এবং ডেঙ্গু জ্বর বলে নামকরণ করা হয় ১৭৭৯ সালে।এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের ৩-১৫ দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। উপসর্গগুলির মাঝে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা এবং গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি।শরীরে ব্যথার কারণে তখন একে 'হাড়ভাঙ্গা জ্বর'বলেও ডাকা হতো।দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে।এর ফলে রক্তপাত হয়, রক্ত অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়।
বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বর্তমান অবস্থা :
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বলা হয়েছে, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচেপড়া ভিড়।৬৪ জেলার ৬১টিতে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি তথ্যকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৩৬৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে শুধু ১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৬৮৩ জন আক্রান্ত। মঙ্গলবার হাসপাতালগুলোয় শিশুসহ ৪ হাজার ৪০০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। প্রতিবেদনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যুর তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি:
এ পর্যন্ত কয়েকটি হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু শনাক্তকৃত হয়েছে তারমধ্যে ঈশা খাঁ হল অন্যতম। তাই আমাদের সকলের সচেতন থাকা উচিত। দিনের বেলায় মশারি টানিয়ে ঘুমানো উচিত।
এখন আসুন আরো কিছু তথ্য জেনে নেই:
১.এডিস মশা কি শুধু সকালে কামড়ায়?
শুধুমাত্র দিনের আলো থাকাকালীন সময়েই এডিস মশা কামড়ায়।
"সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এডিস মশা কামড়ায়। তবে কামড়ানোর হার সবচেয়ে বেশি থাকে সূর্যোদয়ের পর দুই-তিন ঘন্টা এবং সূর্যাস্তের আগের কয়েক ঘন্টা।"
২.শুধু কি পায়েই কামড়ায় এডিস মশা?
ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, এডিস মশা যে শুধু পায়ে কামড়ায় - এই দাবি ভিত্তিহীন।
"মশা সাধারণত মানুষের পায়েই কামড়ায়, কারণ সাধারণত শরীরে পা'ই অনাবৃত থাকে। তবে শুধু যে পায়েই মশা কামড়ায়, বিষয়টি এরকম নয়।"
৩.এডিস মশা একবার কামড়ালেই কী ডেঙ্গু হয়?
এডিস মশা কামড়ালে যে মানুষের ডেঙ্গুজ্বর হবেই, বিষয়টি এমন নয়।পরিবেশে উপস্থিত ভাইরাস এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হলে সেই মশার কামড়ে ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
"এডিস মশার একটা বিষয় হলো, তারা সাধারণত একাধিক ব্যক্তিকে কামড়ায়। তাই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির শরীর থেকে এডিস মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার পর ঐ মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়।"
৪. ডেঙ্গু কি যেকোন এডিস মশার কামড়েই হয়?
না। ডেঙ্গু রোগটি হয় এডিস স্ত্রী জাতীয় মশার কামড়ে।
ডেঙ্গুর সাধারন লক্ষণসমূহ:
পেট ব্যাথা
বমি
যকৃৎ বড় হয়ে যাওয়া
পেশিতে রক্তক্ষরণ
অনুচক্রিকা কমে যাওয়া
শরীর ম্যাজম্যাজ করা
সম্ভাব্য রোগনিরূপণের ভিত্তি হলো জ্বরের সাথে সাথে নীচের যে কোন দু’টি : গা-বমি ভাব এবং বমি, র্যাশ, সাধারণীকৃত যন্ত্রণা, শ্বেত রক্তকনিকা কমে যাওয়া।
অন্যান্য লক্ষণ এবং উপসর্গ:
সাধারণত, ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত মানুষের কোনো লক্ষণ থাকে না (80%) অথবা শুধুমাত্র একটি অজটিল লক্ষণ দেখা দেয়। শিশুদের মধ্যে প্রায়ই সাধারণ ঠান্ডা এবং gastroenteritis (বমি ও পাতলা পায়খানা) লক্ষণ দেখা দেয়।
ক্লিনিক্যাল লক্ষণসমূহ:
ডেঙ্গুর বৈশিষ্ট্যগত উপসর্গ হলো হঠাত্ জ্বরের সূত্রপাত ,মাথা ব্যাথা (সাধারণত চোখের পিছনে), পেশী এবং যুগ্ম যন্ত্রনা, এবং ফুসকুড়ি।ডেঙ্গুর সংক্রমণ অবশ্যই পর্যায়ক্রমে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়: জ্বরভাবাপন্ন, ক্রিটিক্যাল,এবং সুস্থতা।
১.জ্বরভাবাপন্ন পর্বে উচ্চ জ্বর জড়িত থাকে, প্রায়ই ৪০ C (১০৪ F) উপর , এবং সাধারণ ব্যথা এবং মাথা ব্যাথার সাথে যুক্ত থাকে; এটি সাধারণত দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী থাকে, বমিও ঘটতে পারে। 50-80% মানুষের ফুসকুড়ির লক্ষণ হয়।
২.ক্রিটিক্যাল পর্বে উপনীতি হয় এবং সাধারণত এক থেকে দুই দিন স্থায়ী হয়। অঙ্গ কর্মহীনতার এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এলাকা থেকে তীব্র রক্তক্ষরণ ঘটতে পারে। [
৩. সুস্থতার পর্ব সাধারণত দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হয়। প্রায়ই লক্ষণীয় উন্নতি হয়, কিন্তু গুরুতর চুলকানি এবং ধীর গতির হৃৎস্পন্দন হতে পারে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের করার উপায়:
ডেঙ্গু ভাইরাসের কোন স্বীকৃত টিকা বা ভ্যাকসিন নেই।সুতরাং প্রতিরোধ নির্ভর করে জীবাণুবাহী মশা নিয়ন্ত্রণ এবং তার কামড় থেকে সুরক্ষার উপর।A. aegypti কে নিয়ন্ত্রণ করার প্রাথমিক পদ্ধতি হ’ল এর বৃদ্ধির পরিবেশকে ধ্বংস করে ফেলা। মানুষজন পুরো শরীর ঢাকা পোষাক পরে।
"The will to win, the desire to succeed, the urge to reach your full potential... these are the keys that will unlock the door to personal excellence." __(Confucius)/// Hi, Everyone. This blog is for raising awareness among the people about all misleadings. So, Stay with me. Wishing you all about successful life. Thank you.
Friday, September 6, 2019
ডেঙ্গু
Labels:
Blog
Hi, everyone. I am Ferdous Hasan Mithun. Now I am studying at veterinary science at BAU. As a vet I want to stay honest in my profession and to be aware about my responsibilities. I would like to grasp the hand of needy communities. I hope in future my dream will come true as well.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Ferdous Hasan Mithun
How Will You Isolate and Characterise Salmonella spp. from Beef?
Isolation and Molecular Characterization of Salmonella spp. from Beef. Author: Ferdous Hasan Mithun* Introduction: Innumberable foodborne z...
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.