#Book_Summery: (25)
#মৃত্যুক্ষুধা
____কাজী নজরুল ইসলাম
প্রকাশ:১৯৯১
#চরিত্র:
১.কুঁদুলী: গজালের মা (৪ পুত্র)
২.মৃত তিন পুত্র: সোভান, বারিক, গজালে
৩.বড় বৌ, মেজ বৌ (হেলেন), ছোট বৌ
৪.পাচি: কুদুলীর মেয়ে
৫. প্যাকালে (জোসেফ): অবিবাহিত ছোট ছেলে।
৬. মধু ঘরামীর কন্যা কুর্শি: প্যাকালের প্রেমিকা
৭. আনসার: রুশ বিপ্লবের পটভূমিতে বিশ্বাসী বিপ্লবী নেতা। লতিফার বড় ভাই।
৮.রুবি: আনসারের প্রেমিকা।
৯. লতিফার: নাজিরের স্ত্রী
১০.নাজির সাহেব: সহজ সরল মানুষ।
১১.মিস জোন্স: খ্রিস্টান মিশনারি
১২. মিস্টার হামিদ: ময়মনসিংহের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট। রুবির বাবা।
১৩. নুলোর মা হিড়িম্বা: ধাত্রী।
১৪.খাতুনের মা: মুসলমান
১৫. গিয়াসউদ্দিন: ছোট বৌর বোন জামাই।
#কাহিনী_সংক্ষেপণ:
কৃষ্ণনগরে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান সকল জাতির বাস। হত দরিদ্রদের মধ্যে রাত পোহালেই অতি সাধারণ বিষয় নিয়ে জাত ছাড়া লড়াই আবার প্রয়োজনের তাগিদেই বিবাদ ভুলে আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় একে অন্যের প্রতি। কুদুলীর তিন বিধবা বৌ , সন্তান ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির। খাবার নেই। ছোট বৌ অসুস্থ, সন্তান অপুষ্টিতে মুমূর্ষু। পাচির প্রসব বেদনায় একটু আগে ঝগড়া হয়ে যাওয়া হিড়িম্বা সাহায্য করতে আসে ধাত্রী হিসেবে। প্যাকালে রাজমিস্ত্রীর কাজ করলেও ফিটফাট থাকে কাউকে আকৃষ্ট করতে। কুর্শির সাথে ভাব জমেছে। খাদ্যাভাব ও চিকিৎসার অভাবে ছোট বৌ ও তার কুলের সন্তান মারা যায়। মেজ বৌ বাকি সন্তানদের জন্য সাহেব বাড়ি থেকে কৃপায় পাওয়া পানি মিশ্রিত বিড়ালে খেয়ে যাওয়া দুধ দিয়ে পায়েশ রান্না করে। ছোট বৌয়ের রূপে পাগল গায়ের যুবকরা। বোনাই গিয়াসউদ্দিন আরো বেশি পাগল। প্যাকালের মা প্যাকালের বিয়ে মেজ বৌয়ের সাথে দিতে চাইলে প্যাকালে রানাঘাট চলে যায় না জানিয়ে। পরিবারের কষ্ট আরও বেড়ে যায়। সন্তানদের ক্ষুধা নিবারণ করতে খ্রিস্টান মিশনারিতে শিক্ষার ছলে যাতায়াত করতে থাকে। সাম্প্রদায়িকতার কবলে অপবাদে বাধ্য হয়ে খ্রিস্টান হয়ে ছোট বৌ থেকে হেলেন হয়ে যায়। গজালের মা তাদের অভিশাপ দিতে থাকে। নাজির সাহেবের বাড়িতে বিপ্লবী নেতা আনসার এসে উপস্থিত। সুখ দুঃখের ভাগাভাগি ভাবের আদান-প্রদান সবই হয়। শক্ত মনের এই দরিদ্র মজুরের জন্য খেটে খাওয়া মানুষটির নারীর প্রতি কোন আকর্ষন নেই। তা সত্ত্বেও মেজ বৌয়ের রূপ তার মনেও মৃদু ভূমিকম্প তুলেছিল। মেজ বৌ প্রেমে পড়ে যায় সুপুরুষটির। পুনঃধর্মান্তরিত হওয়ার ভয়ে খ্রিস্টান মিশনারি তাকে বরিশালে পাঠিয়ে দেয়। প্যাকালে, কুর্শিও খ্রিস্টান হয়ে চাকরি পেয়ে যায়। আনসার পুলিশ কর্তৃক সরকার বিরোধী আন্দোলনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়। বিধবা রুবি, হামিদ কৃষ্ণনগরে আসে। বান্ধবী লতিফার সাথে প্রেমানুভূতি, দুঃখ কষ্ট ভাগাভাগি করে। একদিন ছোট বৌ চিঠিতে জানতে পারে খোকা অসুস্থ। ছুটে যায় কৃষ্ণনগরে। খোকা মারা যায়। ছোট বৌ দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে শশব্যস্ত। মিশনারিতে উপার্জিত টাকা দিয়ে খোকার চালশে করে। গ্রামের সকল শিশুদের মা ছোট বৌ। তার ইচ্ছা একটা স্কুল খুলবে সেখানে। রুবি টাকা দিতে সম্মত হয়। লতিফাকে আনসার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার খবর, গন্তব্য ও দুই ভালোলাগা মেয়ের কথা জানায়। আনসার টিউবার কিউলোসিসে আক্রান্ত। রুবি তাকে সেবা করতে ছুটে যায় সেখানে। ভালোবাসার জন্য নিজের কর্তব্য ঠিক করে মৃত্যকে আলিঙ্গন করে ভালোবাসার মানুষটির গলায় ঝুলে পড়ে।
#উক্তি:
* "চিরদিন বিষ খেয়ে বড় হয়েছি, আজ মৃত্যুর ক্ষণে তুমি অমৃত পরিবেশন কর। আমি মৃত্যুঞ্জয়ী হই।"__আনসার
*ঝিনুকর মুখে এক বিন্দু শিশির, নারীর বুকে এক বিন্দু প্রেম!
*মৃত্যু ক্ষুধার মত সে চাউনি জ্বালাময়, বুভুক্ষু, লেলিহান। সে চোখে অশ্রু নাই, শুধু রক্ত।
*পৃথিবীতে দুঃখ বলে কিছু নেই, ও যেন আনন্দেরই আরেকটা দিক।
©Mithun
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.