Book Review: (13)
ক্যাপ্টেন টমসনের গুপ্তধন
___সৌরভ মুখোপাধ্যায়
চরিত্র:
১.ক্যাপটেন টমসন : গ্রীন অলিভস জাহাজ
২.কটেজ :রাজপ্রতিনিধি-১
৩. বিলবার্ডি: রাজপ্রতিনিধি-২
৪. ফ্র্যাঙ্ক কিটিং: ইংরেজ জাহাজের ক্যাপ্টেন
৫. বেনিটো: জলদস্যুদের জাহাজের ক্যাপ্টেন
মূল কাহিনী:
দেশে যুদ্ধাশঙ্কায় ক্যাপ্টেন টমসন ইউরোপের পেরুর বিপুল গুপ্তধন তার জাহাজে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্ডার পায় রাজার কাছ থেকে। গন্তব্য লিমা দ্বীপ। এজন্য প্রচুর টাকা পাবেন টমসন। আর গুপ্তধনের কথা তার কাছে গোপন রাখা হয় সাথে রাজার বিশ্বস্ত রাজপ্রতিনিধি দেয়া হয়। নির্ধারিত দিনে জাহাজ ছাড়লো । ঐ দুইজন রাজ প্রতিনিধি ছাড়া কেউই জানে না জাহাজের বাক্সগুলোতে কি আছে। বেশ কয়েকদিন চলার পর টমসন দুষ্টবুদ্ধি আটে, সে রাজপ্রতিনিধিদের মদের নেশায় চুর করে সব গুপ্তধনের সন্ধান জেনে যায় । লোভের তাড়নায় তাদের দুজনকে খুন করে বাকি মাঝি-মাল্লাদেরও হত্যা করে সলিল সমাধি সারে। তারপর সব স্বর্ণসহ জাহাজ নিয়ে "খোকস" দ্বীপে গিয়ে উঠে। সেখানে একটা গুহার মধ্যে সমস্ত গুপ্তধন রেখে মাটি চাপা দিয়ে তার উপর গাছ লাগিয়ে, ইউরোপের দিকে রওনা দেয় । গ্রীন অলিভ জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। ছোট্ট একটা নৌকায় করে ফিরতে থাকে, যেন গিয়ে বলতে পারে যে তার জাহাজ পানিতে ডুবে সবাই মারা গেছে সে শুধুমাত্র বেঁচে ফিরতে পেরেছে। পরে ধীরে ধীরে সে সম্পদ নিয়ে যাবে। সে ভাসতে-ভাসতে একটা জাহাজ দেখতে পায় সামনে। খুশি হয়ে তাতে গিয়ে ওঠে কিন্তু হায়! এটা জলদস্যুদের জাহাজ । জলদস্যুদের জাহাজের ক্যাপ্টেন, বেনিটো, সমস্ত কিছু জানতে চায় আর তার ধূর্ততার কাছে মৃত্যু ভয়ে সব বলে দিতে বাধ্য হয়় । তাকে নিয়ে আবার সেই "খোকস" দ্বীপে যায়। তারা গিয়ে গুহাটি সন্ধান দিতে বলে কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে যায় টমসন। নিরাশ হয়ে জলদস্যুদের জাহাজ চলে যায় । সে বেরিয়ে এসে একটা গাছের গুড়ির ভেলায় চড়ে আধমরা হয়ে সমুদ্রে ভাসতে থাকে। লবন পানিতে পায়ের ক্ষতস্থানে ঘা ধরে গেছে। এমন অবস্থায় মুমূর্ষু টমসনকে দেখতে পেয়ে ইংরেজ জাহাজ তাকে উঠিয়ে নেয়। দীর্ঘদিন অনাহারে, পিপাসায় এতটাই ভেঙে পড়েছে যে তার দিকে আর তাকানো যায় না। সে বদ্ধ পাগল হয়ে যায় ভুলে যায় তার ধন-ভান্ডারের কথা । বৃদ্ধ অবস্থায় ভবঘুরে হয়ে সমুদ্র তীরে দাঁড়িয়ে থাকতো।মৃত্যুর আগে মনে পড়ে । মারা যাবার আগে সে একটা ম্যাপ একে যায় সমুদ্রের তীরে। মানুষ তার সংকেত বুঝতে পারে না। সমুদ্রের পানিতে সেই বালিয়াড়ীর ম্যাপ মিলিয়ে যায়। এভাবেই খোকস হয়ে উঠলো গোপন বিপুল রত্নভাণ্ডারের দ্বীপ ।
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.