Book Review : (2)
#মা
লেখক: ম্যাক্সিম গোর্কি (রুশ কথাসাহিত্যিক )
# এটি একটি কালজয়ী উপন্যাস। ধারণা করা হয় রুশ বিপ্লবের পেছনে এই বইটির অনন্য অবদান ছিল। বইটি আজও বিশ্বব্যাপী সমাদ্রিত। তবে বইটি পড়তে গিয়ে কিছুটা একঘেয়েমি আসতে পারে। এখানে উল্লেখ আছে কিভাবে জারদের শোষনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ একটি পরিবার থেকে ছড়িয়ে পড়ে সকল শ্রমিকদের মধ্যে।
এবার সরাসরি চলে যাচ্ছি সংক্ষেপনে--
#চরিত্র:
১. মা: শক্তমনের বিপ্লবী নারী চরিত্রের অবতারণা।
২. পেভেল ( ছেলে): নির্ভীক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ, যুক্তিবাদী, বিপ্লবের উদ্দীপক, এক কথায় প্রোটাগনিস্ট
৩. উইলিয়াম (পেভেলের বাবা ): কারখানার অক্লান্ত খাটুনিতে মারা যায়।
৪. শশাঙ্কা (শাশা) : পেভেলকে ভালবাসে ও তাকে সমর্থন করে।
#বিপ্লবী_বন্ধুরা__
৫.এন্ড্রু
৬. নিকোলাই
৭. রাইবিন
৮. আইভানবিচ
৯. শফি ( আইভানবিচ এর বিধবা বোন)
১০. ফেদিয়ামিন
১১. নিউদমিলা ( ইশতেহার ছাপার কাজ)
১২. আইভান (ডাক্তার)
১৩. মজুরদল ও কর্তারা।
## কারখানায় নিদারুণ পরিশ্রমের ফলস্বরূপ মজুররা যা পায় তা অতি সামান্য। অথচ তাদের পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে কর্তারা আকাশচুম্বী। ভয়ে জারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারে না। মজুররা তাদের রাগের ঝাল মিটায় অবলা স্ত্রীদের উপর। খাটুনিতে পেভেলের বাবাও মারা যায়। পেভেল বড় হওয়ার সাথে সাথে মনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আগুনের ফুলকি দানা বাধতে থাকে। প্রচুর পড়াশুনা করে নিজের ব্যাক্তিত্ববোধকে শাণিত করে তোলে। বন্ধুদের সাথে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে লেখা ইশতেহার বিলি করতে থাকে কারখানার মজুরদের মধ্যে। ফলে তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে। পেভেলের অবর্তমানে পেভেলের তার জায়গা পূরণ করে মা। খাবার নিয়ে যাওয়ার ছলে লুকিয়ে ইশতেহার নিয়ে যায় মা। মজুররা প্রথমে সাহস পায় না কর্তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে। একসময় তারা সকলে রুখে দাড়ায় ধনীক শ্রেনীর শোষনের বিরুদ্ধে। অনেক নির্যাতন ও প্রাণ যায়। তবু তারা দমবার পাত্র নয়।শফি ছদ্মবেশে খবর পৌছায়। নিউদমিলা ইশতেহার ছাপার কাজ করে।পেভেল জেল থেকে ফিরে আবার সংগ্রাম শুরু করে। তার ভালবাসার মানুষকে বিসর্জন দেয়। সাম্যবাদীর পতাকায় মজুরদের নিয়ে মিছিল নামে, স্লোগান --" উঠো জাগো মজুরদল, ক্ষুধিত মানব যুদ্ধে চল।" পেভেল ও সঙ্গীরা গ্রেফতার হয় ও বিচারে সাইবেরিয়ায় নির্বাসিত হয়। আদালতে দেয়া পেভেলের শেষ বানী পৌছে দেয় সকলের কাছে। সকলের মা হয়ে প্রতিয়মান বিপ্লবী বৃদ্ধ নারী সরকারের বিরুদ্ধে সত্য লেখা নিষিদ্ধ বই বলে অভিহিত তা মজুরদের মধ্যে বিলি করে। মজুররা তাদের ন্যায্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। শেষে মা ও ধরা পড়ে।জানে সেও নির্বাসিত হবে। স্বামী সন্তান হারা, প্রত্যহ নিদারুণ কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করা বৃদ্ধা আজ খুশি এই ভেবে যে তাদের ত্যাগ সফল হতে চলেছে।
আপনারাও বইটি পড়তে পারেন।
©Mithun
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.