Book Review: (09)
#ফ্রাঙ্কেস্টাইন
___মেরি শেলি
#চরিত্র:
১.ভিক্টর /ফ্রাঙ্কেস্টাইন: নায়ক, বিচক্ষণ, বিজ্ঞানী (রবার্ট তাকে মুমূর্ষু অবস্থায়)
২. এলিজাবেথ: ভিক্টরের বাবা তাকে দত্তক নেয়। দায়িত্বশীল যত্নশীল মেয়ে। ভিক্টরের সাথে বিয়ের রাতে খুন হয়।
৩. আলফা অন্স ফ্রাঙ্কেস্টাইন: বাবা
৪.উইলিয়াম: (ছোট ভাই ) ছোট, সুন্দর চেহারা (খুন হয়)
৫. হেনরি: বন্ধু
৬.জাস্টিন মরিস : উইলিয়ামকে ভালোবাসতো । তাকেই খুনের দায়ে ফাঁসি দেওয়া হয় অথচ সে নির্দোষ।
৭. রবার্ট ওয়ালটন: জাহাজের ক্যাপ্টেন (উত্তর মেরু আবিষ্কারের বেরিয়ে পড়ে)
৮. মার্গারেট: রবার্টের বোন। তার যাত্রার সকল ঘটনার বোনকে জানায় চিঠিতে।
৯. কারউইন: আয়ারল্যান্ডের বিচারক। ১০. মা: ভিক্টরের পরিবার থাকতো সুইজারল্যান্ডে।
## রবার্ট ওয়ালটন মেরুর উদ্দেশ্যে চলছে। যাত্রার সমস্ত ঘটনা মার্গারেটকে চিঠিতে লিখছে।
সমুদ্রের মধ্যে বরফখন্ডের উপর ভেসে আসা এক মুমূর্ষ ব্যক্তিকে খুঁজে পায় ,নাম ফ্রাঙ্কেস্টাইন। তার সকল ঘটনা় শোনেন ও চিঠিতে লিখেন। ফ্রাঙ্কেস্টাইন একজন বিজ্ঞানী। তার লক্ষ্য মৃত মানুষকে রক্তমাংসের সুন্দর মানুষ তৈরি। ভার্সিটির সেরা ছাত্রটি তা একসময় আবিষ্কারও করে ফেলে। তৈরি করে 8 ফুট এর দানব, যত্ন নিয়ে বানায় । কিন্তু হয়ে যায় কুৎসিত চেহারার। ফ্রাঙ্কেস্টাইন ভীত। দানবটি জীবিত হয়ে ঘর থেকে চলে যায়। কুৎসিত, ভয়ঙ্কর বলে আগে তাকে কেউ গ্রহণ করে না। দুঃখে, প্রতিহিংসায় খুন করে উইলিয়াম (ছোট ভাই) কে। খুনের দায় চাপিয়ে দেয় জাস্টিনের ঘাড়ে ( উইলিয়ামের লকেটটা তার পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে) । শক্ত কোন প্রমাণ না থাকায় নির্দোষ মহিলার ফাঁসি হয়। ফ্রাঙ্কেস্টাইন বুঝতে পারে এসবই ঐ দানবটির কাজ । তাই সে প্রতিশোধ নিতে চায় । সঙ্গী নেই, তাই দানবটির সঙ্গী তৈরি করে দিলে আর মানুষ খুন করবে না, বলে। ভিক্টর তাতে রাজি হয় না এক সময় চাপে পড়ে রাজি হয় ও ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে এক মেয়ে দানব বানানো শুরু করে। তৈরি হয়ে গেলে সে আবার ভাবতে থাকে এই দানব যদি আবার মানুষ হত্যা শুরু করে । মানবজাতির জন্য হুমকি হয় যদি ? তাছাড়া সে তার সঙ্গীকে গ্রহণ করবে তার কি নিশ্চয়তা আছে ? এসব ভেবে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে জীবিত হয়ে উঠার আগেই । তা দেখে রাগে ফেটে পড়ে দানবটি ও এর প্রতিশোধ নেবে বলে চলে যায় । মেয়ে দানব টিকে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিতে গিয়ে শ্রান্ত হয়ে নৌকায় ঘুমিয়ে পড়ে ভিক্টর। নৌকা সমুদ্রের ভেতরে চলে যায় । ঝড়ের কবল থেকে বেঁচে নৌকা ভিড়ে আয়ারল্যান্ডের দ্বীপে। সেখানে বন্ধু, হেনরির, খুনের দায়ে দোষী করা হয় তাকে। বিচারক কারউইন বুঝতে পারে সে আসলে খুনি নয় । ভিক্টরের বাবা আসলে তাকে মুক্ত করে দেয়া হয় । সে ফিরে আসে সুইজারল্যান্ডে । আগেই এলিজাবেথের সাথে বিয়ের কথা ছিল । বিয়ের আয়োজন ও বিয়ের রাতে ভিক্টর নিচে অপেক্ষা করছিল দানব আসলে গুলি করবে । কিন্তু দানব লুকিয়ে উপরের ঘরে গিয়ে এলিজাবেথকে হত্যা করে চলে যায় । ভিক্টর তাতে মুষড়ে পড়ে ও দানবকে হত্যার জন্য পণ করে । পিছু পিছু ছুটতে ছুটতে পৌঁছে যায় বরফের দেশে । বরফের মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে নেয় কিন্তু ভিক্টর পারে না । অনাহারে, শীতে সে একেবারে ভগ্ন হয়ে পড়ে। সাথের কুকুরগুলোও মারা গেছে। ভূমিকম্পে বরফে ফাটল ধরে । বরফখণ্ড গলতে থাকে । তার উপর চড়ে হলেও তাকে মারবে সে । পরে জাহাজ দেখে সেখানে আসে । ফ্রাঙ্কেস্টাইনের আজ প্রাণ যাচ্ছে যাচ্ছে । বৃদ্ধ, নিশ্চল শরীর নিয়ে উঠতেও পারে না এখন । একদিন মারা যায় জাহাজের মধ্যেই। হঠাৎ জাহাজে তার কক্ষে় দানবটি আসে ও উপহাস করে । তার লক্ষ্য সার্থক হয়েছে বলে, সে মেরুর উদ্দেশ্যে চলে যায় । আর কখনো মানব বসতিতে আসে না । রবার্ট বরফের পাহাড় কেটে আর এগিয়ে যেতে না পেরে নিজ দেশে ফিরে আসে ব্যর্থ প্রয়াস নিয়ে ।
#শিক্ষা: বিজ্ঞান উপকারী কিন্তু কখনো কখনো সে যে দেখা দেয় অভিশাপ হয়ে। তাই নিজের গন্ডির মধ্যে থাকা উচিত। সৃষ্টির শৃংখলকে, প্রকৃতির নিয়মকে ভাঙতে গেলে ফল হতে পারে ভয়ঙ্কর।
©Mithun
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.