Book Review : (05)
#The Invisible Man
___H.G.Wells
#চরিত্র:
১. ইনভিজিবল ম্যান (গ্রিফিন) : ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী। পদার্থ ও রসায়নে গোল্ড মেডেলিস্ট, বিজ্ঞানী।
২. হল ও মিসেস হল: তাদের সরাইখানায় ভাড়া নিয়ে থাকে গ্রিফিন।
৩.কাস: কৌতুহলী, হলের বন্ধু।
৪. রেভারেন্ট বান্টে: সাহসী, কাসের বন্ধু ও হলের পরিচিত। সাহায্যে আসে।
৫.স্যান্ডি: ইনভিজিবল ম্যানকে ভূত ভেবে; ভূত তাড়াতে আসে।
৬. জ্যাফার্স: পুলিশ কর্মকর্তা।
৭.মার্বেল: ভিক্ষুক, গ্রিফিন তার সাহায্য চায়, বেচে থাকতে।
৮.ডক্টর:গ্রিফিনের স্কুল বন্ধু। বেচে থাকতে তার কাছেও সাহায্যের জন্য যায়।
## অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র গ্রিফিন হঠাৎই আবিষ্কার নিয়ে মেতে উঠে। অদৃশ্য হওয়া নিয়ে বিস্তর গবেষণা করে ও সফল হয়। প্রথমে বিড়ালের উপর পরীক্ষা চালিয়ে সেটা অদৃশ্য করে দেয়। পরে নিজেই নিজের উপর পরীক্ষা চালিয়ে অদৃশ্য মানবে রূপ নেয়। কিন্তু, সে অদৃশ্য হওয়া থেকে দৃশ্যমান হওয়ার কোন মেডিসিন বানাতে পারছে না। কেবলমাত্র পোশাক জড়ালেই তাকে দেখা যায়। তাই পোশাক ও কালো চশমা পড়ে সে মিসেস হলের বাড়ি এসে তার একটা সরাইখানা চড়া দামে ভাড়া নেয়। এতে মি. হলের একটু সন্দেহ হলেও মিসেস তা উড়িয়ে দেয়। অপরিচিত মানুষটির কাজকর্ম ও একা থাকা, কাউকে সহ্য করতে না পারা সব যেন সন্দেহ দানা বাজছিল তাদের কাছে। সেই সন্দেহের অবসান হয় একদিন। হঠাৎ করেই মিসেস হল তার রুমে ঢুকে পড়ে। দেখে একটি চেয়ার আপনা আপনি এদিক থেকে ওদিক যাচ্ছে। ঘরময় ওষধের শিশি ভেঙ্গে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভূত ভেবে দৌড়ে বের হয়ে আসে। বন্ধু, স্যান্ডিকে ডেকে আনে ভূত তাড়াতে। সেও সব কান্ড দেখে ছুটে বের হয়ে আসে। বেশ হৈচৈ বেধে যায়। পুলিশ আসে ধরতে। কিন্তু অদৃশ্য হয়ে সে পালিয়ে যায়। পড়ে থাকে কেবল কাপড়গুলো। সে বিজ্ঞানকে মানুষের কাজে লাগাতে চেয়েছিল। মানুষ তাকে ভুল বুঝে ও বিরক্ত করতে থাকে।অতীষ্ট হয়ে হিংস্র ও বিদ্বেষী হয়ে উঠে। সে বেচে থাকতে চুরি ও নর হত্যা শুরু করে। একসময় মার্বেলের সাথে পরিচয় হয়। মার্বেলকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তাকে বাধ্য করে তাকে সাহায্য করতে, খাবার জোগাড় করে দিতে বিনিময়ে সে অনেক অর্থ দেবে তাকে। কিন্তু, ভিক্ষুক তার থেকে দূরে থাকতে চায়। একসময় সে বিশ্বাসঘাতকতা করে। তাই ইনভিজিবল ম্যান তাকে খুন করে তার অপরাধের শাস্তি দেবে বলে ঠিক করে। একদিন পুলিশ ও এই ইংরেজ তাকে রক্ষা করে। এসময় ইংরেজের এলোপাথাড়ি গুলিতে অদৃশ্য মানুষের একটি হাত জখম হয়। গ্রিফিন পালিয়ে তার বাল্য বন্ধুর রুমে চলে আসে আত্মরক্ষার জন্য। সে তাকে পরিচয় দেয় ও সব ঘটনা বলে সাহায্য চায়।আর বলে, সে তার ঐখানে থেকে গবেষণা করে ঠিক হওয়ার ওষধ আবিস্কার করবে। ড.অভয় দেয়, খাবার ও থাকার জায়গা দেয়। কিন্ত, সে ভাবে তাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে না দিলে সমাজের, দেশের ক্ষতি হতে পারে। যেকিনা চুরি ও মানুষ হত্যা শুরু করেছে। সিদ্ধান্ত নেয় তাকে ধরিয়ে দেয়াই ভালো হবে। রাতেই পুলিশকে খবর দেয়। ভোরেই সমস্ত বাড়ি ঘেরাও করে ফেলে। অদৃশ্য মানুষ সব বুঝতে পেরে পালিয়ে যায়। বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তিস্বরূপ তার বন্ধুকে খুন করতে আসে। পুলিশ পাহারায় ছিল। শেষে সিড়িতে ধস্তাধস্তিতে ড. প্রায় মৃতপায় তখন পুলিশের এক কুড়োলের আঘাতে মেঝে ভেসে যায় লাল রক্তে। ক্ষতবিক্ষত হয় অদৃশ্য মানুষের অদৃশ্য শরীর। আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে থাকে সমস্ত দেহ।
পতন হয় মেধাবী বিজ্ঞানীর অপবুদ্ধির।
©Mithun
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.