Book Review -(1):
#দি এডভেঞ্চার অব ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস
____জুল ভার্ন
চরিত্র :
১.ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস:( ফরওয়ার্ড জাহাজ) ব্রিটেনের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। ভ্রমণপিপাসু, যিনি লক্ষ্য জয়ে মরিয়া। উত্তরমেরু আবিষ্কারের নেশায় চুর।
২.ড.ক্লবনি: অত্যন্ত বিদ্যানমনষ্ক আবিষ্কারক চরিত্র, ক্যাপ্টেনের অনুরাগী।
৩. রিচার্ড শ্যানডন: সাহসী ব্যাক্তিত্ব, কিন্তু শেষে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
৪. বেল ও
৫. জনসন : দুজনেই ক্যাপ্টেনের দুঃখের সাথী, শেষ করুণ মুহূর্তের স্বাক্ষী।
৬. ডাক: হ্যাটেরসের বিশ্বস্ত কুকুর।
৭.আলট্রামন্ট: আমেরিকান জাহাজ পয়পরেজের ক্যাপ্টেন।
৮. নাবিকরা মিলিয়ে মোট ১৭ জন যাত্রী।
## ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস তার ফরওয়ার্ড জাহাজ ও প্রয়োজনীয় রসদপত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়েন, সাথীদের রাজি করাতে গুনতে হয় বেশ মোটা অঙ্কের বেতন ভাতা। প্রথমে ক্যাপ্টেন নিজের পরিচয় গোপন রাখেন। জাহাজ বিপদসংকুল পরিবেশে এগিয়ে চলছে তরতর করে। কয়েকমাস পর জাহাজ আটকা পড়ে বরফের চাইয়ের মধ্যে। সামনে এগুনোর রাস্তা বন্ধ, এমন সময় বেরিয়ে আসেন নির্ভীক ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস। কোন বাধাই তাকে দমাতে পরে না। কামান ছুড়ে বরফের পাহাড় কেটে এগিয়ে যেতে থাকে ফরওয়ার্ড। একসময় আটকা পড়ে বিশাল বরফের পাহাড়ে। নাবিকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে। তারা আর যায় না। এদিকে জাহাজের খাবার ও জ্বালানি সবই শেষ। দূরে কয়লার সন্ধানে গিয়ে আমেরিকান ক্যাপ্টেন আলট্রামন্টকে খুজে পায় বরফের নিচে। সকলেই ক্ষুধার্ত মৃতপ্রায় এক অন্তিম মুহূর্তের শিকার। কুকুর, ডাকের সহায়তায় ফিরে আসে। আল্ট্রামন্ট সুসথ হলে তার জাহাজ পয়পরেজের সন্ধান দেয়। যাতে কোন কিছুরই অভাব ছিল না। ক্যাপ্টেন নতুন উদ্দমে মাত্র ৫ জন মিলে লক্ষ্যের দিকে ছুটতে থাকে। রাস্তায় আমেরিকান ক্যাপ্টেন আদায় কাঁচকলা ভাব, সাদা ভাল্লুকের আক্রমনের শিকার ও ড. ক্লবনির ধূর্ততায় তা থেকে বেরিয়ে আসা, আগুনের অভাবে মুমূর্ষু সকলকে অভিনব কায়দায় বরফের ক্রিস্টাল থেকে আগুন তৈরী, শেষে দুই ক্যাপ্টেনের বন্ধুত্ব হয়ে যাওয়ার পর আবিষ্কারের স্থানের নাম নিয়ে বিতন্ডা চুকে যায়।
ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস আবিষ্কার করেন উত্তর মেরু। কিন্তু, তাতেও সে সন্তুষ্ট না। মেরুবিন্দুতে ব্রিটেনের পতাকা না উড়িয়ে ক্ষান্ত হবেন না। কিন্তু হায় মেরুবিন্দু তো জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে। কেউ ক্যাপ্টেনকে যেতে দেবে না। ক্যাপ্টেন মরিয়া। নিজের মৃত্যুকে হাতে নিয়ে লাফিয়ে উঠতে থাকে মাউন্টেইন অফ হ্যাটেরাসে, সাথে তার একমাত্র শেষ সঙ্গী 'ডাক'।
ক্যাপ্টেন চূড়ায় উঠে গেছে। লাফিয়ে পড়ার মুহূর্তে তাকে বাঁচায় সদ্য গড়ে উঠা বন্ধু আল্ট্রামন্ট।
শেষে ৫ জন ফিরে আসে লন্ডনে। ঐদিকে বিশ্বাসঘাতকরা অনাহারে তীব্র শীতে সবাই মারা যায়।
অভিজ্ঞতা : ইগলু ( বরফের তৈরী ঘর) বানানো
এসকিমুদের জীবন পদ্ধতি ( কাঁচা মাছ ভক্ষনকারী)
সব মিলিয়ে বইটি অসাধারণ। পদেপদে বিপদকে জয় করে আত্মার চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তরিত করতে সংগ্রামী হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। এটাই উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য।
আপনারা বইড়ি পড়ে দেখতে পারেন। সময় অপচয় হবে না, নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
©Mithun
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.