Book Review: (12)
কঙ্কাল দ্বীপের রহস্য
___আলফ্রেড হিচকক
চরিত্র:
তিন গোয়েন্দা
১.পিট
২.বব ও
৩.জুপিটার
# দুই ডাকাত
৪.বেল ও
৫. জিম
৬. ক্রিস ( বালক ) : অসুস্থ বাবার চিকিৎসার টাকা জোগাতে গুপ্তধন খোঁজে।
৭. উইলবার্ট : দ্বীপের মালিক।
কাহিনী:
আফ্রিকার কাছে কঙ্কাল দ্বীপে মুভির কাজ করতে গিয়েছে আলফ্রেড হিচককের পাঠানো টিম । তার নেতৃত্বে ছিল ববের বাবা। হিচকক মুভিতে তিন গোয়েন্দার পার্ট আছে। তাই তাদের সেই দ্বীপে পাঠায় । কিন্তু যাওয়ার সময় ঘটে যায় এক ঘটনা। কঙ্কাল দ্বীপে যাওয়ার সময় এক আগন্তুক মাঝি তাদেরকে ভুল দ্বীপে নামিয়ে দিয়ে চলে আসে। তারা গন্তব্যে পৌঁছার পরিবর্তে আটকা পড়ে যায় সেখানে। সেখান থেকে কঙ্কাল দ্বীপে পৌঁছে ক্রিসের সহযোগিতায়। সেই থেকে তার সাথে বন্ধুত্ব হয় তাদের। ক্রিস তাদের দুরবস্থার কথা বলে । শুনে ওরাও ব্যথিত হলো । দ্বীপে পৌঁছে সব ঘটনা বললে ক্রেস্টান রেগে যায়। সে ক্রিসকে দেখতে পারে না। দ্বীপের লোকজন কুসংস্কারাচ্ছন্ন । প্রত্যেক পূর্ণিমা রাতে দ্বীপে ভূত এর আগমন ঘটে এই ধারণায় কেউ ওই রাতে বাইরে বের হয়না। পিট , জুপিটার ও ববকে সাঁতার শেখায় ক্রিস। একদিন জুপিটারের জ্বর আসলে শেয়ার সাঁতার কাটতে জায় না। বব ও পিট নিয়মিত সমুদ্রে যেত। ক্রিস ভালো ডুবুরী। সে এক ডুবে অনেকক্ষণ থাকতে পারে পানির নিচে। পাশে একটা দ্বীপে বিয়ে গুপ্তধনের খোঁজ করে । ক্রিস একবার এক ডুবে একটা় স্বর্ণমুদ্রা তুলে আনে। পরের দিনও আসে তারা। হ্যান্ড দ্বীপে ক্রিস প্রথমে কিছু না পেলেও একসময় একটা গুহার সন্ধান পায় পানির নিচে । তারা সেখানে যায় , গিয়ে যাকাত অনইয়ারের গুপ্তধন পায় । গুহাটির মুখ বন্ধ করে চলে আসে। কথাটা যাতে যেন জানি না হয় তাই তারা চেপে যায় । এমন সময় একটা দ্রুতগামী স্পিডবোট এসে ক্রিসের ছোট নৌকাটাকে ভেঙে দিয়ে যায়। বব আর পিট ফিরতে দেরি হওয়ায় জুপিটার এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। এক রাতে দ্বীপের রহস্য ভেদ করতে জুপিটার তার সঙ্গীদের পাঠায় । রাতে চুপিচুপি জঙ্গল পেরিয়ে দ্বীপের মধ্যে লুকিয়ে দেখতে পায় তিনজন লোককে। অর্থ ভাগ্যের কথা হচ্ছিল।দ্বীপের প্রহরী, টম, তার অংশ কিছুতেই ছেড়ে দিবে না। তাই নিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় এমন সময় বেরিয়ে আসে পিট ও বব। আক্রমণ করে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়া ডাকাত বেল ও জিম তাদের রেখে যাওয়া গুপ্তধন নিতে এসেছে। বেল ও জিমের কাছে অস্ত্র ছিল তা দিয়েই ধরাশায়ী করে পিট ও ববকে , এমন সময় ক্রিস এসে তাদেরকে বাঁচায়। জুপিটার ইতিমধ্যে পুলিশ নিয়ে এসে অপরাধীদের ধরিয়ে দেয় ।
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.