Book Review : (08)
#নন্দিত_নরকে
__হুমায়ূন আহমেদ
# এটি হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস। প্রকাশিত হয় 1972 সালের।
#চরিত্র :
১. খোকা : ভদ্র, বাস্তব বাদী, শিক্ষিত, রসায়ন শিক্ষক হয় ।
২. রাবেয়া (বোন ): আধা পাগল মেয়ে, অমানুষের ঘৃণ্য থাবায় অন্তঃসত্ত্বা ও শেষ মৃত্যু । বছর ২২।
৩. রুনু (সালেহা ): ছোট বোন । বয়স ১২।
৪. শিলু (শিলা) : খোকার এই মেয়েকে ভালো লাগে । ডাকে শিলু বলে।
৫. নাহার ভাবি : হারুনের স্ত্রী। গান বাজায়, খোকার ভালো লাগে।
৬. হারুন ভাই : রাবেয়াকে পছন্দ করে কিন্তু তার মা তা মেনে নেয় না। বিয়ে দেয় নাহারের সাথে। পরে সে বিদেশে চলে যায় পড়তে।
৭. মাস্টার চাচা (শরিফ মিয়া) : খোকার বাবার বন্ধু। বিয়ে করে নি, তাদের বাসায় থাকে। এস্ট্রোলজির বই পড়ে ভালোই হাত দেখতে পারে। একদিন জঘন্য কাজও করে বসে।
৮. মন্টু: রাবেয়ার সৎ ভাই। রাগী তবে খোকাদের অনেক ভালোবাসে।
৯. মা-বাবা; বড় মা (মৃত)
পলা: কুকুর; রাবেয়ার ঘুরার সঙ্গী।
## অর্ধপাগল রাবেয়া পাড়ার এপার থেকে ওপার ঘুরে বেড়ায়, পলাকে নিয়ে। কেউ তাকে পচা কথা বললেও সে না বুঝ তাই বাড়ি এসে বলতে থাকে সবার সামনে। রুনু তা শুনে লজ্জা পায়। রাবেয়া পড়াশোনা করেনি। খোকার টেবিলের একটি পুরাতন খাতা চেয়ে নিয়েছিল রুনু। তাতে সে কবিতা লেখে ও দাদার ট্রাংকে লুকিয়ে রাখে । তাই দেখে দাদার ইচ্ছে, তাকে একটি ভালো খাতা কিনে দেবে। মার ইনসমনিয়া থাকায় বাবা মাঝে মাঝে রাতে এসে এসপিরিন নেয় খোকার কাছ থেকে। রাবেয়ার রাতে বাথরুম পেলে খোকাকে সাথে নিয়ে যায়। দুঃখের সংসারে সবার সুখ এনে দিতে চায় খোকা চাকরি পেয়ে । রাবেয়া পাশের বাসায় নতুন আশা শিলাদের বাড়িতে যাওয়া শুরু করেছে। তারা একটা কলমদানি উপহার দেয় রাবেয়াকে। তা সে যত্ন করে রেখে দে খোকার টেবিলে আর বলে দেয় যেন সেটা খোকা কখনও তার বলে দাবি না করে। শিলার ভাই হারুন রাবেয়ার প্রেমে পড়ে বিয়ে করতে চাইলে তার মা এসে শাসিয়ে যায় রাবেয়ার মাকে। সেবার বাবা রাবেয়াকে বেধম মারে। রাবেয়া বুঝেনা কেন মারছে তাকে। পরে নাহার ভাবির সাথে হারুনের বিয়ে হয় ও হারুন বিদেশে পিএইচডি করতে যায়। অভাবের সংসার ভালোই চলছিল। মাস্টার চাচা বাবার বন্ধু। সে বিয়ে করেনি। বাবার বিয়েতে এসেছিল সেই থেকে রয়ে গেছে। তাদের সকলকে পড়ায়। স্কুলের বেতনের সব টাকা দিয়ে অ্যাস্ট্রোলজির বই কিনে । অ্যাস্ট্রোলজি পড়ে পড়ে তিনি ভালোই হাত দেখতে পারেন। মন্টুর মার হাত দেখে বলেছিলো ছেলে হবে। শেষে তাই হয়। তাতে তার সম্মান বেড়ে যায়। খোকা শিলাকে নিয়ে আজকাল স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে । একদিন খারাপ একটা ঘটনা ঘটে যায়। রাবেয়া বমি করতে থাকে। আসলে সে অন্তঃসত্ত্বা। কিভাবে হলো এসব কেউ জানে না। রাবেয়া কে জিজ্ঞেস করে মা কিছু বুঝলেন না। গোপনে ডাক্তারের কাছে গেল তারা। একদিন খোকার একটা কলেজের শিক্ষকতায় চাকরি হয়ে যায়। বেতন ২০০ টাকা। একদিন ঘরময় রক্তে ভেসে যাচ্ছে । খোকা বুঝল রাবেয়ার এবোর্শন হচ্ছে।ব্লিডিং থামছেনা দেখে মাস্টার চাচা খোকার সাইকেল নিয়ে ডাক্তার আনতে যায় শহরে। । আসতেই শরিফ মিয়াকে দেখে মন্টু বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এদিকে ব্লিডিং এর কারনে রাবেয়াও মারা যায়। মন্টু কে ধরে নেয় পুলিশ। শরিফ মিয়াকে হত্যার কারণ কারো কাছে গোপন রইল না। ঠান্ডা মাথায় খুনের অপরাধে ফাঁসির আদেশ হয় মন্টুর। ক্ষমা চাওয়া না মঞ্জুর হওয়ায় ফাঁসি কার্যকর হয়। খোকা আর বাবা তার লাশ নেওয়ার জন্য বাইরে অপেক্ষা করছে।
©Mithun
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.