#Book_Summary: ( 28 )
#দি_এক্সোর্সিস্ট
উইলিয়াম পিটার্স ব্লেটি
#বঙ্গানুবাদ: হুমায়ূন আহমেদ
বইটিতে ভৌতিক বিষয়গুলোকে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা বিজ্ঞানে নেই। মূল বইটিতে অশ্লীলতাও রয়েছে বেশ। ছোটদের জন্য বইটি নয়।
#চরিত্র:
১.ক্রিস্টিন ম্যাকলিন (ক্রিস): নাম করা অভিনেত্রী
২. রিগ্যান: ছোট একমাত্র মেয়ে ( ভূতে পায়)
৩. বার্ক: পরিচালক
৪. হাওয়ার্ড: ক্রিসের স্বামী , ( ডিভোর্স )
৫. মি. কিন্ডারম্যান: ডিটেক্টিভ
৬. শ্যারন স্পেন্সার: ক্রিসের সহকারী
৭. কার্ল: চাকর
৮. উইলি: চাকরানী
৯. ডা. ক্লিন:
১০. ফাদার ডায়ার:
১১.ফাদার মেরিন: পাদ্রী
১২.ফাদার ডেমিয়েন কারাস: নাস্তিক, সাইকায়াট্রিস্ট
১৩. মেরিজো: মিড়িয়াম ( প্রেত তত্ত্ব গবেষণা )
১৪. ক্যাপ্টেন হাউড়ি: উইজার্ড
১৫. সাইকায়াট্রিস্ট
#কাহিনী_সংক্ষেপ:
রিগ্যানকে নিয়ে ক্রিসের সুখেই কাটছিল। ডিভোর্সের পর অভিনেত্রী ক্রিস, উন্মাদ বিখ্যাত পরিচালক বার্ককে ভালোবাসে। উইজার্ড বোর্ড দিয়ে রিগ্যান প্রতিরাতেই খেলার ছলে প্ল্যানচেট করে। ক্যাপ্টেন হাউড়ি নামের এক উইজার্ড তাতে সাড়া দেয়। ক্রিস যখন মেয়ের রুমে যায়, রুম থাকে বরফের ন্যায় ঠান্ডা। ধীরে ধীরে রিগ্যানের অস্বাভাবিক আচরণ বাড়তে থাকে। মেয়ের এমন অবস্থায় মা চিন্তিত। ডা. ক্লিন পরীক্ষা করতে থাকে। ব্রেইনের ফাংশনও ঠিক, শরীরের ফিজিওলজিক্যাল কোন পরিবর্তন নেই। অথচ, আচরণ অস্বাভাবিক। মেয়ের শান্ত, ভাবলেশহীন ভাব কাটাতে পার্টির আয়োজন করে। অনেক অতিথি আসে, আসে মেরিজো নিজেও। রিগ্যানকে দেখেই ভয়ানক আশঙ্কাটা বুঝতে পারে। ক্রিসের জন্য একটা শয়তান উপাসনার উপর একটা লেখা বই পাঠিয়ে সতর্ক করে দিতে চায়। ক্রিস বইটি পড়ে না। মেয়ের অবস্থা আরও খারাপ, অন্য ছেলের কন্ঠে কথা বলতে শুরু করেছে। মেয়েটি বার্ককে খুন করে। গুয়েন্দা কিন্ডারম্যান তদন্ত করছে। পোস্ট মর্টেম করে জানা গেছে অস্বাভাবিক শক্তিশালী কেউ তাকে খুন করছে।
ডা. ক্লিন ব্যর্থ হয়ে আরেক ডা. দেখে, সেও ব্যর্থ। শেষে যায়, সাইকায়াট্রিস্টের কাছে, অনেক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেন লক্ষণগুলোর, কিন্তু কারণ উদঘাটন করতে সেও ব্যর্থ হন। বিছানা ঝাঁকুনির কারণ, সাইটোকাইনেটিক ফোর্সে শরীরের পেশি শক্ত হয়ে যায়। মৃগী রোগীও ধারণা করা হয়। হলি ট্রিনিটিতে শয়তান উপাসনা করে গোপনে কেউ। ফাদার ডেমিয়েন কারাস একজন সাইকায়াট্রিস্টও বটে। নাস্তিকতার অভিযোগে তাকে চার্চ থেকে বের করে দেয়া হয়। অবশেষে, সে আসে, পরীক্ষা করে কিছু অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করে। হিস্টেরিয়া হয়েছে বলে ব্যাখ্যা দিলেও কিছু বিষয়ে খটকা থেকেই গেলো। ডেমিয়েন ভূত তাড়ানোর জজ্ঞ করার অনুমতি চায় চার্চের কাছে। অনুমতি মঞ্জুর হলো, কিন্তু, অভিজ্ঞ একষ ফাদারকে লাগবে, নাম ফাদার মেরিন, বৃদ্ধ। রিগ্যানের সাথে দেখা করেই বুঝতে পারলো, ভূতটার সাথে তার এর আগেও দেখা হয়েছিল। আবারও হবে সে জানত। আজ সেই দিন। জজ্ঞ করার জন্য যাবতীয় জিনিস আনতে গেলো ডেমিয়েন। রিগ্যানের মধ্যে ভূতটা মেরিনকে চিনে, তর্জন গর্জন করতে থাকে। যজ্ঞে ফাদার মেরিন, ডেমিয়েন দুজনই মারা যায়। শেষে ভূত চলে যায়। হাওয়ার্ড নিজেই আসে স্ত্রী কন্যাকে নিতে।
@Mithun
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.