#Book_Summery: (26)
#মহাকাশে_মহাত্রাস
মোহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার
#বৈজ্ঞানিক_কল্পকাহিনী
মহাকাশে মহাত্রাস |
#চরিত্র:
১.হাসান- এন্টোমিডা স্পেস স্টেশন পরিচালক
২.জাহিদ- পদার্থ বিজ্ঞানী
৩. কামাল- প্রযুক্তিবীদ
৪.জেসমিন-জীববিজ্ঞানী
৫. হারুন হাকসি- বিজ্ঞানের অসৎ ব্যবহার
৬. টার্নার: হাকসির সহযোগী
#কাহিনী_সংক্ষেপ:
হাসানের সাথে এন্টোমিডাতে যুক্ত হয় ৩ তরুণ বিজ্ঞানী। মঙ্গল গ্রহ থেকে আকরিক নিয়ে রকেট স্পেস স্টেশনে পৌছালেই দীর্ঘদিন পর হাসান ছুটি পাবে। রকেটের নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণের কারণে ফেরা হলো না। মহাকাশে তেজস্ক্রিয়তা বেড়ে যেতে থাকে প্রতিনিয়ত। রাডারের মাধ্যমে বুঝতে পারলো অজ্ঞাত কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশের স্পেস স্টেশনগুলো ধ্বংস হচ্ছে। জাপানের এক স্পেস স্টেশন নাকি ফ্লাইং সসার দেখেছিল। ফ্লাইং সসারটি এবার এন্টোমিডার দিকে আসছে। হাসান দক্ষ, ঠান্ডা মাথায় বিপদে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিন তরুণ বিজ্ঞানীকে পৃথিবীর উদ্দেশ্য পাঠিয়ে দিয়ে নিজে থেকে যায় স্টেশনে। রেজার টিউব দিয়ে আঘাত করে ফ্লাইং সসারটিকে। তাতে সামান্য ক্ষতি হলেও এন্টোমিডা ধ্বংস হয়। ফ্লাইং সসার রকেট থেকে তিন তরুণকে ধরে নিয়ে যায়, প্লুটোনিক স্পেস স্টেশনে । ফ্লাইং সসার না এটি, ফোবস রকেট। এটি তো পৃথিবীরই তৈরি। হারুন হাকসি পৃথিবীকে শাসন করতে করতে চায়। সব রাষ্ট্রকে এক দেশ করে নিজে কতৃত্ব নিতে চায়। পৃথিবী এবং মহাকাশ থেকে ধরে আনতে থাকে মহান সব বিজ্ঞানীদের। তাদের গোলাম করে নিজের কাজে লাগায়। হাকসি নিজেই তৈরি করেছে অসাধারণ কম্পিউটার, ফ্রিকসি। এটি ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারে। সকলের মনের খবর দিতে পারে বলে কেউ হাকসির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে না। সারা স্টেশন জুড়ে টেলিভিশন আর মাইক্রোফোনে ভর্তি। দীর্ঘদিন পর একটা উপায় বের করে ফ্রিকসিকে ফাঁকি দিয়ে জাহিদকে সাথে নিয়ে কামাল নিউক্লিয়ার রিয়াক্টরকে বিকল করে দেয়। ইলেকট্রিসিটি চলে যায়, ফ্রিকসি আর ভবিষ্যত জানতে পারে না। দশদিন পর রিসোর্স শেষ হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে প্লুটোনিক। একমাত্র যে ঠিক করতে পারতো, টার্নার, সে মারা গেছে। কামাল জেসমিনকে ভালোবাসে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাকসি সাতদিনের মধ্যে নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর ঠিক করে দিতে বাধ্য করে। প্লুটোনিকের নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর ঠিক করলেও বুদ্ধি করে ফোবসের (রকেট) রিয়াক্টরে অনিয়ন্ত্রিত ইউরেনিয়ামের চেইন রিয়াকশন করতে ক্যাডমিয়াম দন্ড কেটে ছোট করে দেয়। সব ঠিক হয়েছে ভেবে হাকসি এই কাজের প্রতিরোধ নিতে গেলে তাকে বোকা বানিয়ে ফোবস নিয়ে পালাতে বাধ্য করে। দশ মিনিট পর ফোবস ধ্বংস হয়। প্লুটোনিক ও নিরীহ বিজ্ঞানীরা বেঁচে যায়। বেঁচে যায় পৃথিবী এক অসৎ, উন্মাদ বুদ্ধিমান বিজ্ঞানীর ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা থেকে।
©Mithun
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.