পবিত্র ঈদুল আজহা হোক দূষণমুক্ত:
সকলকে জানাই আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা।
আনন্দ ও ত্যাগের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। পবিত্র এই দিনে আমরা কোরবানির মাধ্যমে তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকি। পাশাপাশি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন এবং মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে সবার মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করি।
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির পাশাপাশি আমাদের কিছু বিষয়ের প্রতি নজর রাখা আবশ্যক। সুস্থ পরিবেশ, সুস্থ দেহ, সুস্থ মন।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি:
*পশুর জন্য কেনা খড়কুটো যেখানে-সেখানে ফেলে রাখবেন না।
* নর্দমায় ময়লা ফেলবেন না।
* কোরবানির পশুকে যেখানে রাখবেন, সেখানে নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার দিয়ে জায়গাটিকে রোগজীবাণুমুক্ত রাখুন।
* পশু জবাইয়ের পরে রক্ত ও ময়লা পানি যেন রাস্তায় ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
* বাড়ির আশপাশের নর্দমায় পশুর রক্ত ও বর্জ্য কখনোই ফেলবেন না। এতে অন্য বাড়ির আশপাশে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
* এলাকার নির্ধারিত পশু জবাইয়ের জায়গায় কোরবানি দেওয়ার চেষ্টা করুন।
* জবাইয়ের সময় পানির ব্যবহারের দিকে গুরুত্ব দিন। পানির অপচয় করবেন না।
* বাড়ির আশপাশে গোবর কিংবা অন্য পশুর বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ছে কি না, তা খেয়াল রাখুন।
* নিজে সচেতনভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করুন। আপনার কারণে দুর্গন্ধে যেন অন্যের সমস্যা তৈরি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
* প্রতিবেশীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দুর্গন্ধ না ছড়ানোর দিকে খেয়াল রাখতে সচেতন করুন।
* যে পোশাক পরে পশু জবাই করছেন, তা ভালো করে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করুন।
* পশুর বর্জ্য কুকুর বা বিড়ালের নাগালের বাইরে রাখুন।
* চারপাশ যেন এ সময় দুর্গন্ধ ও জীবাণুমুক্ত থাকে, সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিন।
* পশুর অব্যবহৃত অংশ মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলুন অথবা পুড়িয়ে দিন।
* নাড়ি, ভুড়ি পুকুরের পানিতে পরিষ্কার করবেন না।
সকলের ঈদ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক।