Book Summary: 29
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি ( খন্ড - ১ )
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
মৌলিক থ্রিলার উপন্যাস।
#চরিত্র:
১. মুসকান জুবেরী: রেস্টুরেন্টের মালিক, রহস্যময়ী নারী।
২. আহমদ ছফা: ডিবি পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
আতর
৩. রাশেদ জুবেরী: জুবেরীর স্বামী
৪. মনোয়ার: এসপি,
৫. আনোয়ার: এস আই. সুন্দরপুর থানা
৬. ফালু : গোর খোদক
৭. হাসিব: নিখোঁজ বালক।
৮ রঁমাকান্তকামারঁ: মাস্টার
৯. কেস খান: ডিটেকটিভ
১০. ডক্টর আসকার ইবনে শাইদ : অরিয়েন্ট হাসপাতাল
#কাহিনী সংক্ষেপ:
সুন্দরপুরের রেস্টুরেন্ট "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি" এর খাবার আইটেম গুলো অসাধারণ। যে একবার খেয়েছে সে এটার ভক্ত হয়ে উঠেছে। কেউই জানে না মুসকান জুবেরী তার রেস্টুরেন্টে কি দিয়ে খাবার তৈরি করেন। বহু দূর দূরান্ত থেকে খেতে আসেন এই রেস্টুরেন্টে। সুন্দরপুর এর এম পি, এস আই সকলেই মুসকান জুবেরীর অন্ধ ভক্ত। একদিন আহমদ ছফা সুন্দরপুরে আসে মুসকান জুবেরীর তদন্ত করতে। পরিচয় হয় পুলিশের ইনফর্মার আতরের সাথে। তার মাধ্যমে মুসকান জুবেরীর রহস্যময় তার কিছুটা ধারনা পায়। সফা সাংবাদিক পরিচয় তদন্ত শুরু করে। গোর খোদক ফালু মুসকান জুবেরীর সাথে মিলে কিছু একটা কবর দিচ্ছিল, এমনটি দেখে ফেলে সফা, তার বাড়ির ভেতরে গিয়ে। মুসকান জুবেরীর সম্বন্ধে সুন্দরপুর এর কেউই তেমন কিছু জানেনা। তদন্তে জানা যায় পূর্বে মুসকান জুবেরী একজন ডাক্তার ছিলেন । আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসে অরিয়েন্ট হাসপাতালে চাকরি শুরু করে। পরিচয় হয় রাশেদ জুবেরীর সাথে। প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত রাশেদ জুবেরী উত্তরাধিকারসূত্রে জমিদারের অনেক ধন-সম্পদের মালিক ছিল। মুসকান জুবেরী রাশেদ জুবেরীকে বিবাহ করার এক মাসের মধ্যেই সে মারা যায়। মুস্কান জুবেরী তখন সুন্দরপুরে এসে তার স্বামীর সম্পত্তি উদ্ধার করে। শুরু করে রেস্টুরেন্ট। সেই রেস্টুরেন্টে তার বন্ধু ডক্টর আজকের সাইয়িদ ঢাকা থেকে দেখা করতে আসে মাঝে মধ্যে। মুসকান জুবেরী বুঝতে পারে তার পেছনে কেউ লেগেছে। তাই সে অভিযোগ করে সুন্দরপুর থানার ওসির কাছে। আসি আহমদ ছফা কে আটক করে। জেরার মাধ্যমে জানতে পারে যে সফা একজন সাংবাদিক নয় । তিনি ডিবি পুলিশের অনেক বড় কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত 1 ব্যক্তি আত্মীয় হাসিব নিখোঁজের তদন্ত ভার পরে আহমদ ছফার উপর। তারপর আহমদ ছফার অনুরোধে ঢাকা থেকে সুন্দরপুর এর থানা এমপি কে তাকে সাহায্য করার জন্যে বলে। মুসকান জুবেরীর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফালু কবর থেকে কঙ্কাল হলে সেটি বিক্রি করাই তার পেশা। এক দিনেই কবর খোড়া আতর দেখে ফেললে তাকে জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়। পরে সবাই সে থাকে বাঁচায়। মুসকান জুবেরী অনুমান করতে পারে যে সফা কোন সাংবাদিক নয় বরং সে কোন পুলিশের কর্মকর্তা। তাই সে ছফাকে কল দিয়ে বলে তার সাথে দেখা করতে। দেখা করার জন্য সে মুসকান জুবেরীর বাড়িতে যায়। গেট এ দু'জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেখানে গিয়ে জুবেরীর কাছে সকল প্রশ্নের উত্তর চায়। এর আগে হাসিব সহ আরো 5 জন নিখোঁজ অবিবাহিত যুবক এই রেষ্টুরেন্টে এসেছিল। মুসকান জুবেরী তাদের কোনো খোঁজ জানেন বলে জানায়। সাফা তাকে অবিশ্বাস করতেই থাকে। মুসকান তখন সব কথা বলে, তিনি আমেরিকার একটি মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করত। বন্ধুদের সাথে মিলে ল্যাটিন আমেরিকা ঘুরতে গিয়েছিল ইনকা সভ্যতা মাচুপিচু প্রভৃতি দেখার জন্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফেরার পথে তাদের প্রতি ক্রাশ করে আন্দিজ পর্বতমালায়। বরফাচ্ছন্ন পাহাড়ের চূড়ায় অনেকেই জীবিত ছিল। কোন খাবারের সন্ধান না থাকায় জীবিতদের সংখ্যা কমতে থাকে। ওই মৃত ব্যক্তিদের খেয়েই অন্য মানুষজন প্রাণ বাঁচায়। সেদিকে যখন কেউ মারা যাচ্ছিল না তখন একজন আরেক জনকে খুন করে খাবারের ব্যবস্থা করতো। এমন কঠিন মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে তারা দিন কাটিয়েছে। দীর্ঘ 80 দিন পর সেখান থেকে মাত্র 18 জন প্রাণ নিয়ে দেশে ফিরে। আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে সেখান থেকে ফেরার পর মুসকান চৌধুরীর বয়স খুব বেশী বাড়েনি। 63 বছরের মহিলাকে 30 বছরের যুবতী মনে হয়। সে মৃত মানুষের এমন একটি অঙ্গ ভক্ষণ করত যাতে করে সে বুড়ো হচ্ছিল না। এদিকে আসকার ইবনে সাঈদ এর কাছে ডিটেকটিভ কেস খান জেরা করে ঘটনার সত্যতা জানতে পারে। মুসকান জুবের আহমদ ছফাকে একটি ফটো অ্যালবাম দেয় ঘটনা সত্য তা দেখার জন্য। অ্যালবামের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় এক ধরনের বিষ মাখানো ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই সফা বিষয়ে আক্রান্ত হয়ে হাত-পায়ের অবশ অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
কেস খান সবাইকে ফোন করে খুঁজে পায়না। আসকার ইবনে সাঈদ জানায় জুবেরী এখনো মানুষ ভক্ষণ করে ।
সফার আসন্ন বিপদ দেখে কেএস খান যুগের বাড়ি ঘেরাও করার নির্দেশ দেন পুলিশকে। ইতিমধ্যে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় জুবেরী। দাও দাও করে জ্বলতে থাকে বাড়িটি। দগ্ধ অবস্থায় বেরিয়ে এসে একটি মেয়ে। মেয়েটিকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য একজন পুলিশকে গাড়িতে করে পাঠিয়ে দেয়। আর এদিকে চাকর-বাকরদের রক্ষা করে। বাড়ির পেছনদিকে আহমদ ছফাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে জানা যায় দগ্ধ মেয়েটি গাড়ি থেকে পালিয়েছে। আসলে সেই ছিল মুসকান জুবেরী। কস্টিউম আর মুখোশ পরিধান করে এমন বীভৎস দগ্ধ রূপ ধারণ করেছিল। রহস্যময়ী অপরাধী মুস্কান কে আটক করা গেল না। তবে তদন্তের অনেকাংশ শেষ করায় সরকার ছফাকে পদোন্নতি দেয়।
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.