পোষা পাখির গুরুত্ব ও সম্ভাবনা:
১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বেকার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। কৃষি নির্ভর অন্যান্য কর্মসংস্থানের পাশাপাশি খামার গড়ে তুলে বেকার সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। বর্তমানে শৌখিন উচ্চবিত্ত পরিবারের পাশাপাশি মধ্যম আয়ের পরিবারেও পোষা পাখি রাখতে দেখা যায়।
দেশে ৮০৯ প্রজাতির শনাক্তকৃত পাখির মধ্যে ৫১ টি বিপদাপন্ন প্রজাতির পাখি আছে। তাদের টিকিয়ে রাখতে খামার ব্যবস্থাপনা শুরু করে লোকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন গ্রুপের পোষা পাখির মধ্যে সিটাসিন গ্রুপের পাখি সমূহ, ফিন্সেস, কবুতর, কোয়েল, ইত্যাদি অধিক জনপ্রিয়। পোষা পাখির খামার করতে প্রথমেই প্রয়োজন উপযুক্ত প্রজাতির পাখি। কতগুলো বিষয় যেমন, পাখির জাত, আয়ুস্কাল, খাবার ব্যবস্থাপনা, আচরণ, প্রভৃতি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে খামার করা জরুরি। পোষা পাখির বাজার চাহিদা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উপযোগিতা তৈরি করতে পরিকল্পিত পদ্ধতি বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে। পাশাপাশি পাখির প্রজনন পদ্ধতি, কিভাবে খামার শুরু করতে হবে, সুবিধা, অসুবিধা, সীমাবদ্ধতা, ও তা থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কিত সমস্তকিছু নিয়ে অভিজ্ঞ কারো থেকে প্রায়োগিক ধারণা নেয়া অত্যাবশ্যকীয়।
দেশের জিডিপিতে অবদান রাখতে, বেকার সমস্যা দূরীকরণে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে, ঘরকোনো মানুষের বিনোদনের উৎস হিসেবে পোষা পাখির খামার নিঃসন্দেহে একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।
No comments:
Post a Comment
Never share any links or personal information. Keep your privacy strong.