দায়িত্ববান মানুষ একটি জাতির মূল্যবান সম্পদ:
স্বাধীনতা ভালো কিন্তু একক ও অবাধ স্বাধীনতা মানুষকে দিতে পারে এক ভিন্ন রূপ । যার ফল হয়ত বয়ে বেড়াতে হয় কোন পরিবার, সমাজ কিংবা পুরো জাতিকে।
দেশের পরিস্থিতি এতটাই অবনতি হয়েছে, যেখানে একটি মানুষ পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়ে যাচ্ছেতাই করে বেড়াচ্ছে।
কিছু মানুষ উন্মাদ হয়ে নেশার ঘোরে করে ফেলছে অপকর্ম। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ , শিশু নির্যাতন, নিছকই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তর্ক, তা থেকেই রক্তপাত , অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হয়ে সুন্দর কতগুলো জীবনের অপমৃত্যু, আবেগের তাড়নায় বিভোর হয়ে নিজের পরিবারের আপনজনদেরও চির শত্রুতে রুপান্তর, বিশ্বস্তের সাথে অবিশ্বস্তা এসবই এখন যেন বিবেকবর্জিত মানুষগুলোর অন্তরে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত।
এর কারণ কি হতে পারে ?
অশিক্ষা, অনিয়ম , আইনের কঠোর প্রয়োগ না থাকা, শিক্ষার আড়ালে বিরাজমান ঘৃন্য মনুষ্যত্ব কিংবা আমাদের নিজেদেরই কিছু সংকীর্ণতার ফল হিসেবে জন্ম নেয় এই অপরাধ গুলো।
আজ কি শুধু আইন প্রনয়নই যথেষ্ট নাকি এর যথাযথ প্রয়োগও জরুরি। এখন কথা হচ্ছে সেই সব আইনের উর্দিধারীরাই যদি আইনের সাথে বেঈমানি করে তাহলে শুধু রাষ্ট্রপ্রধানকে দোষারোপ করে কোন লাভ হবে কি..! প্রথমে এসব মূল হোতাদের স্ব-মূলে উৎপাটন জরুরি। কারণ, অতি অল্প কিছু হীনতার ফল ভোগতে হয় পুরো ডিপার্টমেন্টকে।
একজন শিক্ষক কিভাবে একজন তার মেয়ে তুল্য ছাত্রীর প্রতি জঘন্য অপরাধ করতে পারে..! একজন অসহায় কেন আজ এসবের বলি হচ্ছে...!
আমি মনে করি , সবকিছু যদি আইন দ্বারাই সমাধান করা যেত তাহলে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শব্দ দুটোর বাংলা অভিধানে আসার কোন প্রয়োজন ছিল না। আমরা কি পারি না সকল লালসাকে পেছনে ঠেলে দিয়ে নিজেকে একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে...? সুখী হওয়ার জন্য সকল আপেক্ষিকতার পরিবর্তে প্রয়োজন সুন্দর মনের।
ভার্সিটির ভেতরে কিংবা বাইরে আমার নিজের সামনেই ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা যা আমাকে অনেক বেশি পীড়া দেয়। যা চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে প্রতিবাদের ইচ্ছা করলেও সেই সুযোগ আমার মতো সাধারণের নেই। পরিস্থিতি আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে এভাবে, "বাছাধন তোমার দুটি চোখ স্বাধীনতা অর্জন করলেও তোমার জিহ্বা যে আজন্ম পরাধীন।"
দীর্ঘ ৪ বছর বাকৃবির চত্বরে থাকাকালীন সময়ে এটুকু অনুধাবন করতে পেরেছি, নিজের সঙ্গ নিরুপনে সদা জাগ্রত থাকা উচিত। জীবন চলার পথে বুঝেছি, কাজটি সত্যিই অনেক কঠিন। আপনার সাথে যায় এমন কিছু মানুষের সঙ্গ নেয়া উচিত। যাতে আপনার উপকার না হলেও অন্তত ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না।
পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ স্বতন্ত্র। একমাত্র পরিবার ছাড়া কাউকেই বিশেষভাবে কিছু মনে করার সুযোগ নেই। কারো বিরক্তির কারণ হওয়া আগেই নিজেকে সংবরণ করা উচিত।
( সাধারণত, কিছু লিখি না, কিন্তু আজ বাধ্য হলাম)